মুনীরুল ইসলাম
রোজা মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অপার দান। রোজাদারদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। অনেক গুরুত্ব, তাৎপর্য ও পুরস্কার মণ্ডিত এই রোজা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান হাজির হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের জন্য এই মাসে রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকল বদ্ধ করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (নাসায়ি: ২১০৬)
অসংখ্য কারণে রোজা মুমিনের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ। এখানে ১০টি কারণের কথা তুলে ধরা হলো—
১. তাকওয়া অর্জন
রোজা তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আল্লাহর ভয়চর্চা করার জন্যই এই মাসটি দিয়েছেন তিনি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
২. আল্লাহ নিজেই প্রতিদান দেবেন
আল্লাহ নিজেই রোজার পুরস্কার দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। এটা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’ (বুখারি: ৫৯২৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, রোজা শুধু আমার জন্যই, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ১৫৫১)
৩. গুনাহের ক্ষমাপ্রাপ্তি
রোজার কারণে আগের গুনাহসমূহ মুছে ফেলা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত পড়ে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৩৮)
৪. পরকালে রোজার সুপারিশ
রোজা কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। কেয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার রব, আমি তাকে দিনে খানাপিনা ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত রেখেছি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমোতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬)
৫. দোয়া কবুল
রোজাদারের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি: ৬৩৯২)
৬. রোজা সেরা আমল
রোজার সমকক্ষ কোনো আমল নেই। হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সবচেয়ে উত্তম আমল কী?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রোজাকে আঁকড়ে ধরো! কারণ, রোজার সমকক্ষ কিছুই নেই।’ (নাসায়ি: ২২২২)
৭. গুনাহের অন্তরায়
রোজা মুমিনের ঢালস্বরূপ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ঢালস্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে, আমি রোজা পালন করছি। (বুখারি: ১৮৯৪)
৮. জৈবিক তাড়না নিয়ন্ত্রণ
রোজা জৈবিক তাড়না নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যুবকদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সক্ষমতা নেই, তারা যেন রোজা পালন করে। কারণ, রোজা জৈবিক তাড়না দমন করে।’ (বুখারি: ৫০৬৫)
৯. জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রোজার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও রোজা পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন।’ (বুখারি: ২৮৪০)
১০. জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা
রোজাদার বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। হজরত সাহল বিন সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কেয়ামতের দিন রোজাদারগণই শুধু ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাঁদের ছাড়া অন্য কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদারেরা কোথায়? তখন তাঁরা দাঁড়িয়ে যাবেন এবং ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি: ১৭৯৭)
রোজা মুমিনের জন্য আল্লাহ তাআলার অপার দান। রোজাদারদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। অনেক গুরুত্ব, তাৎপর্য ও পুরস্কার মণ্ডিত এই রোজা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান হাজির হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের জন্য এই মাসে রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকল বদ্ধ করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (নাসায়ি: ২১০৬)
অসংখ্য কারণে রোজা মুমিনের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ। এখানে ১০টি কারণের কথা তুলে ধরা হলো—
১. তাকওয়া অর্জন
রোজা তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আল্লাহর ভয়চর্চা করার জন্যই এই মাসটি দিয়েছেন তিনি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
২. আল্লাহ নিজেই প্রতিদান দেবেন
আল্লাহ নিজেই রোজার পুরস্কার দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। এটা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’ (বুখারি: ৫৯২৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, রোজা শুধু আমার জন্যই, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম: ১৫৫১)
৩. গুনাহের ক্ষমাপ্রাপ্তি
রোজার কারণে আগের গুনাহসমূহ মুছে ফেলা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত পড়ে), তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৩৮)
৪. পরকালে রোজার সুপারিশ
রোজা কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। কেয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার রব, আমি তাকে দিনে খানাপিনা ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত রেখেছি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমোতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬)
৫. দোয়া কবুল
রোজাদারের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি: ৬৩৯২)
৬. রোজা সেরা আমল
রোজার সমকক্ষ কোনো আমল নেই। হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সবচেয়ে উত্তম আমল কী?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রোজাকে আঁকড়ে ধরো! কারণ, রোজার সমকক্ষ কিছুই নেই।’ (নাসায়ি: ২২২২)
৭. গুনাহের অন্তরায়
রোজা মুমিনের ঢালস্বরূপ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ঢালস্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে, আমি রোজা পালন করছি। (বুখারি: ১৮৯৪)
৮. জৈবিক তাড়না নিয়ন্ত্রণ
রোজা জৈবিক তাড়না নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যুবকদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সক্ষমতা নেই, তারা যেন রোজা পালন করে। কারণ, রোজা জৈবিক তাড়না দমন করে।’ (বুখারি: ৫০৬৫)
৯. জাহান্নাম থেকে মুক্তি
রোজার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও রোজা পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন।’ (বুখারি: ২৮৪০)
১০. জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা
রোজাদার বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। হজরত সাহল বিন সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কেয়ামতের দিন রোজাদারগণই শুধু ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাঁদের ছাড়া অন্য কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদারেরা কোথায়? তখন তাঁরা দাঁড়িয়ে যাবেন এবং ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি: ১৭৯৭)
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগে