মাহমুদ হাসান ফাহিম
সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করা, তাঁদের গালমন্দ করা এবং তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পুষে রাখা ইসলামে অনুমোদিত নয়। কারণ আল্লাহ তাআলা সাহাবিদের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং তাঁদের ব্যাপারে এমন কথা বলা মুসলমানদের জন্য উচিত নয়, যা তাঁদের প্রতি মানুষের মনে ঘৃণা বা বিদ্বেষ উৎপাদন করে।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘যখন দেখবে কোনো ব্যক্তি সাহাবিদের কারও সমালোচনা করছে, তখন বুঝে নেবে, তার ইমান ও ইসলামে খাদ আছে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৮ / ২৬৫)
সালাফদের আরেক বিজ্ঞজন বলেছেন, ‘আমি শামের এক পাহাড়ে অবস্থান করছিলাম। তখন অদৃশ্য এক ঘোষককে বলতে শুনলাম, সিদ্দিকের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী জিন্দিক বা ধর্মদ্রোহী, ওমরের প্রতি বিদ্বেষীর ঠাঁই জাহান্নাম, ওসমানবিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ স্বয়ং আল্লাহ আর আলীর বিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ নবী (সা.)। আর যে মুয়াবিয়ার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, জাহান্নামের ফেরেশতারা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবে। সে নিক্ষিপ্ত হবে উত্তপ্ত জাহান্নামে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৮ / ২৬৫-২৬৬)
ইমাম সারাখসি (রহ.) লিখেছেন, ‘কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসা করেছেন। রাসুল (সা.) তাঁদের ‘খাইরুন্নাস’ তথা সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করবে, সে মুলহিদ ও ধর্মহীন। ইসলামকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী। (উসুলে সারাখসি: ২ / ১৩৪)
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) লিখেছেন, ‘চার খলিফার পর সব সাহাবিই “খাইরুন্নাস” বা শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁদের দোষ বর্ণনা করা কারও জন্য জায়েজ নেই। যদি কোনো হতভাগা এমন করে, তাহলে শাসক তাকে শাস্তি দেবেন। তাকে ক্ষমা করা যাবে না, বরং শাস্তি দিতে হবে। যদি সে তওবা করে, তাহলে তার তওবা গ্রহণ করা হবে।’ (আসসারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসুল: ৫৬৮ ও ৫৭৩)
সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করা, তাঁদের গালমন্দ করা এবং তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পুষে রাখা ইসলামে অনুমোদিত নয়। কারণ আল্লাহ তাআলা সাহাবিদের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং তাঁদের ব্যাপারে এমন কথা বলা মুসলমানদের জন্য উচিত নয়, যা তাঁদের প্রতি মানুষের মনে ঘৃণা বা বিদ্বেষ উৎপাদন করে।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, ‘যখন দেখবে কোনো ব্যক্তি সাহাবিদের কারও সমালোচনা করছে, তখন বুঝে নেবে, তার ইমান ও ইসলামে খাদ আছে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৮ / ২৬৫)
সালাফদের আরেক বিজ্ঞজন বলেছেন, ‘আমি শামের এক পাহাড়ে অবস্থান করছিলাম। তখন অদৃশ্য এক ঘোষককে বলতে শুনলাম, সিদ্দিকের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী জিন্দিক বা ধর্মদ্রোহী, ওমরের প্রতি বিদ্বেষীর ঠাঁই জাহান্নাম, ওসমানবিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ স্বয়ং আল্লাহ আর আলীর বিদ্বেষীর প্রতিপক্ষ নবী (সা.)। আর যে মুয়াবিয়ার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, জাহান্নামের ফেরেশতারা তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবে। সে নিক্ষিপ্ত হবে উত্তপ্ত জাহান্নামে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৮ / ২৬৫-২৬৬)
ইমাম সারাখসি (রহ.) লিখেছেন, ‘কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসা করেছেন। রাসুল (সা.) তাঁদের ‘খাইরুন্নাস’ তথা সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করবে, সে মুলহিদ ও ধর্মহীন। ইসলামকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী। (উসুলে সারাখসি: ২ / ১৩৪)
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) লিখেছেন, ‘চার খলিফার পর সব সাহাবিই “খাইরুন্নাস” বা শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁদের দোষ বর্ণনা করা কারও জন্য জায়েজ নেই। যদি কোনো হতভাগা এমন করে, তাহলে শাসক তাকে শাস্তি দেবেন। তাকে ক্ষমা করা যাবে না, বরং শাস্তি দিতে হবে। যদি সে তওবা করে, তাহলে তার তওবা গ্রহণ করা হবে।’ (আসসারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসুল: ৫৬৮ ও ৫৭৩)
হজ ও ওমরাহ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দুটি ইবাদত। সামর্থ্যবান ব্যক্তিরাই কেবল এই মহান ফজিলত অর্জনের সুযোগ পান। কারণ পবিত্র মক্কা নগরীতে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য পৃথিবীর সব মুসলমানের হয় না।
৪ ঘণ্টা আগেচারটি অনুপম এমন গুণ আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিবান বিনয়ী ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায়। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলোআনা বিদ্যমান ছিল। সেগুলো হলো— অসুস্থ মানুষের সেবা-শুশ্রূষা: নবী (সা.) ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নিতেন।
১ দিন আগেআরবি ‘মিরাজ’ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রজনী উপমহাদেশে শবে মিরাজ হিসেবে পরিচিত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কুদরতিভাবে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিরাজের পটভূমি সম্পর্কে জ্ঞানীরা বলেছেন, জন্মের আগেই বাবাকে হারান প্রিয় নবী (সা.)।
৩ দিন আগেমিরাজের রাতের আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে তাঁর অসংখ্য নিদর্শন দেখিয়েছেন। অদৃশ্য জগতের অনেক কিছুই তাঁকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সফরে তিনি জাহান্নামে কয়েক শ্রেণির মানুষের ভয়ংকর পরিণতি দেখেছেন। হাদিসের আলোকে তেমনই কিছু মানুষের কথা
৩ দিন আগে