আসআদ শাহীন

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন। এক ওয়াজের মাধ্যমে তাঁকে এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা অজান্তেই তাঁর নিজের অবস্থাকে প্রতিফলিত করছিল।
নারীর ওয়াজ আলেমের হৃদয় স্পর্শ করে, তিনি গভীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাঁর তীব্র শোক কেটে যায় এবং তিনি আবার মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। কী ছিল সেই ওয়াজ, আসুন জেনে নিই সহিহ হাদিসের আলোকে—
ইমাম মালেক (রহ.) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ থেকে, তিনি কাসিম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন—তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ইন্তেকাল করলে আমি প্রচণ্ড শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ি। তখন মুহাম্মদ ইবনে কাব আল-কুরাযি আমার কাছে এলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা দিলেন। তিনি বললেন, বনি ইসরাইলের এক বড় আলেম ছিলেন। জ্ঞানী, ধার্মিক ও নিষ্ঠাবান ইবাদতগুজার ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলেন এবং তাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।
হঠাৎ করেই তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করলেন। এতে তিনি এতটাই মর্মাহত হলেন যে, দুঃখে-কষ্টে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন। তিনি নিজেকে মানুষের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী বসবাস করতে লাগলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারত না। কেউ তাঁর কাছে আসতেও পারত না।
একদিন এক নারী তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন যে, তাঁকে বুঝিয়ে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি আলেমের বাড়িতে এলেন এবং বললেন, ‘আমার একটি জরুরি মাসআলা আছে, যার সমাধান কেবল তিনিই দিতে পারেন। আমি তাঁর কাছ থেকে সরাসরি জবাব ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হব না।’
লোকজন চলে গেলেও তিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং বললেন, ‘আমি এখান থেকে যাব না। আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই হবে।’
অবশেষে আলেমের কাছে একজন গিয়ে বললেন, ‘দরজার বাইরে এক নারী এসেছেন, যিনি আপনার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সমাধান জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলে গেছেন, কেবল আপনার মুখ থেকেই তিনি উত্তর শুনতে চান এবং কোনোভাবেই ফিরে যাবেন না।’
আলেম বললেন, ‘তাঁকে ভেতরে আসতে দাও।’
নারী ভেতরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমি আপনার কাছে একটি ফতোয়া জানতে এসেছি।’
আলেম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী মাসআলা?’
তিনি বললেন, ‘আমি আমার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে কিছু গয়না ধার নিয়েছিলাম। অনেকদিন তা ব্যবহার করেছি, পরেছি, উপভোগ করেছি। এখন তারা
তাদের গহনা ফেরত চেয়েছে। বলুন, আমি কি তাদের তা ফেরত দেব?’
আলেম বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই! আল্লাহর কসম, তুমি অবশ্যই তা ফিরিয়ে দেবে।’
নারী বললেন, ‘কিন্তু আমি তো এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি!’
আলেম বললেন, ‘বরং এটিই তো অধিক গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা তোমাকে এটি কিছুদিনের জন্য ধার দিয়েছিলেন, এখন তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
তখন ওই নারী বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। তবে কি আপনি এমন কিছু নিয়ে শোক করছেন, যা আল্লাহ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য দিয়েছিলেন, আর এখন তিনি সেটি ফিরিয়ে নিয়েছেন? অথচ তিনিই এর প্রকৃত মালিক!’
এই কথাগুলো শুনে আলেম হঠাৎ নিজের অবস্থার গভীরতা বুঝতে পারলেন। তাঁর চেতনা ফিরে এল। তিনি উপলব্ধি করলেন, তিনি যে শোকে মুহ্যমান ছিলেন, তা অনর্থক। আল্লাহর ইচ্ছাই শ্রেষ্ঠ, আর যা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছেন, তা তাঁরই ছিল।
অবশেষে তিনি দুঃখ কাটিয়ে উঠলেন এবং আবার মানুষের মাঝে ফিরে এলেন। (মুয়াত্তা মালেক, পৃষ্ঠা: ১৬৩, হাদিস: ৪৩)
গল্প থেকে শিক্ষা
জ্ঞানী ও আলেমরা অনেক সময় সেই শিক্ষা ভুলে যান, যা তাঁরা শিখেছেন ও হেফজ করেছেন—যেমন এই আলেম ভুলে গিয়েছিলেন যে, তিনি নিজেই মানুষকে ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন এবং বোঝাতেন যে, আল্লাহ যা কিছু আমাদের থেকে নিয়ে নেন, তা মূলত তিনি আমাদের কাছে কিছু সময়ের জন্য আমানত হিসেবে রেখেছিলেন, যা পরে ফিরিয়ে নেওয়া তাঁরই অধিকার।
যারা প্রজ্ঞা ও বোধশক্তির অধিকারী, তাঁদের দায়িত্ব হলো—অন্যদের সেই জ্ঞান ও উপলব্ধি করিয়ে দেওয়া, যা তারা ভুলে গেছেন বা খেয়াল করেননি। যেমন, এই বিচক্ষণ নারী আলেমকে তাঁর ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।
ফিকহ ও জ্ঞান অর্জন কেবল পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়; বরং এটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এক অভিন্ন সম্পদ। এই গল্পে দেখা যায়, এক নারী কেবল জ্ঞান অর্জন করেননি, বরং এক বিদ্বান পুরুষকেও তাঁর ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
যদি কোনো নারী নিশ্চিত হন যে, তিনি নিজেকে বিপদ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, তাহলে তাঁর জন্য জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষা দেওয়া এবং সমাজে কল্যাণ ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বাধা নেই।
উপমা ও উদাহরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উপমা সন্দেহ দূর করে, অস্পষ্টতা দূর করে, পথহারা মানুষকে শিক্ষা দেয় এবং বিভ্রান্তদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

গল্পটি বনি ইসরাইলের এক আলেমের কথা বলে। স্ত্রী মারা গেলে তিনি শোকে মুহ্যমান হয়ে নিজেকে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তখন এক নারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি এক কৌশল অবলম্বন করেন।
১৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে