ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয় না; বরং একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। তাঁদের মতে, ১৯ থেকে ৩৬ বছর বয়সের নারী-পুরুষ যেসব কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো—হতাশা, দাম্পত্য কলহ, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা ইত্যাদি। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রধান কারণ, পারিবারিক কলহ, লোকলজ্জা, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উল্লিখিত কারণগুলো থেকে উত্তরণের মাধ্যমেই কেবল আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা বা তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে আদৌ কি সমাজ থেকে এসব কারণ নির্মূল করা সম্ভব? পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ হতাশামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে। পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচতে চেয়েছে। লোকলজ্জা ও নিরাপত্তাহীনতা মানুষের জীবনে লেগেই আছে। স্বল্প কর্মসম্পন্ন রাষ্ট্র হওয়ায় বেকারত্ব আমাদের দেশে থাকবেই। এসব সমস্যা কোনোভাবেই একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা বন্ধ করতে হলে বস্তুকেন্দ্রিক সমাধানের বাইরে আধ্যাত্মিক উপায়েও বিষয়টি ভাবতে হবে। সে হিসেবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হলো—আত্মহত্যার শাস্তির ব্যাপারে অজ্ঞতা, পরকালে জবাবদিহির প্রতি অনাস্থা, অধৈর্য আচরণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব ইত্যাদি।
জীবনের মূল্য, আত্মহত্যার পরিণাম ও তা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো:
জীবন আল্লাহর আমানত
জীবন মহান আল্লাহ তাআলার দেওয়া আমানত। তা ইচ্ছেমতো পরিচালিত করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। নিজেকে সামান্য কষ্ট দেওয়ার ইসলাম অনুমতি দেয় না। দেহের কোনো অঙ্গ বিকৃতি, বিক্রি বা নষ্ট করার অধিকার দেয় না। একই কারণে প্রাণ নষ্ট করার অধিকারও মানুষকে দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইসলামে আত্মহত্যা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ কোরো না। আর সুকর্ম করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুকর্মকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
ইসলাম মৃত্যু কামনা করাকেও নিরুৎসাহিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হওয়ার ভয়ে মৃত্যু কামনা না করে। যদি কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়, তবে সে যে বলে—হে আল্লাহ, যত দিন আমাকে জীবিত রাখা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তত দিন আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন আমার মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’ (বুখারি: ৫৬৭১)।
পরকালে আত্মহত্যাকারীর শাস্তি
যারা আত্মহত্যা করে, তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু। যে ওই কাজ (আত্মহত্যা) করবে সীমা লঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে, আমি অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর তা করা আল্লাহর জন্য সহজ।’ (সুরা নিসা: ২৯-৩০)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তির দেহে একটি জখম হয়েছিল। সে অধৈর্য হয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তখন আল্লাহ বললেন, ‘আমার বান্দা তার জীবনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করল, আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৩৬৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে বর্শাবিদ্ধ করতে থাকবে।’ (বুখারি: ১৩৬৫)
আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে হলে
আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা অথবা আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এ-সম্পর্কিত ইসলামি নির্দেশনা জানতে হবে। এখানে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হলো:
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখতে পারে। পরিবারের প্রতিটি অনুজ সদস্য অগ্রজ সদস্যদের আচার-আচরণ দেখে বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে পরিবার থেকেই যদি কোনো শিশু সেই শিক্ষা না পায়, তবে কৈশোর বা যৌবনে গিয়ে তার পথভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের অনৈতিক সম্পর্ক থেকে দূরে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে যে মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন: আত্মহত্যার পরিণাম সম্পর্কে আমরা ধর্মীয় নির্দেশনা আলোচনা করেছি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি ধর্মের বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি মান্য করে, তবে সে কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না। জীবনে সুখ, দুঃখ, হতাশা বা দুশ্চিন্তা থাকবেই। তাই বলে নিজেকে শেষ করে ফেলার চিন্তা কোনোভাবেই করা উচিত নয়; বরং এসব কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা যুমার: ৫৩)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয় না; বরং একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। তাঁদের মতে, ১৯ থেকে ৩৬ বছর বয়সের নারী-পুরুষ যেসব কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো—হতাশা, দাম্পত্য কলহ, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা ইত্যাদি। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রধান কারণ, পারিবারিক কলহ, লোকলজ্জা, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উল্লিখিত কারণগুলো থেকে উত্তরণের মাধ্যমেই কেবল আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা বা তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে আদৌ কি সমাজ থেকে এসব কারণ নির্মূল করা সম্ভব? পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ হতাশামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে। পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচতে চেয়েছে। লোকলজ্জা ও নিরাপত্তাহীনতা মানুষের জীবনে লেগেই আছে। স্বল্প কর্মসম্পন্ন রাষ্ট্র হওয়ায় বেকারত্ব আমাদের দেশে থাকবেই। এসব সমস্যা কোনোভাবেই একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা বন্ধ করতে হলে বস্তুকেন্দ্রিক সমাধানের বাইরে আধ্যাত্মিক উপায়েও বিষয়টি ভাবতে হবে। সে হিসেবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হলো—আত্মহত্যার শাস্তির ব্যাপারে অজ্ঞতা, পরকালে জবাবদিহির প্রতি অনাস্থা, অধৈর্য আচরণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব ইত্যাদি।
জীবনের মূল্য, আত্মহত্যার পরিণাম ও তা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো:
জীবন আল্লাহর আমানত
জীবন মহান আল্লাহ তাআলার দেওয়া আমানত। তা ইচ্ছেমতো পরিচালিত করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। নিজেকে সামান্য কষ্ট দেওয়ার ইসলাম অনুমতি দেয় না। দেহের কোনো অঙ্গ বিকৃতি, বিক্রি বা নষ্ট করার অধিকার দেয় না। একই কারণে প্রাণ নষ্ট করার অধিকারও মানুষকে দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইসলামে আত্মহত্যা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ কোরো না। আর সুকর্ম করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুকর্মকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
ইসলাম মৃত্যু কামনা করাকেও নিরুৎসাহিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হওয়ার ভয়ে মৃত্যু কামনা না করে। যদি কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়, তবে সে যে বলে—হে আল্লাহ, যত দিন আমাকে জীবিত রাখা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তত দিন আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন আমার মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’ (বুখারি: ৫৬৭১)।
পরকালে আত্মহত্যাকারীর শাস্তি
যারা আত্মহত্যা করে, তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু। যে ওই কাজ (আত্মহত্যা) করবে সীমা লঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে, আমি অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর তা করা আল্লাহর জন্য সহজ।’ (সুরা নিসা: ২৯-৩০)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তির দেহে একটি জখম হয়েছিল। সে অধৈর্য হয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তখন আল্লাহ বললেন, ‘আমার বান্দা তার জীবনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করল, আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৩৬৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে বর্শাবিদ্ধ করতে থাকবে।’ (বুখারি: ১৩৬৫)
আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে হলে
আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা অথবা আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এ-সম্পর্কিত ইসলামি নির্দেশনা জানতে হবে। এখানে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হলো:
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখতে পারে। পরিবারের প্রতিটি অনুজ সদস্য অগ্রজ সদস্যদের আচার-আচরণ দেখে বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে পরিবার থেকেই যদি কোনো শিশু সেই শিক্ষা না পায়, তবে কৈশোর বা যৌবনে গিয়ে তার পথভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের অনৈতিক সম্পর্ক থেকে দূরে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে যে মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন: আত্মহত্যার পরিণাম সম্পর্কে আমরা ধর্মীয় নির্দেশনা আলোচনা করেছি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি ধর্মের বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি মান্য করে, তবে সে কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না। জীবনে সুখ, দুঃখ, হতাশা বা দুশ্চিন্তা থাকবেই। তাই বলে নিজেকে শেষ করে ফেলার চিন্তা কোনোভাবেই করা উচিত নয়; বরং এসব কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা যুমার: ৫৩)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৩৪ মিনিট আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১ ঘণ্টা আগে