মুনীরুল ইসলাম
আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম
আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১২ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১২ ঘণ্টা আগে