মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
ইসলামের বিধানমতে, সাবালক হওয়ার আগপর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়।
লেখক: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামের বিধানমতে, সাবালক হওয়ার আগপর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়।
লেখক: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১৬ ঘণ্টা আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৩ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৪ দিন আগে