মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম
চট্টগ্রামের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ বা মসজিদ–ই–সিরাজ উদদৌলা, যা চন্দনপুরা মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। মোগল স্থাপত্য নকশায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নবাব সিরাজ উদদৌলা সড়কের চন্দনপুরা অংশে মসজিদটি অবস্থিত।
ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খাঁর সেনাবাহিনী আরাকান মগরাজাদের কবল থেকে চট্টগ্রামকে মুক্ত করলে এখানে মোগল শাসন কায়েম হয়। তখন শাহি ফরমান বলে বিজিত অঞ্চলে অনেক মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে হামিদিয়া তাজ মসজিদও একটি। পরে ১৮৭০ ও ১৯৫০ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয়।
মসজিদটির প্রতিটি অংশে সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা, গোলাপিসহ হরেক রকম রং ব্যবহার করা হয়েছে। লতাপাতার নকশা আর নানা কারুকাজে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ হাতে। মসজিদের এমন নয়নাভিরাম রূপ–সৌন্দর্য যে কাউকেই খুব সহজেই মুগ্ধ করে তোলে।
বাহারি রঙে সাজানো অনন্য ডিজাইনের মসজিদটি এখনো ধারণ করে আছে মুসলমানদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও গাম্ভীর্য। মসজিদের অজুখানা, সিঁড়ির হাতল, কার্নিশ, দেয়ালসহ সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে অত্যন্ত নিখুঁত কারুকার্য। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পুরোনো এসব নকশাই যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে নানা বর্ণচ্ছটায়।
মসজিদটিতে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি গম্বুজ। জানা যায়, মসজিদের বড় গম্বুজটি নির্মাণে তৎকালীন প্রায় ৪ লাখ টাকার ১৫ মণ রুপা ও পিতলের প্রয়োজন হয়; যা সংগ্রহ করা হয় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। গম্বুজের চারপাশে লেখা আছে রাসুল (সা.)-এর পরিবার ও দুনিয়ায় জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবির নাম। মসজিদটির সুউচ্চ মিনার থেকে শুরু করে দেয়াল, উঁচু পিলার, দরজা-জানালা— সবকিছুতেই রয়েছে নান্দনিক কারুকাজ।
সকালের প্রথম রৌদ্র এসে রাঙিয়ে দেয় মসজিদটিকে। তারপর সারা দিন তার অসাধারণ রূপ-সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ করে অসংখ্য দর্শক ও স্থানীয় মুসল্লিদের। প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুনভাবে মসজিদটি রং করানো হয়।
মসজিদের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সূক্ষ্ম কাজের কারিগরের অভাবে এখন আর সংস্কারকাজ সঠিকভাবে করা যায় না। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় এসব জিনিস যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি সংস্কারের সময়ও হারিয়ে গেছে এর অনেক কিছুই। পাশে আরও মসজিদ রয়েছে। তবু স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রাচীন এই মসজিদটির গুরুত্ব অপরিসীম। শুক্রবারে মসজিদে জায়গা সংকুলান না হলে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। আশা করা যায়, যথাযথ পরিচর্যা হলে আরও দীর্ঘদিন কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে প্রাচীন স্থাপত্যশিল্পের এই সুন্দর মসজিদটি।
চট্টগ্রামের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী চন্দনপুরা হামিদিয়া তাজ মসজিদ বা মসজিদ–ই–সিরাজ উদদৌলা, যা চন্দনপুরা মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। মোগল স্থাপত্য নকশায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নবাব সিরাজ উদদৌলা সড়কের চন্দনপুরা অংশে মসজিদটি অবস্থিত।
ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খাঁর সেনাবাহিনী আরাকান মগরাজাদের কবল থেকে চট্টগ্রামকে মুক্ত করলে এখানে মোগল শাসন কায়েম হয়। তখন শাহি ফরমান বলে বিজিত অঞ্চলে অনেক মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে হামিদিয়া তাজ মসজিদও একটি। পরে ১৮৭০ ও ১৯৫০ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয়।
মসজিদটির প্রতিটি অংশে সবুজ, নীল, হলুদ, সাদা, গোলাপিসহ হরেক রকম রং ব্যবহার করা হয়েছে। লতাপাতার নকশা আর নানা কারুকাজে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ হাতে। মসজিদের এমন নয়নাভিরাম রূপ–সৌন্দর্য যে কাউকেই খুব সহজেই মুগ্ধ করে তোলে।
বাহারি রঙে সাজানো অনন্য ডিজাইনের মসজিদটি এখনো ধারণ করে আছে মুসলমানদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও গাম্ভীর্য। মসজিদের অজুখানা, সিঁড়ির হাতল, কার্নিশ, দেয়ালসহ সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে অত্যন্ত নিখুঁত কারুকার্য। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পুরোনো এসব নকশাই যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে নানা বর্ণচ্ছটায়।
মসজিদটিতে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি গম্বুজ। জানা যায়, মসজিদের বড় গম্বুজটি নির্মাণে তৎকালীন প্রায় ৪ লাখ টাকার ১৫ মণ রুপা ও পিতলের প্রয়োজন হয়; যা সংগ্রহ করা হয় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। গম্বুজের চারপাশে লেখা আছে রাসুল (সা.)-এর পরিবার ও দুনিয়ায় জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া ১০ সাহাবির নাম। মসজিদটির সুউচ্চ মিনার থেকে শুরু করে দেয়াল, উঁচু পিলার, দরজা-জানালা— সবকিছুতেই রয়েছে নান্দনিক কারুকাজ।
সকালের প্রথম রৌদ্র এসে রাঙিয়ে দেয় মসজিদটিকে। তারপর সারা দিন তার অসাধারণ রূপ-সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ করে অসংখ্য দর্শক ও স্থানীয় মুসল্লিদের। প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুনভাবে মসজিদটি রং করানো হয়।
মসজিদের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সূক্ষ্ম কাজের কারিগরের অভাবে এখন আর সংস্কারকাজ সঠিকভাবে করা যায় না। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় এসব জিনিস যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি সংস্কারের সময়ও হারিয়ে গেছে এর অনেক কিছুই। পাশে আরও মসজিদ রয়েছে। তবু স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রাচীন এই মসজিদটির গুরুত্ব অপরিসীম। শুক্রবারে মসজিদে জায়গা সংকুলান না হলে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। আশা করা যায়, যথাযথ পরিচর্যা হলে আরও দীর্ঘদিন কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে প্রাচীন স্থাপত্যশিল্পের এই সুন্দর মসজিদটি।
সন্ধ্যাবেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) সাহাবিদের এসব আমল করার উপদেশ দিতেন। এখানে কয়েকটি আমলের
৬ ঘণ্টা আগেইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১ দিন আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগে