ড. ক্রেইগ কনসিডাইন

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী। সেকালের নিয়মমতো কোনো এক দুর্ভাগ্যের বেড়াজালে আটকে তিনি ক্রীতদাসীতে পরিণত হন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত ধর্মে বিশ্বাস স্থাপনের কারণে বিলালের ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। বিলালের মনিব তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার করতে শুরু করে। তাঁকে মক্কার পথে-প্রান্তরে, উত্তপ্ত মরুভূমিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হতো। ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য অত্যুৎসাহী জনতার কাছে ছুড়ে দেওয়া হতো। জ্বলন্ত অঙ্গারসম মরুভূমিতে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হতো। বুকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতো বিশাল পাথর। এভাবে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে ইসলাম ত্যাগের আদেশ দিত নিষ্ঠুর মনিব। কিন্তু বিলাল বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হারাননি। তাঁর ইমানের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও তিনি ‘আল্লাহ এক’ ‘আল্লাহ এক’ বলে নির্যাতন সয়ে যান।
ইসলামের প্রতি বিলালের অটুট বিশ্বাস ও নজিরবিহীন ত্যাগ দেখে নবী মুহাম্মদ (সা.) আবু বকরের মাধ্যমে নিষ্ঠুর মনিবের কাছ থেকে বেশ চড়া দামে তাঁকে কিনে নেন। এরপর রাসুলের পরামর্শে আবু বকর তাঁকে দাসত্বের কবল থেকে মুক্ত করে দেন।
দাসত্বের শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিলাল প্রাথমিক মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাতারে শামিল হলেন এবং নবীজির সঙ্গে মক্কায় দাওয়াতের কাজ চালিয়ে গেলেন। মদিনায় হিজরতের পর আজানের প্রত্যাদেশ এলে নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁকেই মসজিদে নববিতে আজান দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেন। এভাবে তিনি ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিনের মর্যাদা লাভ করেন।
বিলাল কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। তাঁর গায়ের রঙের কারণে বিষয়টি অনেকের কাছে বেমানান ঠেকল। একজন কালো মানুষের জন্য এমন সম্মানজনক দায়িত্ব মানায় না! একবার কোনো এক ঘটনার জেরে এক সাহাবি মুখ ফসকে বিলালের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন। ‘এই, কৃষ্ণাঙ্গের ছেলে’ বলে সম্বোধন করে তাঁকে অপমানিত করলেন। এ ঘটনায় নবীজি খুব বেশি অসন্তুষ্ট হলেন। সেই সাহাবিকে ডেকে বললেন, ‘তুমি তাঁর মায়ের নামে গালি দিয়েছ? তোমার মধ্যে দেখি এখনো কিছুটা জাহেলি যুগের স্বভাব রয়ে গেছে।’
এভাবেই বর্ণবৈষম্যের বিষবৃক্ষের শিকড় উপড়ে ফেলতে নবী মুহাম্মদ (সা.) মনোযোগী হন। যে সমাজে ব্যক্তির বংশপরিচয় তার নীতি-নৈতিকতা ও সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি ভাবা হয়, সেই সমাজকে তিনি অন্ধকার রাজ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই বর্ণবাদ বিরোধিতা সপ্তম শতাব্দীর প্রভাবশালী আরব বর্ণবাদকে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দেয়। ইসলামের প্রভাব যতই বেড়েছে, বর্ণবৈষম্যের কুসংস্কার পেছনে ঠেলে সাদা-কালোর পার্থক্য না করে মুসলমানরা একই শামিয়ানার তলে আশ্রয় নিয়েছে।
তর্ক সাপেক্ষে, নবী মুহাম্মদ (সা.)ই ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, বর্ণ বা বংশগুণে কেউ কারও ঊর্ধ্বে নয়। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে আরাফাতের ময়দানে দেওয়া বিখ্যাত বিদায় হজের ভাষণটি আজও ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে। সেই ভাষণে নবী মুহাম্মদ (সা.) দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বর্ণবাদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘সমগ্র মানবজাতি আদম ও হাওয়ার সন্তান। অনারবের ওপর আরবের কোনো প্রাধান্য নেই। তেমনি আরবের ওপর অনারবেরও কোনো প্রাধান্য নেই। শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের বা কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো প্রাধান্য নেই। প্রাধান্য কেবল তাকওয়া, পুণ্য ও ভালো কাজের ভিত্তিতেই হবে।’
আজও নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই শিক্ষা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে মানবজাতিকে আলো বিতরণ করছে। যুগে যুগে মানুষ বর্ণপ্রথার মূলোৎপাটনে এবং সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আসছে। মুসলিম নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মালিক আল-শাহবাজের কথাই ধরা যাক, ম্যালকম এক্স নামেই যিনি অধিক পরিচিত। গত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাপক সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
মক্কায় হজ পালন শেষে ম্যালকম এক্স সেই বিখ্যাত পত্রটি লেখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এখানে সারা বিশ্ব থেকে আগত লক্ষাধিক হাজি অংশ নিয়েছিলেন। কারও নীল চোখ, সোনালি চুল; কেউ আবার আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু আমরা সবাই একই ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের প্রকৃত অর্থ এখানেই ফুটে উঠেছে। অথচ আমার আমেরিকার অভিজ্ঞতা আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে সাদা-কালোর এরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ মিলনের অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে অসম্ভব!’
ম্যালকম এক্স আরও বলেছেন, ‘নিজেদের বর্ণের বাইরে গিয়ে, অন্যদের সঙ্গে মিশে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ ভ্রাতৃত্বের চর্চা ইতিপূর্বে তিনি কখনো দেখেননি। ম্যালকম মনে করেন, হজ বর্ণবাদের ঘৃণ্য দেয়াল ভেঙে দেয় এবং বর্ণসমতার পথ দেখায়।’
এ ছাড়া নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর বর্ণবাদবিরোধী শিক্ষা সাধারণ বর্ণসমতার চিন্তাধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাধারণ অবর্ণবাদীরা বর্ণবাদের কুসংস্কারগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে না, সোচ্চারভাবে মত প্রকাশ করে না। সমাজ থেকে বর্ণবাদের অভিশাপ মুছে দিতেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। পক্ষান্তরে, নবী মুহাম্মদ (সা.) কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকা ভেতরে-বাইরের সব ধরনের বর্ণবাদের দেয়াল ভেঙে ফেলেন। তিনি বর্ণবাদকে সমাজের মারাত্মক উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেন, যার মূল কারণ মানুষের অহংকার ও শ্রেষ্ঠত্বের মনোভাব।
আজকের পৃথিবী খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। তাই নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমি নিজেও একজন অমুসলিম, কিন্তু আমি স্বীকার করতে বাধ্য, নবী মুহাম্মদের বর্ণবৈষম্যবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি অনুপ্রাণিত হই। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন মানুষ তার গোত্র পরিচয়ে অন্য কারও থেকে আলাদা নয়, বরং উন্নত চরিত্র ও ভালো আচরণের মাধ্যমে একে অন্যের চেয়ে পৃথক ও স্বতন্ত্র বিবেচিত হয়।
লেখক: আইরিশ-আমেরিকান স্কলার এবং টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক।
‘অ্যাবাউট ইসলাম’ থেকে মিশকাত মুহাম্মদের ভাষান্তর

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী। সেকালের নিয়মমতো কোনো এক দুর্ভাগ্যের বেড়াজালে আটকে তিনি ক্রীতদাসীতে পরিণত হন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত ধর্মে বিশ্বাস স্থাপনের কারণে বিলালের ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ নির্যাতন। বিলালের মনিব তাঁর ওপর নির্মম অত্যাচার করতে শুরু করে। তাঁকে মক্কার পথে-প্রান্তরে, উত্তপ্ত মরুভূমিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হতো। ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য অত্যুৎসাহী জনতার কাছে ছুড়ে দেওয়া হতো। জ্বলন্ত অঙ্গারসম মরুভূমিতে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হতো। বুকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতো বিশাল পাথর। এভাবে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে ইসলাম ত্যাগের আদেশ দিত নিষ্ঠুর মনিব। কিন্তু বিলাল বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হারাননি। তাঁর ইমানের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও তিনি ‘আল্লাহ এক’ ‘আল্লাহ এক’ বলে নির্যাতন সয়ে যান।
ইসলামের প্রতি বিলালের অটুট বিশ্বাস ও নজিরবিহীন ত্যাগ দেখে নবী মুহাম্মদ (সা.) আবু বকরের মাধ্যমে নিষ্ঠুর মনিবের কাছ থেকে বেশ চড়া দামে তাঁকে কিনে নেন। এরপর রাসুলের পরামর্শে আবু বকর তাঁকে দাসত্বের কবল থেকে মুক্ত করে দেন।
দাসত্বের শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিলাল প্রাথমিক মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাতারে শামিল হলেন এবং নবীজির সঙ্গে মক্কায় দাওয়াতের কাজ চালিয়ে গেলেন। মদিনায় হিজরতের পর আজানের প্রত্যাদেশ এলে নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁকেই মসজিদে নববিতে আজান দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেন। এভাবে তিনি ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিনের মর্যাদা লাভ করেন।
বিলাল কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। তাঁর গায়ের রঙের কারণে বিষয়টি অনেকের কাছে বেমানান ঠেকল। একজন কালো মানুষের জন্য এমন সম্মানজনক দায়িত্ব মানায় না! একবার কোনো এক ঘটনার জেরে এক সাহাবি মুখ ফসকে বিলালের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন। ‘এই, কৃষ্ণাঙ্গের ছেলে’ বলে সম্বোধন করে তাঁকে অপমানিত করলেন। এ ঘটনায় নবীজি খুব বেশি অসন্তুষ্ট হলেন। সেই সাহাবিকে ডেকে বললেন, ‘তুমি তাঁর মায়ের নামে গালি দিয়েছ? তোমার মধ্যে দেখি এখনো কিছুটা জাহেলি যুগের স্বভাব রয়ে গেছে।’
এভাবেই বর্ণবৈষম্যের বিষবৃক্ষের শিকড় উপড়ে ফেলতে নবী মুহাম্মদ (সা.) মনোযোগী হন। যে সমাজে ব্যক্তির বংশপরিচয় তার নীতি-নৈতিকতা ও সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি ভাবা হয়, সেই সমাজকে তিনি অন্ধকার রাজ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই বর্ণবাদ বিরোধিতা সপ্তম শতাব্দীর প্রভাবশালী আরব বর্ণবাদকে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দেয়। ইসলামের প্রভাব যতই বেড়েছে, বর্ণবৈষম্যের কুসংস্কার পেছনে ঠেলে সাদা-কালোর পার্থক্য না করে মুসলমানরা একই শামিয়ানার তলে আশ্রয় নিয়েছে।
তর্ক সাপেক্ষে, নবী মুহাম্মদ (সা.)ই ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, বর্ণ বা বংশগুণে কেউ কারও ঊর্ধ্বে নয়। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে আরাফাতের ময়দানে দেওয়া বিখ্যাত বিদায় হজের ভাষণটি আজও ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে। সেই ভাষণে নবী মুহাম্মদ (সা.) দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বর্ণবাদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘সমগ্র মানবজাতি আদম ও হাওয়ার সন্তান। অনারবের ওপর আরবের কোনো প্রাধান্য নেই। তেমনি আরবের ওপর অনারবেরও কোনো প্রাধান্য নেই। শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের বা কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো প্রাধান্য নেই। প্রাধান্য কেবল তাকওয়া, পুণ্য ও ভালো কাজের ভিত্তিতেই হবে।’
আজও নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই শিক্ষা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে মানবজাতিকে আলো বিতরণ করছে। যুগে যুগে মানুষ বর্ণপ্রথার মূলোৎপাটনে এবং সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আসছে। মুসলিম নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মালিক আল-শাহবাজের কথাই ধরা যাক, ম্যালকম এক্স নামেই যিনি অধিক পরিচিত। গত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাপক সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
মক্কায় হজ পালন শেষে ম্যালকম এক্স সেই বিখ্যাত পত্রটি লেখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এখানে সারা বিশ্ব থেকে আগত লক্ষাধিক হাজি অংশ নিয়েছিলেন। কারও নীল চোখ, সোনালি চুল; কেউ আবার আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু আমরা সবাই একই ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের প্রকৃত অর্থ এখানেই ফুটে উঠেছে। অথচ আমার আমেরিকার অভিজ্ঞতা আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে সাদা-কালোর এরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ মিলনের অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে অসম্ভব!’
ম্যালকম এক্স আরও বলেছেন, ‘নিজেদের বর্ণের বাইরে গিয়ে, অন্যদের সঙ্গে মিশে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ ভ্রাতৃত্বের চর্চা ইতিপূর্বে তিনি কখনো দেখেননি। ম্যালকম মনে করেন, হজ বর্ণবাদের ঘৃণ্য দেয়াল ভেঙে দেয় এবং বর্ণসমতার পথ দেখায়।’
এ ছাড়া নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর বর্ণবাদবিরোধী শিক্ষা সাধারণ বর্ণসমতার চিন্তাধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাধারণ অবর্ণবাদীরা বর্ণবাদের কুসংস্কারগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে না, সোচ্চারভাবে মত প্রকাশ করে না। সমাজ থেকে বর্ণবাদের অভিশাপ মুছে দিতেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। পক্ষান্তরে, নবী মুহাম্মদ (সা.) কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকা ভেতরে-বাইরের সব ধরনের বর্ণবাদের দেয়াল ভেঙে ফেলেন। তিনি বর্ণবাদকে সমাজের মারাত্মক উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেন, যার মূল কারণ মানুষের অহংকার ও শ্রেষ্ঠত্বের মনোভাব।
আজকের পৃথিবী খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। তাই নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আমি নিজেও একজন অমুসলিম, কিন্তু আমি স্বীকার করতে বাধ্য, নবী মুহাম্মদের বর্ণবৈষম্যবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি অনুপ্রাণিত হই। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন মানুষ তার গোত্র পরিচয়ে অন্য কারও থেকে আলাদা নয়, বরং উন্নত চরিত্র ও ভালো আচরণের মাধ্যমে একে অন্যের চেয়ে পৃথক ও স্বতন্ত্র বিবেচিত হয়।
লেখক: আইরিশ-আমেরিকান স্কলার এবং টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক।
‘অ্যাবাউট ইসলাম’ থেকে মিশকাত মুহাম্মদের ভাষান্তর

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী।
২৬ জুলাই ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪২ মিনিট আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

মক্কার সাধারণ এক ক্রীতদাস ছিলেন বিলাল ইবনে রাবাহ। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর দাওয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবিদের কাতারে নিজের নাম লেখান। বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের সূত্রপাত হয়েছিল তাঁকে ঘিরেই। তাঁর বাবা ছিলেন আরব ক্রীতদাস। মা ছিলেন ইথিওপিয়ান রাজকুমারী।
২৬ জুলাই ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৮ ঘণ্টা আগে