মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে