মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: মসজিদে দুই কাতারের মাঝখানে কতটুকু ফাঁকা থাকা উচিত? কাতারে দাঁড়ানোর সঠিক পদ্ধতি কী? নিচতলায় জায়গা থাকতে ওপরতলায় দাঁড়ানো যাবে কি? মসজিদের বাইরে বিচ্ছিন্ন কাতারের বিধান কী?
উত্তর: এখানে চারটি প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রতিটির জবাব আলাদা করে তুলে ধরে হলো:
প্রথমত, নামাজের কাতার কমপক্ষে পৌনে তিন হাত চওড়া হতে হবে, যাতে সুন্নত তরিকায় সিজদা করা যায় এবং মাথা সামনের মুসল্লির পায়ে আটকে না যায়।
(মুসলিম: ৪৯৬; আবু দাউদ: ৮৯৮)
দ্বিতীয়ত, কাতারে সোজা করে দাঁড়াতে হবে। মসজিদে দেওয়া দাগের ওপর পায়ের গোড়ালি রেখে দাঁড়ালে কাতার একদম সোজা থাকে। অনেক স্থানে দাগে বুড়ো আঙুল রেখে কাতার সোজা করা হয়, এতে কাতার কখনো সোজা হয় না; বরং যাঁর পা লম্বা তিনি পেছনে থাকেন, আর যাঁর পা খাটো, তিনি সামনে চলে যান। (আবু দাউদ: ৬৬৭, রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৬৭) কাতার মাঝখান থেকে শুরু হয়ে সমানভাবে ডানে-বাঁয়ে বাড়তে থাকবে। সামনের কাতার পূর্ণ হলে পরের কাতার শুরু করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা সামনের কাতার পূর্ণ করো। এরপর তার পরবর্তী কাতার। অপূর্ণ থাকলে তা যেন পেছনের কাতারে থাকে।’ (আবু দাউদ: ৬৭১) কাতারের মাঝখানে ফাঁকা রাখা অনুচিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি শয়তানকে কাতারগুলোর ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করতে দেখছি, যেন সে কালো ছাগলের বাচ্চা। কাজেই তোমরা প্রাচীরের মতো কাতার মিলিয়ে দাঁড়াও।’
(নাসায়ি: ৮১৫; আবু দাউদ: ৬৭৩)
তৃতীয়ত, নিচতলায় জায়গা থাকতে ওপরতলায় দাঁড়ানো অনুচিত। ঠিক যেমন প্রথম কাতারে জায়গা রেখে পরের কাতারে দাঁড়ানো অনুচিত। তবে শরিয়ত অনুমোদিত বিশেষ কোনো অপারগতা থাকলে তা করা যাবে।
(রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৭০)
চতুর্থত, মসজিদের বাইরে সিঁড়ির সমতল স্থান, সড়ক বা খোলা জায়গায়ও নামাজের জন্য দাঁড়ানো যাবে, তবে সেসব জায়গা পবিত্র হতে হবে এবং মসজিদের ভেতরের সব কাতার পূর্ণ হতে হবে। মসজিদের ভেতরে খালি জায়গা রেখে বাইরে দাঁড়ানো যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, মসজিদ ও বাইরের কাতারগুলোর মধ্যে এত বেশি ফাঁকা রাখা যাবে না, যাতে স্বাভাবিকভাবে যানযাহন চলাচল করতে পারে। কারণ এত বেশি ফাঁকা রেখে দাঁড়ালে কাতারের সংযোগ না থাকার কারণে নামাজ সহিহ হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১ / ১৫১; মুখতারাতুন নাওয়াজিল: ১ / ২৯৬; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৮৫)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: মসজিদে দুই কাতারের মাঝখানে কতটুকু ফাঁকা থাকা উচিত? কাতারে দাঁড়ানোর সঠিক পদ্ধতি কী? নিচতলায় জায়গা থাকতে ওপরতলায় দাঁড়ানো যাবে কি? মসজিদের বাইরে বিচ্ছিন্ন কাতারের বিধান কী?
উত্তর: এখানে চারটি প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রতিটির জবাব আলাদা করে তুলে ধরে হলো:
প্রথমত, নামাজের কাতার কমপক্ষে পৌনে তিন হাত চওড়া হতে হবে, যাতে সুন্নত তরিকায় সিজদা করা যায় এবং মাথা সামনের মুসল্লির পায়ে আটকে না যায়।
(মুসলিম: ৪৯৬; আবু দাউদ: ৮৯৮)
দ্বিতীয়ত, কাতারে সোজা করে দাঁড়াতে হবে। মসজিদে দেওয়া দাগের ওপর পায়ের গোড়ালি রেখে দাঁড়ালে কাতার একদম সোজা থাকে। অনেক স্থানে দাগে বুড়ো আঙুল রেখে কাতার সোজা করা হয়, এতে কাতার কখনো সোজা হয় না; বরং যাঁর পা লম্বা তিনি পেছনে থাকেন, আর যাঁর পা খাটো, তিনি সামনে চলে যান। (আবু দাউদ: ৬৬৭, রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৬৭) কাতার মাঝখান থেকে শুরু হয়ে সমানভাবে ডানে-বাঁয়ে বাড়তে থাকবে। সামনের কাতার পূর্ণ হলে পরের কাতার শুরু করতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা সামনের কাতার পূর্ণ করো। এরপর তার পরবর্তী কাতার। অপূর্ণ থাকলে তা যেন পেছনের কাতারে থাকে।’ (আবু দাউদ: ৬৭১) কাতারের মাঝখানে ফাঁকা রাখা অনুচিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি শয়তানকে কাতারগুলোর ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করতে দেখছি, যেন সে কালো ছাগলের বাচ্চা। কাজেই তোমরা প্রাচীরের মতো কাতার মিলিয়ে দাঁড়াও।’
(নাসায়ি: ৮১৫; আবু দাউদ: ৬৭৩)
তৃতীয়ত, নিচতলায় জায়গা থাকতে ওপরতলায় দাঁড়ানো অনুচিত। ঠিক যেমন প্রথম কাতারে জায়গা রেখে পরের কাতারে দাঁড়ানো অনুচিত। তবে শরিয়ত অনুমোদিত বিশেষ কোনো অপারগতা থাকলে তা করা যাবে।
(রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৭০)
চতুর্থত, মসজিদের বাইরে সিঁড়ির সমতল স্থান, সড়ক বা খোলা জায়গায়ও নামাজের জন্য দাঁড়ানো যাবে, তবে সেসব জায়গা পবিত্র হতে হবে এবং মসজিদের ভেতরের সব কাতার পূর্ণ হতে হবে। মসজিদের ভেতরে খালি জায়গা রেখে বাইরে দাঁড়ানো যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, মসজিদ ও বাইরের কাতারগুলোর মধ্যে এত বেশি ফাঁকা রাখা যাবে না, যাতে স্বাভাবিকভাবে যানযাহন চলাচল করতে পারে। কারণ এত বেশি ফাঁকা রেখে দাঁড়ালে কাতারের সংযোগ না থাকার কারণে নামাজ সহিহ হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ১ / ১৫১; মুখতারাতুন নাওয়াজিল: ১ / ২৯৬; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৮৫)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
২০ ঘণ্টা আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৩ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৪ দিন আগে