Ajker Patrika

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯: ৩১
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ। দাসদাসীদের ওপর যেখানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুলুমের হিমালয়। এমন এক সঙিন মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।

মহানবী (সা.) তখনো নবী হননি। তবে নিজের অনন্য গুণ বলে তত দিনে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আরবের মানুষ তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ আখ্যায়িত করেছিল। মক্কায় নিপীড়িতের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মুষ্টিবদ্ধ শপথ করেছিলেন। এ সংঘের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণখচিত হয়ে আছে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে। মহানবী (সা.) ছিলেন এই মহান সংগ্রামীদের একজন।

ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তেও তা থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নবীজির প্রিয় চাচা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের হন্তারক ওয়াহশি যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেন, তিনি তাঁর ভয়াবহ অপরাধও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা করেননি।

হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় যখন সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ চেতনায় উন্মুখ ছিলেন, তখনো তিনি প্রতিশোধমূলক আচরণ করেননি। কুরাইশদের অযৌক্তিক সব ধারা সত্ত্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন। কারণ তারা লড়াইয়ের পরিবর্তে সন্ধির পথ চেয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী (সা.) যখন মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন, তখন মক্কার উপকণ্ঠে কাফের নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নবী (সা.) চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। অথচ আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বেই কুরাইশরা নবীজির বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।

মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগেই দাসদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। তাদের মানুষ পর্যন্ত মনে করা হতো না। হেন কোনো অবিচার নেই, যা তাদের সঙ্গে করা হতো না। জীবনযাপনের ন্যূনতম অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হতো। তিনিই সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাও, তাদের তা-ই খাওয়াবে। তোমরা যা পরিধান করো, তাদের তা-ই পরিধান করাবে। এমন কাজের দায়িত্বভার তাদের দিয়ো না, যা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। যদি দিতেই হয়, তবে তাদের সাহায্য করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)

কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় দাসদের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) কেবল সেটা আদেশ করেই ক্ষান্ত হননি, বাস্তবজীবনে সেটা প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন। নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা) যখন জেরুসালেম সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর একজন দাস। তাঁরা পালাক্রমে উঠের পিঠে আরোহণ করতেন। একজন উঠের পিঠে থাকলে অপরজন সেটা টেনে নিয়ে যেতেন। এভাবে যখন তাঁরা জেরুজালেমের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ছিল দাসের আরোহণ করার পালা।

হজরত ওমর নিঃসংকোচে গোলামকে উটের পিঠে আরোহণ করিয়ে নিজে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন।

মহানবী (সা)-এর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মুসলিম-অমুসলিমের ভেদাভেদ ছিল না। নীতির বেলায় তিনি তাঁর অনুসারী কিংবা বিরোধীদের মধ্যে কোনো বাছবিচার করেননি। তিনিই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতে দ্বিধা করতাম না।’ আশআস বিন কায়েস বলেন, একটি জমি নিয়ে আমার ও এক ইহুদির মধ্যে বিরোধ ছিল। আমি বিষয়টি নবীজির সামনে উত্থাপন করলাম। নবীজি বললেন, ‘তোমার কাছে কি তোমার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে?’ আমি না-সূচক উত্তর দিলাম। তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারবে?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠলাম, ‘শপথের সুযোগ পেলে তো সে শপথ করে সব নিয়ে নেবে।’ (বুখারি)

বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, বাদীকে তার দাবির পক্ষে কমপক্ষে দুজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। সে যদি সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারে, তবে বিবাদী থেকে শপথ নেওয়া হবে। চিন্তা করে দেখুন, একজন ইহুদি (যারা কি না ইসলামের আজন্ম শত্রু) নবীজির সাহাবির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ করছে। আর তিনি বিন্দুমাত্র নীতি থেকে সরলেন না।

উম্মতের প্রয়োজনে আল্লাহর হুকুমে মহানবী (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে তিনি পূর্ণ সমতা বিধান রক্ষা করেছেন।

প্রত্যেকের জন্য পৃথক ঘর ছিল। সবার কাছেই তিনি সমানভাবে যেতেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত তিনি এ বিধান রক্ষা করেছেন। নবীজির জন্য বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও তিনি এর অন্যথা করেননি। এক দিন তিনি এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। অন্য এক স্ত্রীর ঘর থেকে একজন লোককে দিয়ে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠানো হলো নবীজির জন্য। ঘরে থাকা স্ত্রী লোকটির হাত থেকে বাটিটি নিয়ে ভেঙে ফেললেন। নবীজি হেসে বললেন, ‘তোমাদের মা রাগ করেছেন।’ এরপর তিনি সেই স্ত্রীর ঘর থেকে ভালো একটি বাটি নিয়ে অন্য স্ত্রীর ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। 

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যেভাবে অন্যদের ভুল শুধরে দিতেন নবীজি

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।

ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।

মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।

রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১০ মিনিট
ফজর০৫: ১১ মিনিট০৬: ৩০ মিনিট
জোহর১১: ৫৩ মিনিট০৩: ৩৬ মিনিট
আসর০৩: ৩৭ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১০ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিসরে কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাসকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’

হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।

নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।

প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত