আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল। তাই রাব্বুল আলামিন সুরা রহমানে জানতে চান, ‘তোমরা উভয়ে কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে?’
এখানে ‘উভয়ে’ বলতে ‘মানুষ’ ও ‘জিন’ জাতিকে বোঝানো হয়েছে। কেননা এই দুই জাতির কল্যাণার্থেই আল্লাহ তাআলা আলো–ছায়া, সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত, ঝরণাধারা ও নির্মল বাতাস যেমন সৃজন করেছেন, তেমনি ফুল-ফসল পত্র-পল্লবে প্রকৃতিকে করেছেন নয়নাভিরাম। আর সুপথে চলার জন্য দিয়েছেন পবিত্র কোরআন। তার এই অগণিত নেয়ামতের কিঞ্চিৎ তুলে ধরা হয়েছে সুরা রহমানে। এরশাদ হয়েছে, ‘পরম করুণাময়। তিনি শিখিয়েছেন কোরআন।’ (সুরা রহমান: ১-২)
কোরআন বড় নেয়ামত
রাব্বুল আলামিন দয়াপরবশ হয়ে মানুষকে কোরআন শিখিয়েছেন। জীবনে চলার পথে ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান যেমন এই কোরআন থেকে সহজেই পাওয়া যায়, তেমনি পৃথিবী ও মহাবিশ্বের নানা রহস্য উন্মোচনে আহরণ করা যায় তথ্য-উপাত্ত। কোরআন সন্ধান দেয় নতুন দিগন্তের। আল্লাহ তাআলা এই রত্নভান্ডার আমাদের হাতের মুঠোয় দিয়ে বলেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি।’ (সুরা ক্বামার: ১৭)
ভাষাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ
আল্লাহ তাআলা কোরআন যেমন শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন ভাষা। মানবজীবনকে পূর্ণতা দান ও শ্রেষ্ঠ জাতিতে উন্নীত করার জন্য ভাষার বিকল্প নেই। যার মুখে ভাষা নেই, সেই কেবল ভাষার প্রকৃত গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে জীবন্ত ভাষা আছে ৬ হাজারেরও অধিক। পৃথিবীতে এই যে এতো ভাষা, এই ভাষার উচ্চারণগত ভিন্নতাও অসংখ্য রকমের। বৈচিত্র্যময় এ ভাষা মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে—ভাষা ও বর্ণের বিচিত্রতা। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলি।’ (সুরা রুম: ২২)
কোরআন ও ভাষার মতো এমন বিস্ময়কর নেয়ামত পেয়েও যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, তাঁর একাত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করে না, সেই অবিশ্বাসীদের চারপাশের নেয়ামতরাজির প্রতি ইঙ্গিত করে মহান রব জানতে চান, ‘এই নেয়ামতসমূহ তাদের কে দিয়েছেন?’
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সূর্য ও চাঁদ (নির্ধারিত) হিসাব অনুযায়ী চলে। আর তারকা ও গাছপালা সিজদা করে।’ (সুরা রহমান: ৫-৬)
চাঁদ-সূর্য নেয়ামত
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনের প্রয়োজনেই চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। যেন তা দিয়ে তারা দিনের বেলায় নিজেদের কাজ-কর্ম সহজ ও নির্বিঘ্নে করতে পারে। ভাবুন তো, যদি না থাকত এই রুপালি চাঁদটা, তাহলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ কেমন হতো? ২৪ ঘণ্টার দিন শেষ হয়ে যেত মাত্র ৬ ঘণ্টায়। সমুদ্রে থাকত না জোয়ার-ভাটা। জমিতে ফলত না সোনার ফসল। আল্লাহ তাআলা আরও অনেক প্রয়োজনে এই চাঁদ-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মহিমাময় সেই রব, যিনি আকাশে কক্ষপথ বানিয়েছেন এবং তাতে এক উজ্জ্বল প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ সৃষ্টি করেছেন সেই ব্যক্তির জন্য, যে উপদেশ গ্রহণের ইচ্ছা রাখে কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ (সুরা ফুরকান: ২৫-৬১)
আকাশে নেয়ামতের মেলা
আবার রাতের অন্ধকারে মানুষ যেন পথ না ভোলে, তার জন্য আকাশে বসালেন তারার মেলা। মানুষ অন্তত এই সুদৃশ্য আকাশ দেখে আল্লাহ তাআলার তারিফ করতে পারত। কিন্তু তা না করে উল্টো এই চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজিকে ‘রব’ বলে ডাকতে শুরু করল। সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরেক নেয়ামত ‘আকাশ’–এর কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা (ন্যায়নীতি) স্থাপন করেছেন।’ (সুরা রহমান: ০৭)
মহান আল্লাহর অজস্র সৃষ্টিকর্মের মধ্যে এক রহস্যময় সৃষ্টির নাম হলো আকাশ। বিশাল এই আকাশের নান্দনিকতা, নিপুণতা, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের অসংখ্য নিদর্শন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর মজবুত সপ্ত আকাশ।’ (সুরা নাবা: ১২)
বৃক্ষ, ফল, ফুল—আরও কত কী!
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা আকাশ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের মতো নেয়ামতের বর্ণনা যেমন দিয়েছেন, তেমনি জমিন, গাছপালা, সুগন্ধি ফুল, ফলমূল ও খোসাযুক্ত খেজুরের কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্ট জীবের জন্য। তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ। যার খেজুর আবরণযুক্ত। আর আছে খোসাযুক্ত দানা (শস্য) ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল।’ (সুরা রহমান: ১১, ১২ ও ১৩)
নেয়ামতের ভান্ডার সাগর
আল্লাহর নেয়ামতের মধ্যে সাগর অন্যতম। সাগর যেন এক রহস্যপুরী। এ রহস্যপুরীর তলদেশে রক্ষিত গ্যাস, কয়লা, মনোমুগ্ধকর প্রবাল ও মণিমুক্তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সুরা রহমানে। তিনি বলেছেন, ‘উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল।’ (সুরা রহমান: ২২)
সাগরের আরেক রহস্য তুলে ধরা হয়েছে এই সুরায়। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল। যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।’ (সুরা রহমান: ১৯-২০)
পর্বতসম জলযান আল্লাহর নেয়ামত
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা পাহাড়সম জাহাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতসম জাহাজগুলো তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন।’ (সুরা রহমান: ২৪)
নেয়ামত পূর্ণতা পাবে জান্নাতে
জান্নাতের অনুপম সৌন্দর্যের চিত্রও তুলে ধরেছেন আল্লাহ তাআলা। যেখানে ‘তাসনিম’ ও ‘সালসাবিল’ নামের দুটি ঝরণাধারা থাকবে। দুই ঝরণার চারপাশে চমৎকার ও সুস্বাদু ফুল-ফলের বৃক্ষ থাকবে। যেখানে জান্নাতিরা রেশমের বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে, তাদের নাগালেই ঝুলবে জান্নাতি ফল। আর থাকবে তিলোত্তমা হুর।
যে মহান আল্লাহ আমাদের এত সব নেয়ামতে সিক্ত করলেন, আমরা কী করে তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হই, অবাধ্য হই, লঙ্ঘন করি তাঁর দেওয়া বিধান! আমাদের উচিত—তওবা করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাঁর অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। তাহলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামতপ্রাপ্তির শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে, আর অকৃতজ্ঞ হলে কঠিন আজাবে নিপতিত করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল। তাই রাব্বুল আলামিন সুরা রহমানে জানতে চান, ‘তোমরা উভয়ে কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে?’
এখানে ‘উভয়ে’ বলতে ‘মানুষ’ ও ‘জিন’ জাতিকে বোঝানো হয়েছে। কেননা এই দুই জাতির কল্যাণার্থেই আল্লাহ তাআলা আলো–ছায়া, সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত, ঝরণাধারা ও নির্মল বাতাস যেমন সৃজন করেছেন, তেমনি ফুল-ফসল পত্র-পল্লবে প্রকৃতিকে করেছেন নয়নাভিরাম। আর সুপথে চলার জন্য দিয়েছেন পবিত্র কোরআন। তার এই অগণিত নেয়ামতের কিঞ্চিৎ তুলে ধরা হয়েছে সুরা রহমানে। এরশাদ হয়েছে, ‘পরম করুণাময়। তিনি শিখিয়েছেন কোরআন।’ (সুরা রহমান: ১-২)
কোরআন বড় নেয়ামত
রাব্বুল আলামিন দয়াপরবশ হয়ে মানুষকে কোরআন শিখিয়েছেন। জীবনে চলার পথে ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান যেমন এই কোরআন থেকে সহজেই পাওয়া যায়, তেমনি পৃথিবী ও মহাবিশ্বের নানা রহস্য উন্মোচনে আহরণ করা যায় তথ্য-উপাত্ত। কোরআন সন্ধান দেয় নতুন দিগন্তের। আল্লাহ তাআলা এই রত্নভান্ডার আমাদের হাতের মুঠোয় দিয়ে বলেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি।’ (সুরা ক্বামার: ১৭)
ভাষাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ
আল্লাহ তাআলা কোরআন যেমন শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন ভাষা। মানবজীবনকে পূর্ণতা দান ও শ্রেষ্ঠ জাতিতে উন্নীত করার জন্য ভাষার বিকল্প নেই। যার মুখে ভাষা নেই, সেই কেবল ভাষার প্রকৃত গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে জীবন্ত ভাষা আছে ৬ হাজারেরও অধিক। পৃথিবীতে এই যে এতো ভাষা, এই ভাষার উচ্চারণগত ভিন্নতাও অসংখ্য রকমের। বৈচিত্র্যময় এ ভাষা মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে—ভাষা ও বর্ণের বিচিত্রতা। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলি।’ (সুরা রুম: ২২)
কোরআন ও ভাষার মতো এমন বিস্ময়কর নেয়ামত পেয়েও যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, তাঁর একাত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করে না, সেই অবিশ্বাসীদের চারপাশের নেয়ামতরাজির প্রতি ইঙ্গিত করে মহান রব জানতে চান, ‘এই নেয়ামতসমূহ তাদের কে দিয়েছেন?’
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সূর্য ও চাঁদ (নির্ধারিত) হিসাব অনুযায়ী চলে। আর তারকা ও গাছপালা সিজদা করে।’ (সুরা রহমান: ৫-৬)
চাঁদ-সূর্য নেয়ামত
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনের প্রয়োজনেই চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। যেন তা দিয়ে তারা দিনের বেলায় নিজেদের কাজ-কর্ম সহজ ও নির্বিঘ্নে করতে পারে। ভাবুন তো, যদি না থাকত এই রুপালি চাঁদটা, তাহলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ কেমন হতো? ২৪ ঘণ্টার দিন শেষ হয়ে যেত মাত্র ৬ ঘণ্টায়। সমুদ্রে থাকত না জোয়ার-ভাটা। জমিতে ফলত না সোনার ফসল। আল্লাহ তাআলা আরও অনেক প্রয়োজনে এই চাঁদ-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মহিমাময় সেই রব, যিনি আকাশে কক্ষপথ বানিয়েছেন এবং তাতে এক উজ্জ্বল প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ সৃষ্টি করেছেন সেই ব্যক্তির জন্য, যে উপদেশ গ্রহণের ইচ্ছা রাখে কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ (সুরা ফুরকান: ২৫-৬১)
আকাশে নেয়ামতের মেলা
আবার রাতের অন্ধকারে মানুষ যেন পথ না ভোলে, তার জন্য আকাশে বসালেন তারার মেলা। মানুষ অন্তত এই সুদৃশ্য আকাশ দেখে আল্লাহ তাআলার তারিফ করতে পারত। কিন্তু তা না করে উল্টো এই চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজিকে ‘রব’ বলে ডাকতে শুরু করল। সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরেক নেয়ামত ‘আকাশ’–এর কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা (ন্যায়নীতি) স্থাপন করেছেন।’ (সুরা রহমান: ০৭)
মহান আল্লাহর অজস্র সৃষ্টিকর্মের মধ্যে এক রহস্যময় সৃষ্টির নাম হলো আকাশ। বিশাল এই আকাশের নান্দনিকতা, নিপুণতা, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের অসংখ্য নিদর্শন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর মজবুত সপ্ত আকাশ।’ (সুরা নাবা: ১২)
বৃক্ষ, ফল, ফুল—আরও কত কী!
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা আকাশ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের মতো নেয়ামতের বর্ণনা যেমন দিয়েছেন, তেমনি জমিন, গাছপালা, সুগন্ধি ফুল, ফলমূল ও খোসাযুক্ত খেজুরের কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্ট জীবের জন্য। তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ। যার খেজুর আবরণযুক্ত। আর আছে খোসাযুক্ত দানা (শস্য) ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল।’ (সুরা রহমান: ১১, ১২ ও ১৩)
নেয়ামতের ভান্ডার সাগর
আল্লাহর নেয়ামতের মধ্যে সাগর অন্যতম। সাগর যেন এক রহস্যপুরী। এ রহস্যপুরীর তলদেশে রক্ষিত গ্যাস, কয়লা, মনোমুগ্ধকর প্রবাল ও মণিমুক্তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সুরা রহমানে। তিনি বলেছেন, ‘উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল।’ (সুরা রহমান: ২২)
সাগরের আরেক রহস্য তুলে ধরা হয়েছে এই সুরায়। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল। যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।’ (সুরা রহমান: ১৯-২০)
পর্বতসম জলযান আল্লাহর নেয়ামত
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা পাহাড়সম জাহাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতসম জাহাজগুলো তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন।’ (সুরা রহমান: ২৪)
নেয়ামত পূর্ণতা পাবে জান্নাতে
জান্নাতের অনুপম সৌন্দর্যের চিত্রও তুলে ধরেছেন আল্লাহ তাআলা। যেখানে ‘তাসনিম’ ও ‘সালসাবিল’ নামের দুটি ঝরণাধারা থাকবে। দুই ঝরণার চারপাশে চমৎকার ও সুস্বাদু ফুল-ফলের বৃক্ষ থাকবে। যেখানে জান্নাতিরা রেশমের বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে, তাদের নাগালেই ঝুলবে জান্নাতি ফল। আর থাকবে তিলোত্তমা হুর।
যে মহান আল্লাহ আমাদের এত সব নেয়ামতে সিক্ত করলেন, আমরা কী করে তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হই, অবাধ্য হই, লঙ্ঘন করি তাঁর দেওয়া বিধান! আমাদের উচিত—তওবা করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাঁর অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। তাহলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামতপ্রাপ্তির শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে, আর অকৃতজ্ঞ হলে কঠিন আজাবে নিপতিত করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে