মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: পবিত্র রমজান মাস আসতে এক মাসের কম সময় বাকি। এ মুহূর্তে আমরা কীভাবে এই পবিত্র মাসের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি? শরিয়তের আলোকে জানালে উপকৃত হব। আদিল রহমান, ঢাকা
উত্তর: রমজান ইবাদত ও সংযমের মাস। এই মাসে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে একটু আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা চাই। যেসব কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করতে পারি, তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
» একনিষ্ঠভাবে তওবা করা: রমজান গুনাহ মাফ করানোর মাস। তাই এখন থেকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে ফিরে না এলে রমজানে তওবা নসিব নাও হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা নুর: ৩১)
» দোয়া করা: মহানবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন এবং মহান আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানাতেন। বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন।’
(জামিউস সাগির)
» রমজানের আগমনে খুশি হওয়া: রমজান মাস একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, এটি আল্লাহর অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে, তা থেকে উত্তম।’ (সুরা ইউনুস: ৫৮)
» কাজা রোজা আদায় করে নেওয়া: আবু সালামা বলেন, আমি আয়েশা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার ওপর গত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শাবান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৮৪৯)
» নফল রোজা রাখা: আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি।’ (বুখারি: ১৮৬৮)
» রোজার প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাগুলো নির্ভরযোগ্য আলেম বা গ্রহণযোগ্য বই-পুস্তক থেকে জেনে নেওয়া।
» রমজানে নিজেদের ব্যস্ততা কমিয়ে আনার জন্য এখন থেকে পরিকল্পনা করা এবং একটি উল্লেখযোগ্য সময় ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর বন্দোবস্ত করা।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ,ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: পবিত্র রমজান মাস আসতে এক মাসের কম সময় বাকি। এ মুহূর্তে আমরা কীভাবে এই পবিত্র মাসের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি? শরিয়তের আলোকে জানালে উপকৃত হব। আদিল রহমান, ঢাকা
উত্তর: রমজান ইবাদত ও সংযমের মাস। এই মাসে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে একটু আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা চাই। যেসব কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পবিত্র রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করতে পারি, তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
» একনিষ্ঠভাবে তওবা করা: রমজান গুনাহ মাফ করানোর মাস। তাই এখন থেকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে ফিরে না এলে রমজানে তওবা নসিব নাও হতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা নুর: ৩১)
» দোয়া করা: মহানবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন এবং মহান আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানাতেন। বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন।’
(জামিউস সাগির)
» রমজানের আগমনে খুশি হওয়া: রমজান মাস একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, এটি আল্লাহর অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে, তা থেকে উত্তম।’ (সুরা ইউনুস: ৫৮)
» কাজা রোজা আদায় করে নেওয়া: আবু সালামা বলেন, আমি আয়েশা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার ওপর গত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শাবান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারি: ১৮৪৯)
» নফল রোজা রাখা: আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি।’ (বুখারি: ১৮৬৮)
» রোজার প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাগুলো নির্ভরযোগ্য আলেম বা গ্রহণযোগ্য বই-পুস্তক থেকে জেনে নেওয়া।
» রমজানে নিজেদের ব্যস্ততা কমিয়ে আনার জন্য এখন থেকে পরিকল্পনা করা এবং একটি উল্লেখযোগ্য সময় ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর বন্দোবস্ত করা।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ,ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১ দিন আগে