মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রশ্ন: বর্তমানে সহজেই কাপড় ধোয়ার মাধ্যম হিসেবে অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাক-নাপাক সব কাপড় তাতে ধোয়া হয়। প্রশ্ন হলো, ওয়াশিং মেশিনে নাপাক কাপড় ধুলে তা পাক হবে কি না? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই। জান্নাতুল মাওয়া, চট্টগ্রাম।
উত্তর: ইসলামি শরিয়তে কাপড়ে নাপাক বা অপবিত্র বস্তু লাগলে তা পরিষ্কার করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। তা হলো, যদি শুকিয়ে যাওয়ার পরও দৃশ্যমান থাকে এমন নাপাক বস্তু হয়, যেমন—পায়খানা, রক্ত, গাঢ় বীর্য ইত্যাদি কাপড়ে লাগে, তখন সেই নাপাক দূর হওয়া পর্যন্ত ধুতে হবে। এ ক্ষেত্রে কতবার ধুতে হবে তা নির্দিষ্ট নয়। একবারে দূর হয়ে গেলে একবারই যথেষ্ট। মূল নাপাক দূর হয়ে গেলেই হবে, রং ও ঘ্রাণ দূর করা কষ্টকর হলে তার প্রয়োজন নেই।
শুকিয়ে যাওয়ার পরে দৃশ্যমান থাকে না এমন নাপাক বস্তু হলে যেমন—প্রস্রাব, পাতলা বীর্য, মজি (প্রাক্বীর্য রস) ইত্যাদি কাপড়ে লাগলে, তখন ওই কাপড় তিনবার নতুন পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং প্রতিবার ভালোভাবে নিংড়াতে হবে। প্রবহমান পানির স্রোতে দীর্ঘক্ষণ (যতক্ষণে কাপড় তিনবার নতুন পানি গ্রহণ করে ছেড়ে দেয়) কাপড় ধরে রাখলেও পাক হয়ে যায়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৪২, রদ্দুল মুহতার: ১ / ৩৩১)
সাধারণত ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে, কাপড় রাখার পর মেশিন অন করা হয়, তারপর মেশিন প্রথমে ডিটারজেন্ট পাউডারমিশ্রিত পানি দ্বারা কাপড় ভালোভাবে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে, এরপর নিংড়িয়ে পানি বের করে দেয়। এরপর ডিটারজেন্ট পাউডার ছাড়া শুধু পানি দ্বারা দুইবার ওই পদ্ধতিতে কাপড় ধোয়া হয়। এভাবে তিনবার ধোয়া হয়ে যায় বিধায় কাপড় পাক হয়ে যাবে। তবে কোনো মেশিনে যদি শুধু একবার কাপড় ধোয়ার সিস্টেম থাকে, সেই মেশিনে নাপাক কাপড় ধোয়ার পর বাইরে পরিষ্কার পানিতে দুইবার ধুয়ে নিংড়াতে হবে। উল্লেখ্য, কাপড়ে দৃশ্যমান ও গাঢ় কোনো নাপাক বস্তু থাকলে ওয়াশিং মেশিনে রাখার আগে তা দূর করে ফেলা উচিত।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: বর্তমানে সহজেই কাপড় ধোয়ার মাধ্যম হিসেবে অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাক-নাপাক সব কাপড় তাতে ধোয়া হয়। প্রশ্ন হলো, ওয়াশিং মেশিনে নাপাক কাপড় ধুলে তা পাক হবে কি না? ইসলামি শরিয়তের আলোকে জানতে চাই। জান্নাতুল মাওয়া, চট্টগ্রাম।
উত্তর: ইসলামি শরিয়তে কাপড়ে নাপাক বা অপবিত্র বস্তু লাগলে তা পরিষ্কার করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। তা হলো, যদি শুকিয়ে যাওয়ার পরও দৃশ্যমান থাকে এমন নাপাক বস্তু হয়, যেমন—পায়খানা, রক্ত, গাঢ় বীর্য ইত্যাদি কাপড়ে লাগে, তখন সেই নাপাক দূর হওয়া পর্যন্ত ধুতে হবে। এ ক্ষেত্রে কতবার ধুতে হবে তা নির্দিষ্ট নয়। একবারে দূর হয়ে গেলে একবারই যথেষ্ট। মূল নাপাক দূর হয়ে গেলেই হবে, রং ও ঘ্রাণ দূর করা কষ্টকর হলে তার প্রয়োজন নেই।
শুকিয়ে যাওয়ার পরে দৃশ্যমান থাকে না এমন নাপাক বস্তু হলে যেমন—প্রস্রাব, পাতলা বীর্য, মজি (প্রাক্বীর্য রস) ইত্যাদি কাপড়ে লাগলে, তখন ওই কাপড় তিনবার নতুন পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং প্রতিবার ভালোভাবে নিংড়াতে হবে। প্রবহমান পানির স্রোতে দীর্ঘক্ষণ (যতক্ষণে কাপড় তিনবার নতুন পানি গ্রহণ করে ছেড়ে দেয়) কাপড় ধরে রাখলেও পাক হয়ে যায়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৪২, রদ্দুল মুহতার: ১ / ৩৩১)
সাধারণত ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে, কাপড় রাখার পর মেশিন অন করা হয়, তারপর মেশিন প্রথমে ডিটারজেন্ট পাউডারমিশ্রিত পানি দ্বারা কাপড় ভালোভাবে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে, এরপর নিংড়িয়ে পানি বের করে দেয়। এরপর ডিটারজেন্ট পাউডার ছাড়া শুধু পানি দ্বারা দুইবার ওই পদ্ধতিতে কাপড় ধোয়া হয়। এভাবে তিনবার ধোয়া হয়ে যায় বিধায় কাপড় পাক হয়ে যাবে। তবে কোনো মেশিনে যদি শুধু একবার কাপড় ধোয়ার সিস্টেম থাকে, সেই মেশিনে নাপাক কাপড় ধোয়ার পর বাইরে পরিষ্কার পানিতে দুইবার ধুয়ে নিংড়াতে হবে। উল্লেখ্য, কাপড়ে দৃশ্যমান ও গাঢ় কোনো নাপাক বস্তু থাকলে ওয়াশিং মেশিনে রাখার আগে তা দূর করে ফেলা উচিত।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৩ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৪ দিন আগে