শাহনাজ আক্তার
‘মানুষের কোনো আমলই তাকে জান্নাতে নিতে পারবে না’—রাসুল (সা.)-এর এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে হজরত আয়েশা (রা.) প্রশ্ন করেন, ‘আপনার আমলও কি আপনাকে জান্নাতে নিতে পারবে না?’ তিনি উত্তরে বলেছেন, ‘না। আমার আমলও আমাকে জান্নাতে নিতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর অনুগ্রহে ঢেকে না রাখবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আমল দিয়ে জান্নাতের উপযুক্ততা সৃষ্টি হয় না। সাধারণ মানুষের ধারণা, আমরা পৃথিবীতে যেসব আমল করি, তার উপকার, ক্ষতি ও ফলাফল প্রকাশ পাবে পরকালে। বিষয়টি পুরোটা এমন নয়। হজরত থানভি (রহ.) বলেন, ‘নেক আমলের উপকার শুধু বাকিই থাকে না, নগদেও পাওয়া যায়। তা হলো সওয়াব, আশা, আকাঙ্ক্ষা এবং আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন। বদ আমলেরও নগদ ও বাকি পরিণতি আছে। বাকি পাওনা জাহান্নামের শাস্তি আর নগদ পাওনা হলো ভয় ও অস্থিরতা। নেক আমলের নগদ ফল হলো আশা। কিন্তু যদি কেউ মনে করে, আমাকে দিয়ে একটা বড় কাজ হয়েছে, আমার নেক আমল আমাকে মুক্তি দেবে, জান্নাতে নিয়ে যাবে। এর পরিণামে মানুষের মধ্যে জন্ম হয় অহংকার ও আত্মম্ভরিতা, যা অত্যন্ত ভয়ানক ও নাজায়েজ।
অনেকে বলতে পারেন, ‘যেহেতু আমার আমল আমাকে জান্নাতে নেবে না, তাহলে আমল করার কী প্রয়োজন?’ আল্লাহর নিয়ম হলো, যখন কোনো বান্দা নেক আমল করে, তখন তাকে শান্তি দেন এবং নিজ দয়া ও অনুগ্রহের কেন্দ্রস্থল বানান, যা থেকে আমলহীন ব্যক্তি বঞ্চিত হয়। মোটকথা, আমল আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের একটি নিদর্শন, পরকালীন মুক্তির একমাত্র মাধ্যম নয়।
হজরত জুনায়েদ বাগদাদি (রহ.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমল করে জান্নাতের আশা করে, সে অহেতুক পরিশ্রম করছে। আর যে ব্যক্তি আশা করছে, আমল ছাড়া জান্নাতে চলে যাবে, সেও নিজেকে ধোঁকায় ফেলে দিচ্ছে। কারণ দুটোই জান্নাতে যাওয়ার ভুল পদ্ধতি। কারও আমল জান্নাতে নিতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমলের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার দয়া অনুগ্রহ ও রহমত শামিল না হবে। তাই আমল করতে হবে। কিন্তু আমলকে জান্নাতের উপযুক্ততার কারণ মনে করা যাবে না।’
নেক আমল আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং ভালোবাসা বাড়ায়। এক নেক আমলের পর আরেক নেক আমলের তৌফিক হলে বুঝতে হবে, প্রথম নেক আমল কবুল হয়েছে। যেমন ফজরের নামাজ আদায় করার পর জোহরের নামাজ আদায়ের তৌফিক হলে বুঝতে হবে, ফজরের নামাজ কবুল হয়েছে।
সুতরাং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁর অনুগ্রহও প্রার্থনা করতে হবে। নিয়মিত তাঁকে স্মরণ করতে হবে। গুনাহ করলে যেমন তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে হবে, তেমনি ইবাদত করেও নিজেকে অহংকারে নিমজ্জিত করা যাবে না; বরং সব সময় আল্লাহর একান্ত অনুগত দাস হয়ে তাঁর করুণার ভিখারি হয়ে থাকতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা
‘মানুষের কোনো আমলই তাকে জান্নাতে নিতে পারবে না’—রাসুল (সা.)-এর এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে হজরত আয়েশা (রা.) প্রশ্ন করেন, ‘আপনার আমলও কি আপনাকে জান্নাতে নিতে পারবে না?’ তিনি উত্তরে বলেছেন, ‘না। আমার আমলও আমাকে জান্নাতে নিতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর অনুগ্রহে ঢেকে না রাখবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আমল দিয়ে জান্নাতের উপযুক্ততা সৃষ্টি হয় না। সাধারণ মানুষের ধারণা, আমরা পৃথিবীতে যেসব আমল করি, তার উপকার, ক্ষতি ও ফলাফল প্রকাশ পাবে পরকালে। বিষয়টি পুরোটা এমন নয়। হজরত থানভি (রহ.) বলেন, ‘নেক আমলের উপকার শুধু বাকিই থাকে না, নগদেও পাওয়া যায়। তা হলো সওয়াব, আশা, আকাঙ্ক্ষা এবং আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন। বদ আমলেরও নগদ ও বাকি পরিণতি আছে। বাকি পাওনা জাহান্নামের শাস্তি আর নগদ পাওনা হলো ভয় ও অস্থিরতা। নেক আমলের নগদ ফল হলো আশা। কিন্তু যদি কেউ মনে করে, আমাকে দিয়ে একটা বড় কাজ হয়েছে, আমার নেক আমল আমাকে মুক্তি দেবে, জান্নাতে নিয়ে যাবে। এর পরিণামে মানুষের মধ্যে জন্ম হয় অহংকার ও আত্মম্ভরিতা, যা অত্যন্ত ভয়ানক ও নাজায়েজ।
অনেকে বলতে পারেন, ‘যেহেতু আমার আমল আমাকে জান্নাতে নেবে না, তাহলে আমল করার কী প্রয়োজন?’ আল্লাহর নিয়ম হলো, যখন কোনো বান্দা নেক আমল করে, তখন তাকে শান্তি দেন এবং নিজ দয়া ও অনুগ্রহের কেন্দ্রস্থল বানান, যা থেকে আমলহীন ব্যক্তি বঞ্চিত হয়। মোটকথা, আমল আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের একটি নিদর্শন, পরকালীন মুক্তির একমাত্র মাধ্যম নয়।
হজরত জুনায়েদ বাগদাদি (রহ.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমল করে জান্নাতের আশা করে, সে অহেতুক পরিশ্রম করছে। আর যে ব্যক্তি আশা করছে, আমল ছাড়া জান্নাতে চলে যাবে, সেও নিজেকে ধোঁকায় ফেলে দিচ্ছে। কারণ দুটোই জান্নাতে যাওয়ার ভুল পদ্ধতি। কারও আমল জান্নাতে নিতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমলের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার দয়া অনুগ্রহ ও রহমত শামিল না হবে। তাই আমল করতে হবে। কিন্তু আমলকে জান্নাতের উপযুক্ততার কারণ মনে করা যাবে না।’
নেক আমল আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং ভালোবাসা বাড়ায়। এক নেক আমলের পর আরেক নেক আমলের তৌফিক হলে বুঝতে হবে, প্রথম নেক আমল কবুল হয়েছে। যেমন ফজরের নামাজ আদায় করার পর জোহরের নামাজ আদায়ের তৌফিক হলে বুঝতে হবে, ফজরের নামাজ কবুল হয়েছে।
সুতরাং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁর অনুগ্রহও প্রার্থনা করতে হবে। নিয়মিত তাঁকে স্মরণ করতে হবে। গুনাহ করলে যেমন তওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে হবে, তেমনি ইবাদত করেও নিজেকে অহংকারে নিমজ্জিত করা যাবে না; বরং সব সময় আল্লাহর একান্ত অনুগত দাস হয়ে তাঁর করুণার ভিখারি হয়ে থাকতে হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৮ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৯ ঘণ্টা আগে