মুফতি আইয়ুব নাদীম শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। কোরআনের ভাষায় ‘আরবাআতুল হুরুম’ তথা চার সম্মানিত মাসের অন্যতম মাস মহররম। মুসলমানদের মধ্যে এই মাসকেন্দ্রিক অনেক কুসংস্কার, ভুল বিশ্বাস ও কাজের চর্চা প্রচলিত রয়েছে, যার সিংহভাগই ভিত্তিহীন। ইসলামি শরিয়ত সমর্থিত তিনটি প্রমাণিত ও ফজিলতপূর্ণ আমলের কথা নিচে তুলে ধরা হলো—
এক. যেকোনো দিনের রোজা: মহররম মাসে নফল রোজা রাখার সওয়াব অন্য মাসের নফল রোজা রাখার চেয়ে বেশি। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।’ (মুসলিম: ১১৬৩)
দুই. আশুরার ২ রোজা: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু কাতাদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশা রাখি যে মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখবে, তাঁর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (মুসলিম: ১১৬২) আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং তাতে ইহুদিদের বিপরীত করো, (তারা মাত্র এক দিন রোজা রাখে) তোমরা আগের দিন বা পরের দিনও রোজা রাখো।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ২০৯৫)
তিন. ভালো খাবার গ্রহণ: হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিন পরিবার-পরিজনের জন্য খাবারে প্রশস্ততা আনবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সারা বছর সচ্ছলতা দান করবেন।’ (আল মুজামুল কাবির: ১০০০৭) হাদিসটি সূত্র বিবেচনায় দুর্বল হলেও একাধিক সূত্রে বর্ণিত (সহি লিগাইরিহি পর্যায়ের) হওয়ায় অস্বীকার করা যায় না। তাই ফজিলতের ক্ষেত্রে এই ধরনের হাদিসের ভিত্তিতে আলিমরা মহররমের ১০ তারিখে খাবারের প্রশস্ততা আনা মুস্তাহাব বলেছেন।
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। কোরআনের ভাষায় ‘আরবাআতুল হুরুম’ তথা চার সম্মানিত মাসের অন্যতম মাস মহররম। মুসলমানদের মধ্যে এই মাসকেন্দ্রিক অনেক কুসংস্কার, ভুল বিশ্বাস ও কাজের চর্চা প্রচলিত রয়েছে, যার সিংহভাগই ভিত্তিহীন। ইসলামি শরিয়ত সমর্থিত তিনটি প্রমাণিত ও ফজিলতপূর্ণ আমলের কথা নিচে তুলে ধরা হলো—
এক. যেকোনো দিনের রোজা: মহররম মাসে নফল রোজা রাখার সওয়াব অন্য মাসের নফল রোজা রাখার চেয়ে বেশি। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।’ (মুসলিম: ১১৬৩)
দুই. আশুরার ২ রোজা: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু কাতাদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশা রাখি যে মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখবে, তাঁর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (মুসলিম: ১১৬২) আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং তাতে ইহুদিদের বিপরীত করো, (তারা মাত্র এক দিন রোজা রাখে) তোমরা আগের দিন বা পরের দিনও রোজা রাখো।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ২০৯৫)
তিন. ভালো খাবার গ্রহণ: হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিন পরিবার-পরিজনের জন্য খাবারে প্রশস্ততা আনবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সারা বছর সচ্ছলতা দান করবেন।’ (আল মুজামুল কাবির: ১০০০৭) হাদিসটি সূত্র বিবেচনায় দুর্বল হলেও একাধিক সূত্রে বর্ণিত (সহি লিগাইরিহি পর্যায়ের) হওয়ায় অস্বীকার করা যায় না। তাই ফজিলতের ক্ষেত্রে এই ধরনের হাদিসের ভিত্তিতে আলিমরা মহররমের ১০ তারিখে খাবারের প্রশস্ততা আনা মুস্তাহাব বলেছেন।
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৭ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৭ ঘণ্টা আগে