ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ইমানের পরিচয়
পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ইমানের পরেই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা বাকারা: ৩) নামাজই ইমানের পরিচয় বহন করে। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে, সে-ই প্রকৃত মুমিন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
নামাজ সবার জন্য সব সময়
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, তিনি যেন বসে নামাজ আদায় করেন। যদি কারও বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়, তিনি যেন শুয়ে নামাজ আদায় করেন। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে...।’ (সুরা আল ইমরান: ১৯১)
ঊর্ধ্বাকাশে বিধান প্রণয়ন
মহান আল্লাহ নবী (সা.)কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বালোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এরপর আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। এরপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা, আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।
আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না।’ (মুসলিম: ১৬৩)
পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবনযাপন করতে পারে। নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
পাপ থেকে মুক্তির উপায়
নামাজ মানুষকে পাপমুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো যদি কারও বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’ তিনি বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও সেইরূপ। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি: ৫২৮)
সমস্যার সমাধান নামাজ
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো, নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদাপদ ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ: ১৩১৯)
গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায়
কোরআন মজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমক ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই দুর্ভোগ সেই নামাজিদের, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫) এ জন্য খুব গুরুত্বসহকারে, সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে—ওমর ইবনুল খাত্তাব থেকে হতে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজিকে বললেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বললেন, ইহসান হলো, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে না-ও দেখ, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ইমানের পরিচয়
পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ইমানের পরেই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা বাকারা: ৩) নামাজই ইমানের পরিচয় বহন করে। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে, সে-ই প্রকৃত মুমিন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
নামাজ সবার জন্য সব সময়
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, তিনি যেন বসে নামাজ আদায় করেন। যদি কারও বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়, তিনি যেন শুয়ে নামাজ আদায় করেন। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে...।’ (সুরা আল ইমরান: ১৯১)
ঊর্ধ্বাকাশে বিধান প্রণয়ন
মহান আল্লাহ নবী (সা.)কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বালোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এরপর আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। এরপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা, আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।
আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না।’ (মুসলিম: ১৬৩)
পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবনযাপন করতে পারে। নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
পাপ থেকে মুক্তির উপায়
নামাজ মানুষকে পাপমুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো যদি কারও বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’ তিনি বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও সেইরূপ। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি: ৫২৮)
সমস্যার সমাধান নামাজ
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো, নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদাপদ ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ: ১৩১৯)
গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায়
কোরআন মজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমক ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই দুর্ভোগ সেই নামাজিদের, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫) এ জন্য খুব গুরুত্বসহকারে, সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে—ওমর ইবনুল খাত্তাব থেকে হতে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজিকে বললেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বললেন, ইহসান হলো, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে না-ও দেখ, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ইমানের পরিচয়
পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ইমানের পরেই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা বাকারা: ৩) নামাজই ইমানের পরিচয় বহন করে। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে, সে-ই প্রকৃত মুমিন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
নামাজ সবার জন্য সব সময়
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, তিনি যেন বসে নামাজ আদায় করেন। যদি কারও বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়, তিনি যেন শুয়ে নামাজ আদায় করেন। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে...।’ (সুরা আল ইমরান: ১৯১)
ঊর্ধ্বাকাশে বিধান প্রণয়ন
মহান আল্লাহ নবী (সা.)কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বালোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এরপর আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। এরপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা, আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।
আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না।’ (মুসলিম: ১৬৩)
পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবনযাপন করতে পারে। নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
পাপ থেকে মুক্তির উপায়
নামাজ মানুষকে পাপমুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো যদি কারও বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’ তিনি বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও সেইরূপ। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি: ৫২৮)
সমস্যার সমাধান নামাজ
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো, নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদাপদ ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ: ১৩১৯)
গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায়
কোরআন মজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমক ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই দুর্ভোগ সেই নামাজিদের, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫) এ জন্য খুব গুরুত্বসহকারে, সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে—ওমর ইবনুল খাত্তাব থেকে হতে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজিকে বললেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বললেন, ইহসান হলো, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে না-ও দেখ, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ইমানের পরিচয়
পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ইমানের পরেই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা বাকারা: ৩) নামাজই ইমানের পরিচয় বহন করে। যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে, সে-ই প্রকৃত মুমিন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
নামাজ সবার জন্য সব সময়
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে না পারেন, তিনি যেন বসে নামাজ আদায় করেন। যদি কারও বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়, তিনি যেন শুয়ে নামাজ আদায় করেন। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে...।’ (সুরা আল ইমরান: ১৯১)
ঊর্ধ্বাকাশে বিধান প্রণয়ন
মহান আল্লাহ নবী (সা.)কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বালোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এরপর আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। এরপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা, আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।
আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না।’ (মুসলিম: ১৬৩)
পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবনযাপন করতে পারে। নিয়মিত নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
পাপ থেকে মুক্তির উপায়
নামাজ মানুষকে পাপমুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো যদি কারও বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।’ তিনি বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও সেইরূপ। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি: ৫২৮)
সমস্যার সমাধান নামাজ
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো, নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদাপদ ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ: ১৩১৯)
গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায়
কোরআন মজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমক ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই দুর্ভোগ সেই নামাজিদের, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন।’ (সুরা মাউন: ৪-৫) এ জন্য খুব গুরুত্বসহকারে, সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে—ওমর ইবনুল খাত্তাব থেকে হতে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজিকে বললেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বললেন, ইহসান হলো, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে না-ও দেখ, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি: ৫০)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ইমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে