মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আল দাদো
ইজাজুল হক
শায়খ মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আল দাদো আল শিনকিতিকে একালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত বিবেচনা করা হয়। আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার এ আলেম ঐতিহ্যবাহী ধারার ইসলামি জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। হাদিস গুরুত্বপূর্ণ সব কিতাব মুখস্থ করার পাশাপাশি কোরআনের ১০ কেরাত তথা ১০টি পঠনশৈলীর ওপরও গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। আরব বিশ্বসহ পুরো মুসলিম দুনিয়ায় তাঁর পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতি রয়েছে।
মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আল দাদোর জন্ম মৌরিতানিয়ার বোতিলিমিত শহরে, ১৯৬৩ সালে। তাঁর পিতামহ শায়খ মুহাম্মদ আলী ইবনে আবদুল ওয়াদুদ ছিলেন ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর কাছে মুহাম্মদ আল হাসানের পড়াশোনার হাতেখড়ি। চাচা শায়খ মুহাম্মদ সেলিম আবদুল ওয়াদুদও ছিলেন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, যিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মৌরিতানিয়ার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রী ও মৌরিতানিয়ার সুপ্রিম ইসলামিক কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন।
বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মুহাম্মদ আল হাসান মৌরিতানিয়া, ইয়েমেন ও সৌদি আরবে পড়াশোনা করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সেই পুরো কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। নিজের মায়ের কাছেই পবিত্র কোরআনের ১০ কিরাত তথা ১০টি ভিন্ন পঠনশৈলী আয়ত্ত করেন। নোয়াচকট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ১৯৮৬ সালে সৌদি আরবের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
হাদিস অধ্যয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন মুহাম্মদ আল হাসান। বিশ্বের খ্যাতনামা পণ্ডিতদের কাছ থেকে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। শায়খ হামাদ ইবনে আবদুল্লাহ তুয়াজীরি, ড. আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ, শায়খ বিন বাজ, শায়খ ইবনুল উসাইমিন, শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানিসহ অসংখ্য বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতের সান্নিধ্য লাভ করেন।
আল হাসান হাদিসের প্রধান কিতাবসমূহ মুখস্থ করে বিস্ময়ের জন্ম দেন। সহিহ আল-বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে ইবনে মাজাহ, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ি, মুয়াত্তা মালিকের সব হাদিস মুখস্থ করেন। এ ছাড়া মুসতাদরাকে হাকেম, মুসনাদে আহমাদ, সুনান আল-দারিমি, আস-সুনান আল-কুবরা, সুনান আল-দারাকুতনিসহ অনেক হাদিসগ্রন্থ নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি আল হাসান ফিকহ ও আরবি সাহিত্যেও পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। প্রাচীন অসংখ্য কবিতা তিনি মুখস্থ বলতে পারেন। এ ছাড়া উসুলে ফিকহেও রয়েছে তাঁর অসামান্য পাণ্ডিত্য। আরবি ভাষায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক গ্রন্থ তিনি রচনা করেন। কবিতা রচনায়ও তিনি বেশ পারদর্শী। ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামে তাঁর রয়েছে জোরালো সমর্থন। আল জাজিরাসহ আরববিশ্বের বিভিন্ন আরবি ভাষার টেলিভিশনে তাঁর জ্ঞানগর্ভ প্রোগ্রাম সম্প্রচার করা হয়।
মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াচকটে মারকাজু তাকভিনিল উলামা নামে একটি বিশ্বমানের ইসলামি বিদ্যাপীঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নোয়াচকটের আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবেও কাজ করছেন। এ ছাড়া মৌরিতানিয়ার অনেক ইসলামি প্রতিষ্ঠান তাঁর পরামর্শে পরিচালিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের বোর্ড অব ট্রাস্টি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ৫০টির বেশি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন এবং ইসলামি জ্ঞানচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
শায়খ মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আল দাদো আল শিনকিতিকে একালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত বিবেচনা করা হয়। আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার এ আলেম ঐতিহ্যবাহী ধারার ইসলামি জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। হাদিস গুরুত্বপূর্ণ সব কিতাব মুখস্থ করার পাশাপাশি কোরআনের ১০ কেরাত তথা ১০টি পঠনশৈলীর ওপরও গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। আরব বিশ্বসহ পুরো মুসলিম দুনিয়ায় তাঁর পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতি রয়েছে।
মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আল দাদোর জন্ম মৌরিতানিয়ার বোতিলিমিত শহরে, ১৯৬৩ সালে। তাঁর পিতামহ শায়খ মুহাম্মদ আলী ইবনে আবদুল ওয়াদুদ ছিলেন ইসলামি পণ্ডিত। তাঁর কাছে মুহাম্মদ আল হাসানের পড়াশোনার হাতেখড়ি। চাচা শায়খ মুহাম্মদ সেলিম আবদুল ওয়াদুদও ছিলেন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, যিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মৌরিতানিয়ার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রী ও মৌরিতানিয়ার সুপ্রিম ইসলামিক কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন।
বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মুহাম্মদ আল হাসান মৌরিতানিয়া, ইয়েমেন ও সৌদি আরবে পড়াশোনা করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সেই পুরো কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। নিজের মায়ের কাছেই পবিত্র কোরআনের ১০ কিরাত তথা ১০টি ভিন্ন পঠনশৈলী আয়ত্ত করেন। নোয়াচকট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ১৯৮৬ সালে সৌদি আরবের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
হাদিস অধ্যয়নে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন মুহাম্মদ আল হাসান। বিশ্বের খ্যাতনামা পণ্ডিতদের কাছ থেকে হাদিসের পাঠ গ্রহণ করেন। শায়খ হামাদ ইবনে আবদুল্লাহ তুয়াজীরি, ড. আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ, শায়খ বিন বাজ, শায়খ ইবনুল উসাইমিন, শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানিসহ অসংখ্য বিশ্বখ্যাত পণ্ডিতের সান্নিধ্য লাভ করেন।
আল হাসান হাদিসের প্রধান কিতাবসমূহ মুখস্থ করে বিস্ময়ের জন্ম দেন। সহিহ আল-বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে ইবনে মাজাহ, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ি, মুয়াত্তা মালিকের সব হাদিস মুখস্থ করেন। এ ছাড়া মুসতাদরাকে হাকেম, মুসনাদে আহমাদ, সুনান আল-দারিমি, আস-সুনান আল-কুবরা, সুনান আল-দারাকুতনিসহ অনেক হাদিসগ্রন্থ নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।
কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি আল হাসান ফিকহ ও আরবি সাহিত্যেও পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। প্রাচীন অসংখ্য কবিতা তিনি মুখস্থ বলতে পারেন। এ ছাড়া উসুলে ফিকহেও রয়েছে তাঁর অসামান্য পাণ্ডিত্য। আরবি ভাষায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক গ্রন্থ তিনি রচনা করেন। কবিতা রচনায়ও তিনি বেশ পারদর্শী। ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামে তাঁর রয়েছে জোরালো সমর্থন। আল জাজিরাসহ আরববিশ্বের বিভিন্ন আরবি ভাষার টেলিভিশনে তাঁর জ্ঞানগর্ভ প্রোগ্রাম সম্প্রচার করা হয়।
মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াচকটে মারকাজু তাকভিনিল উলামা নামে একটি বিশ্বমানের ইসলামি বিদ্যাপীঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নোয়াচকটের আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবেও কাজ করছেন। এ ছাড়া মৌরিতানিয়ার অনেক ইসলামি প্রতিষ্ঠান তাঁর পরামর্শে পরিচালিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের বোর্ড অব ট্রাস্টি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ৫০টির বেশি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন এবং ইসলামি জ্ঞানচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে