মাওলানা ইসমাইল নাজিম
নামাজে সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা মুস্তাহাব তথা উত্তম। ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র কোরআনের এই ধারাক্রম লঙ্ঘন করা মাকরুহে তানজিহি তথা অনুত্তম। তবে কখনো ভুলে ধারাবাহিকতা লঙ্ঘিত হলে কোনো অসুবিধা নেই। এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। এ জন্য সাহু সিজদাও দিতে হবে না।
আলিমগণ বলেছেন, কোরআনের সুরাগুলোর ধারাক্রম সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। তাই ফরজ নামাজে এই ধারাক্রম ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করা মাকরুহ। (আল-মাদখাল ফি দিরাসাতিল কোরআন: ৩২৬-৩২৭) আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ ধারাক্রম লঙ্ঘন করে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এই ভুলের জন্য সাহু সিজদা দিতে হবে না। (আল-বাহরুর রায়েক: ২ / ৯৪)
নফলের ক্ষেত্রে এই ধারাক্রম রক্ষা করার বিধানই নেই। হজরত হুজাইফা (রা.) একবার রাসুল (সা.)-এর পেছনে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছিলেন, তখন রাসুল (সা.) প্রথমে সুরা বাকারা, তারপর সুরা নিসা এবং তারপর সুরা আলে ইমরান তিলাওয়াত করেছিলেন। (মুসলিম: ১৬৯৭)
আলিমগণ বলেছেন, সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উত্তম। তবে কখনো এর ব্যতিক্রম হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় তিলাওয়াত করো।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০) এ ছাড়া মহানবী (সা.) থেকেও এই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম করার প্রমাণ রয়েছে, তাই এটি ইসলামে হারাম কোনো কাজ নয়।
আজকাল অনেককে কখনো ইমাম ভুলে ধারাক্রম লঙ্ঘন করে ফেললে তা নিয়ে নানা কথা বলতে শোনা যায়। মুসল্লিরা এমন সব উত্তম-অনুত্তম বিষয় নিয়ে মসজিদের ভেতরেই হট্টগোল জুড়ে দেন। এসব কাজ অন্য মুসল্লিদের নামাজের ক্ষতি ও ইমামের সম্মানহানির কারণ হয়, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আহলে কিতাব, তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না।’ (সুরা নিসা: ১৭১)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজে সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা মুস্তাহাব তথা উত্তম। ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র কোরআনের এই ধারাক্রম লঙ্ঘন করা মাকরুহে তানজিহি তথা অনুত্তম। তবে কখনো ভুলে ধারাবাহিকতা লঙ্ঘিত হলে কোনো অসুবিধা নেই। এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। এ জন্য সাহু সিজদাও দিতে হবে না।
আলিমগণ বলেছেন, কোরআনের সুরাগুলোর ধারাক্রম সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত। তাই ফরজ নামাজে এই ধারাক্রম ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করা মাকরুহ। (আল-মাদখাল ফি দিরাসাতিল কোরআন: ৩২৬-৩২৭) আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ ধারাক্রম লঙ্ঘন করে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এই ভুলের জন্য সাহু সিজদা দিতে হবে না। (আল-বাহরুর রায়েক: ২ / ৯৪)
নফলের ক্ষেত্রে এই ধারাক্রম রক্ষা করার বিধানই নেই। হজরত হুজাইফা (রা.) একবার রাসুল (সা.)-এর পেছনে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছিলেন, তখন রাসুল (সা.) প্রথমে সুরা বাকারা, তারপর সুরা নিসা এবং তারপর সুরা আলে ইমরান তিলাওয়াত করেছিলেন। (মুসলিম: ১৬৯৭)
আলিমগণ বলেছেন, সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উত্তম। তবে কখনো এর ব্যতিক্রম হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় তিলাওয়াত করো।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০) এ ছাড়া মহানবী (সা.) থেকেও এই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম করার প্রমাণ রয়েছে, তাই এটি ইসলামে হারাম কোনো কাজ নয়।
আজকাল অনেককে কখনো ইমাম ভুলে ধারাক্রম লঙ্ঘন করে ফেললে তা নিয়ে নানা কথা বলতে শোনা যায়। মুসল্লিরা এমন সব উত্তম-অনুত্তম বিষয় নিয়ে মসজিদের ভেতরেই হট্টগোল জুড়ে দেন। এসব কাজ অন্য মুসল্লিদের নামাজের ক্ষতি ও ইমামের সম্মানহানির কারণ হয়, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আহলে কিতাব, তোমরা তোমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না।’ (সুরা নিসা: ১৭১)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সন্ধ্যাবেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) সাহাবিদের এসব আমল করার উপদেশ দিতেন। এখানে কয়েকটি আমলের
৩ ঘণ্টা আগেইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১ দিন আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগে