আরওয়া তাসনিম
ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। তাই কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা মেনে ঈদের আমেজে মেতে ওঠা উচিত। নবী করিম (সা.) যেভাবে ঈদ পালন করতেন, তা হতে পারে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)। প্রিয় নবীর (সা.) দেখানো পথে যদি আমাদের ঈদটি সাজাতে পারি, তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টিও অর্জন সম্ভব। ঈদকেন্দ্রিক রাসুল (সা.)-এর আমলগুলো জেনে নেওয়া যাক—
চাঁদ দেখে ঈদ পালন
যান্ত্রিক জীবনে আমরা ঈদের চাঁদ দেখার আনন্দ ভুলে গেছি বললেই চলে। অথচ ঈদের চাঁদ দেখা সুন্নত। নবী করিম (সা.) চাঁদ দেখে ঈদ করার কথা বলেছেন।
ঈদের নতুন চাঁদ দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ইমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদ সৌভাগ্য ও ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫১)
চাঁদরাতের ইবাদত
চাঁদরাত তথা ঈদের রাত সাধ্যমতো নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ইত্যাদির মাধ্যমে কাটানো উচিত। এ রাতের ইবাদতের অনেক ফজিলত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ঈদুল ফিতরের রাতে (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আত তারগিব: ১৬৫৬)
নবীজি (সা.) আরও বলেন, যে দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াব পাওয়ার নিয়তে ইবাদত করবে, তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে, যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৮২)
ঈদগাহে যাওয়ার প্রস্তুতি
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদের দিন গোসল করতেন। (সহিহ বুখারি)। নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা ঈদের দিন তাঁদের সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরিধান করতেন। (ফাতহুল বারি)। তাই ঈদের দিন সাধ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা সুন্নত।
আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিছু খেজুর খেতেন। অন্য এক বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি বিজোড়সংখ্যক খেজুর খেতেন। (সহিহ বুখারি)
ওয়াজিব সদকাতুল ফিতর যদি আদায় করা না হয়, তাহলে ঈদগাহে যাওয়ার আগেই তা আদায় করা উচিত। নিজ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এই সদকা আদায় করতে হয়।
ঈদগাহে যাওয়ার সুন্নত
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছানো পর্যন্ত তাকবির বলতেন। (মুসতাদরাকে হাকেম: ১১০৬)। ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতেন। (সহিহ বুখারি)। এ ছাড়া তিনি হেঁটে ঈদগাহে যেতেন এবং হেঁটে ঈদগাহ থেকে ফিরতেন। (সুনানে তিরমিজি)
ঈদে শিশুদের সঙ্গ দেওয়া
ঈদের দিন শিশুদের সময় দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা উচিত। ঈদগাহে যাওয়ার সময় শিশুদের সঙ্গে নেওয়া সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় ফজল ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্বাস, আলী, জাফর, হাসান, হুসাইন, উসামা ইবনে জায়েদ, জায়েদ ইবনে হারিসা ও আয়মান ইবনে উম্মে আয়মানকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চ স্বরে তাকবির পাঠ করতে করতে বের হতেন। (বায়হাকি)
ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। তাই কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা মেনে ঈদের আমেজে মেতে ওঠা উচিত। নবী করিম (সা.) যেভাবে ঈদ পালন করতেন, তা হতে পারে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)। প্রিয় নবীর (সা.) দেখানো পথে যদি আমাদের ঈদটি সাজাতে পারি, তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টিও অর্জন সম্ভব। ঈদকেন্দ্রিক রাসুল (সা.)-এর আমলগুলো জেনে নেওয়া যাক—
চাঁদ দেখে ঈদ পালন
যান্ত্রিক জীবনে আমরা ঈদের চাঁদ দেখার আনন্দ ভুলে গেছি বললেই চলে। অথচ ঈদের চাঁদ দেখা সুন্নত। নবী করিম (সা.) চাঁদ দেখে ঈদ করার কথা বলেছেন।
ঈদের নতুন চাঁদ দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ইমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদ সৌভাগ্য ও ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫১)
চাঁদরাতের ইবাদত
চাঁদরাত তথা ঈদের রাত সাধ্যমতো নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ইত্যাদির মাধ্যমে কাটানো উচিত। এ রাতের ইবাদতের অনেক ফজিলত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ঈদুল ফিতরের রাতে (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (আত তারগিব: ১৬৫৬)
নবীজি (সা.) আরও বলেন, যে দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াব পাওয়ার নিয়তে ইবাদত করবে, তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে, যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৮২)
ঈদগাহে যাওয়ার প্রস্তুতি
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদের দিন গোসল করতেন। (সহিহ বুখারি)। নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা ঈদের দিন তাঁদের সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরিধান করতেন। (ফাতহুল বারি)। তাই ঈদের দিন সাধ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা সুন্নত।
আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিছু খেজুর খেতেন। অন্য এক বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি বিজোড়সংখ্যক খেজুর খেতেন। (সহিহ বুখারি)
ওয়াজিব সদকাতুল ফিতর যদি আদায় করা না হয়, তাহলে ঈদগাহে যাওয়ার আগেই তা আদায় করা উচিত। নিজ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এই সদকা আদায় করতে হয়।
ঈদগাহে যাওয়ার সুন্নত
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছানো পর্যন্ত তাকবির বলতেন। (মুসতাদরাকে হাকেম: ১১০৬)। ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতেন। (সহিহ বুখারি)। এ ছাড়া তিনি হেঁটে ঈদগাহে যেতেন এবং হেঁটে ঈদগাহ থেকে ফিরতেন। (সুনানে তিরমিজি)
ঈদে শিশুদের সঙ্গ দেওয়া
ঈদের দিন শিশুদের সময় দেওয়া এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা উচিত। ঈদগাহে যাওয়ার সময় শিশুদের সঙ্গে নেওয়া সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় ফজল ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্বাস, আলী, জাফর, হাসান, হুসাইন, উসামা ইবনে জায়েদ, জায়েদ ইবনে হারিসা ও আয়মান ইবনে উম্মে আয়মানকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চ স্বরে তাকবির পাঠ করতে করতে বের হতেন। (বায়হাকি)
ঈদুল ফিতরের নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এই নামাজ অন্যান্য নামাজের চেয়ে ভিন্ন, কারণ এতে অতিরিক্ত ৬টি তাকবির থাকে। নিচে ঈদের নামাজের সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
১৬ ঘণ্টা আগেঈদ এলেই ঘরে ঘরে উৎসব হয়। নানা পদের খাবার রান্না হয়। গায়ে আসে নতুন জামা। নতুন জামা পরিধানের চমৎকার একটি দোয়া বর্ণিত আছে। ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরিধানের সময় দোয়াটি আমরা পড়তে পারি।
১ দিন আগেমুসলমানের প্রতিটি বৈধ কাজই ইবাদত, যদি নিয়ত শুদ্ধ থাকে। ঈদুল ফিতরও এর বাইরে নয়। ঈদ কীভাবে পালন করতে হবে, ঈদের দিন কীভাবে কাটাতে হবে তা নিয়ে রয়েছে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
১ দিন আগেহিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
১ দিন আগে