মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে