আসআদ শাহীন

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে। ভারতবর্ষে ইসলামি স্থাপত্য নৈপুণ্য, সৌন্দর্য ও অনন্য শিল্পবোধের নিদর্শন বহন করে। পারস্য, তুরস্ক, আরব ও মধ্য এশিয়ার স্থাপত্যশৈলীর মেলবন্ধন ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্যকে বিশ্বইতিহাসে বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।
সূচনাপর্ব
ভারতে ইসলামি স্থাপত্যের সূচনা হয় দিল্লি সালতানাতের হাত ধরে। ১২০৬ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির মসনদে আরোহণ করেন এবং ইসলামি স্থাপত্যের প্রথম চিহ্ন হিসেবে নির্মাণ করেন কুতুব মিনার। লাল বেলে পাথরের কারুকাজ ও সূক্ষ্ম খোদাইয়ের মাধ্যমে এ মিনার ইসলামি স্থাপত্যের নৈপুণ্যের প্রথম উদাহরণ। কুতুব মিনারের পাশাপাশি কুওয়াতুল-ইসলাম মসজিদ এ সময়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যকীর্তি, যা কুতুব মিনারের আশপাশের প্রাচীন স্থাপত্য ও ধ্বংসাবশেষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে।
কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ নান্দনিক নকশায় নির্মিত একটি আয়তাকার ইসলামি স্থাপনা, যাকে মুসলিম স্থাপত্যশৈলীতে লিয়ন বলা হয়। এর নির্মাণশৈলীতে আরব-তুর্কি ও ভারতীয় রীতির বিস্ময়কর সমন্বয় ঘটেছে। এ সংমিশ্রণ বিজিত ও বিজয়ীর সহাবস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত। মসজিদের উচ্চতা, সৌন্দর্য, বিশালত্ব প্রকাশে ভারতীয় প্রাচীন স্থাপত্যনিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ প্রতিস্থাপিত হয়েছে এই ইসলামি ঐতিহ্যে, নান্দনিক মুনশিয়ানায়।
সুলতানি আমলে ইসলামি স্থাপত্য মূলত ধর্মীয় প্রয়োজনে নির্মাণ করা হতো। মসজিদ, মাদ্রাসা, দরগাহ ও দুর্গগুলো সেই সময়ের প্রধান স্থাপত্য নিদর্শন। পারস্য ও আরব স্থাপত্যের প্রভাব এবং স্থানীয় শিল্পের মিশ্রণে ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য এক নতুন রূপ পেয়েছিল।
মোগল আমল
মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামি স্থাপত্য তার শৈল্পিক উৎকর্ষের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছায়। এ সময়ের স্থাপনাগুলো কেবল ধর্মীয় গৌরবই নয়, বরং সম্রাটদের ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত রুচির প্রতিফলনও। মোগল স্থাপত্যের সূচনা হয়েছিল বাবরের শাসনামলে। তবে আকবর, জাহাঙ্গীর ও শাহজাহানের শাসনামলে এটি পরিপূর্ণতা অর্জন করে। আকবরের আমলে মোগল স্থাপত্যে ভারতীয় ও পারস্যের শিল্পের সমন্বয় লক্ষ করা যায়। তাঁর স্থাপিত ফতেহপুর সিক্রি বা আগ্রার কেল্লা স্থাপত্যশিল্পের অনন্য শক্তিমান নিদর্শন। অন্যদিকে, শাহজাহানের শাসনামলে মোগল স্থাপত্য শিল্প-গৌরবের চূড়ায় পৌঁছায়। তাঁর আমলে নির্মিত তাজমহল, যা সারা বিশ্বে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত, মোগল স্থাপত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল রত্ন। মোগল আমলের কয়েকটি নিদর্শন—
তাজমহল
সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্টি তাজমহলকে বলা হয় মোগল স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। সাদা মার্বেলের এ সমাধি শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি প্রেমের প্রতীকও। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থাপত্যে পারস্য, তুর্কি এবং ভারতীয় শিল্পের নিখুঁত মেলবন্ধন দেখা যায়। তাজমহলের মার্বেল পাথরে খোদাই করা ফুলেল নকশা এবং কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি এক অপার্থিব অনুভূতির জন্ম দেয়।

লাল কেল্লা
শাহজাহানের আরেক অনন্য সৃষ্টি দিল্লির লাল কেল্লা। লাল বেলে পাথরের তৈরি এই দুর্গ কেবল শাসনের প্রতীক নয়, বরং স্থাপত্য সৌন্দর্যেরও দারুণ প্রতিফলন। এর প্রাসাদ, মসজিদ ও উদ্যান মোগল স্থাপত্যের অমূল্য ঐশ্বর্য।
ফতেহপুর সিক্রি ও হুমায়ুনের সমাধি
আকবর নির্মিত ফতেহপুর সিক্রি মোগল স্থাপত্যের আরেক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। বুলন্দ দরজা, জামে মসজিদ এবং পঞ্চমহলের নকশাশৈলী মুগ্ধ করে যে কাউকেই। অন্যদিকে, হুমায়ুনের সমাধিকে গণ্য করা হয় ভারতবর্ষের প্রথম বাগানসমাধি হিসেবে।
দক্ষিণ ভারত

উত্তর ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতেও মুসলিম শাসনের গভীর প্রভাব পড়েছিল। বিজাপুর, গোলকোন্ডা এবং হায়দরাবাদে ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন পাওয়া যায়। বিজাপুরের গোল গম্বুজ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম্বুজ, স্থাপত্যশৈলীর ক্ষেত্রে এক আশ্চর্য সৃষ্টি। গোলকোন্ডা দুর্গ এবং হায়দরাবাদের চার মিনার দক্ষিণ ভারতের ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য রত্ন।
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। যেমন—
গম্বুজ ও মিনার
গম্বুজ ইসলামি স্থাপত্যের মূল আকর্ষণ। এটি মহান আল্লাহর বড়ত্বের প্রতীক। ভারতীয় উপমহাদেশও এর ব্যতীক্রম নয়।
জ্যামিতিক নকশা ও ক্যালিগ্রাফি
ইসলামে প্রাণীর চিত্রায়ণ নিষিদ্ধ থাকার কারণে জ্যামিতিক নকশা এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি ইসলামি স্থাপত্যে বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম স্থাপনাগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।

জলাশয় ও বাগান
মোগল স্থাপত্যে বাগান ও জলাশয়ের গুরুত্ব ছিল। এটি ইসলামের বেহেশতের ধারণা প্রতিফলিত করে।
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য শুধু ধর্মীয় পরিচিতি নয়; বরং এটি ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অঙ্গ। এই স্থাপত্যশৈলী স্থানীয় শিল্প ও প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করেছে। পারস্যের গম্বুজ, তুর্কি মিনার এবং ভারতীয় খোদাইয়ের সম্মিলন; এই স্থাপত্যকে বৈশ্বিকভাবে অনন্য করে তুলেছে। এ অঞ্চলে ইসলামি স্থাপত্য আমাদের এক অসামান্য ঐতিহ্য উপহার দিয়েছে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্ময়ের প্রতীক হয়ে থাকবে। এটি ভারতের বহুত্ববাদী সমাজের এক জীবন্ত নিদর্শন, যা অতীতের গৌরব এবং ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণার প্রতীক।
লেখক: গবেষক, উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম।
তথ্যঋণ
১. হিন্দি ইসলামি ফন্নে তামির/সাহবা ওয়াহিদ।
২. ইসলামি ফন্নে তামির পার এক নজর/ড. গোলাম মঈনুদ্দিন।
৩. বরসগির মে আউওয়ালিন শাহি তামিরাত/মাহবুব উল্লাহ মুজিব।
৪. ইসলামি ফন্নে তামির হিন্দুস্তান মে/সাইয়েদ হাশেম ফরিদাবাদী

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে। ভারতবর্ষে ইসলামি স্থাপত্য নৈপুণ্য, সৌন্দর্য ও অনন্য শিল্পবোধের নিদর্শন বহন করে। পারস্য, তুরস্ক, আরব ও মধ্য এশিয়ার স্থাপত্যশৈলীর মেলবন্ধন ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্যকে বিশ্বইতিহাসে বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।
সূচনাপর্ব
ভারতে ইসলামি স্থাপত্যের সূচনা হয় দিল্লি সালতানাতের হাত ধরে। ১২০৬ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির মসনদে আরোহণ করেন এবং ইসলামি স্থাপত্যের প্রথম চিহ্ন হিসেবে নির্মাণ করেন কুতুব মিনার। লাল বেলে পাথরের কারুকাজ ও সূক্ষ্ম খোদাইয়ের মাধ্যমে এ মিনার ইসলামি স্থাপত্যের নৈপুণ্যের প্রথম উদাহরণ। কুতুব মিনারের পাশাপাশি কুওয়াতুল-ইসলাম মসজিদ এ সময়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যকীর্তি, যা কুতুব মিনারের আশপাশের প্রাচীন স্থাপত্য ও ধ্বংসাবশেষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে।
কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ নান্দনিক নকশায় নির্মিত একটি আয়তাকার ইসলামি স্থাপনা, যাকে মুসলিম স্থাপত্যশৈলীতে লিয়ন বলা হয়। এর নির্মাণশৈলীতে আরব-তুর্কি ও ভারতীয় রীতির বিস্ময়কর সমন্বয় ঘটেছে। এ সংমিশ্রণ বিজিত ও বিজয়ীর সহাবস্থানের অনন্য দৃষ্টান্ত। মসজিদের উচ্চতা, সৌন্দর্য, বিশালত্ব প্রকাশে ভারতীয় প্রাচীন স্থাপত্যনিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ প্রতিস্থাপিত হয়েছে এই ইসলামি ঐতিহ্যে, নান্দনিক মুনশিয়ানায়।
সুলতানি আমলে ইসলামি স্থাপত্য মূলত ধর্মীয় প্রয়োজনে নির্মাণ করা হতো। মসজিদ, মাদ্রাসা, দরগাহ ও দুর্গগুলো সেই সময়ের প্রধান স্থাপত্য নিদর্শন। পারস্য ও আরব স্থাপত্যের প্রভাব এবং স্থানীয় শিল্পের মিশ্রণে ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য এক নতুন রূপ পেয়েছিল।
মোগল আমল
মোগল সাম্রাজ্যের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামি স্থাপত্য তার শৈল্পিক উৎকর্ষের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছায়। এ সময়ের স্থাপনাগুলো কেবল ধর্মীয় গৌরবই নয়, বরং সম্রাটদের ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত রুচির প্রতিফলনও। মোগল স্থাপত্যের সূচনা হয়েছিল বাবরের শাসনামলে। তবে আকবর, জাহাঙ্গীর ও শাহজাহানের শাসনামলে এটি পরিপূর্ণতা অর্জন করে। আকবরের আমলে মোগল স্থাপত্যে ভারতীয় ও পারস্যের শিল্পের সমন্বয় লক্ষ করা যায়। তাঁর স্থাপিত ফতেহপুর সিক্রি বা আগ্রার কেল্লা স্থাপত্যশিল্পের অনন্য শক্তিমান নিদর্শন। অন্যদিকে, শাহজাহানের শাসনামলে মোগল স্থাপত্য শিল্প-গৌরবের চূড়ায় পৌঁছায়। তাঁর আমলে নির্মিত তাজমহল, যা সারা বিশ্বে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত, মোগল স্থাপত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল রত্ন। মোগল আমলের কয়েকটি নিদর্শন—
তাজমহল
সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্টি তাজমহলকে বলা হয় মোগল স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। সাদা মার্বেলের এ সমাধি শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি প্রেমের প্রতীকও। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থাপত্যে পারস্য, তুর্কি এবং ভারতীয় শিল্পের নিখুঁত মেলবন্ধন দেখা যায়। তাজমহলের মার্বেল পাথরে খোদাই করা ফুলেল নকশা এবং কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি এক অপার্থিব অনুভূতির জন্ম দেয়।

লাল কেল্লা
শাহজাহানের আরেক অনন্য সৃষ্টি দিল্লির লাল কেল্লা। লাল বেলে পাথরের তৈরি এই দুর্গ কেবল শাসনের প্রতীক নয়, বরং স্থাপত্য সৌন্দর্যেরও দারুণ প্রতিফলন। এর প্রাসাদ, মসজিদ ও উদ্যান মোগল স্থাপত্যের অমূল্য ঐশ্বর্য।
ফতেহপুর সিক্রি ও হুমায়ুনের সমাধি
আকবর নির্মিত ফতেহপুর সিক্রি মোগল স্থাপত্যের আরেক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। বুলন্দ দরজা, জামে মসজিদ এবং পঞ্চমহলের নকশাশৈলী মুগ্ধ করে যে কাউকেই। অন্যদিকে, হুমায়ুনের সমাধিকে গণ্য করা হয় ভারতবর্ষের প্রথম বাগানসমাধি হিসেবে।
দক্ষিণ ভারত

উত্তর ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতেও মুসলিম শাসনের গভীর প্রভাব পড়েছিল। বিজাপুর, গোলকোন্ডা এবং হায়দরাবাদে ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন পাওয়া যায়। বিজাপুরের গোল গম্বুজ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম্বুজ, স্থাপত্যশৈলীর ক্ষেত্রে এক আশ্চর্য সৃষ্টি। গোলকোন্ডা দুর্গ এবং হায়দরাবাদের চার মিনার দক্ষিণ ভারতের ইসলামি স্থাপত্যের অনন্য রত্ন।
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। যেমন—
গম্বুজ ও মিনার
গম্বুজ ইসলামি স্থাপত্যের মূল আকর্ষণ। এটি মহান আল্লাহর বড়ত্বের প্রতীক। ভারতীয় উপমহাদেশও এর ব্যতীক্রম নয়।
জ্যামিতিক নকশা ও ক্যালিগ্রাফি
ইসলামে প্রাণীর চিত্রায়ণ নিষিদ্ধ থাকার কারণে জ্যামিতিক নকশা এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি ইসলামি স্থাপত্যে বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম স্থাপনাগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।

জলাশয় ও বাগান
মোগল স্থাপত্যে বাগান ও জলাশয়ের গুরুত্ব ছিল। এটি ইসলামের বেহেশতের ধারণা প্রতিফলিত করে।
ভারতীয় ইসলামি স্থাপত্য শুধু ধর্মীয় পরিচিতি নয়; বরং এটি ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অঙ্গ। এই স্থাপত্যশৈলী স্থানীয় শিল্প ও প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করেছে। পারস্যের গম্বুজ, তুর্কি মিনার এবং ভারতীয় খোদাইয়ের সম্মিলন; এই স্থাপত্যকে বৈশ্বিকভাবে অনন্য করে তুলেছে। এ অঞ্চলে ইসলামি স্থাপত্য আমাদের এক অসামান্য ঐতিহ্য উপহার দিয়েছে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্ময়ের প্রতীক হয়ে থাকবে। এটি ভারতের বহুত্ববাদী সমাজের এক জীবন্ত নিদর্শন, যা অতীতের গৌরব এবং ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণার প্রতীক।
লেখক: গবেষক, উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম।
তথ্যঋণ
১. হিন্দি ইসলামি ফন্নে তামির/সাহবা ওয়াহিদ।
২. ইসলামি ফন্নে তামির পার এক নজর/ড. গোলাম মঈনুদ্দিন।
৩. বরসগির মে আউওয়ালিন শাহি তামিরাত/মাহবুব উল্লাহ মুজিব।
৪. ইসলামি ফন্নে তামির হিন্দুস্তান মে/সাইয়েদ হাশেম ফরিদাবাদী

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ভারতবর্ষের সুবিশাল ভূখণ্ডের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা রূপ। হাজার বছরে বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও সভ্যতা এই মাটিতে অমর সব কীর্তি রেখে গেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; যা শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, ভৌত সৌন্দর্যের মধ্যেও চির অম্লান হয়ে রয়েছে...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে