ইসলাম ডেস্ক
মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেকালের দুই পরাশক্তি পারস্য, রোমসহ বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহদের চিঠি দেন এবং ইসলামের দাওয়াত দেন। কেউ তা সাদরে গ্রহণ করেন, আবার কেউ প্রত্যাখ্যান করেন। যে সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর এসব চিঠি বহন করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁরা ইসলামের ইতিহাসে ‘নববি দূত’ হিসেবে পরিচিত। তাঁদের নাম, গন্তব্য ও কূটনৈতিক মিশনের সাফল্য এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
» জাফর ইবনে আবু তালিব। হিজরতের আট বছর আগে তাঁকে হাবশার (বর্তমান ইথিওপিয়া) বাদশাহ নাজ্জাশির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনিই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দূত।
» আমর ইবনে উমাইয়া আদ-দামারি আল-কিনানি। তাঁকে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। নাজ্জাশি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
» দিহয়া ইবনে খলিফা আল-কালবি। তাঁকে রোমের বাদশাহ হিরাক্লিয়াসের কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। ইতিবাচক ফল নিয়ে ফেরেন তিনি।
» হাতিব ইবনে আবি বালতাআ। তাঁকে মিসরের বাদশাহ মুকাওকিসের কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। মুকাওকিস নবীজির জন্য হাদিয়া পাঠান এবং নবীজির দূতকে ইতিবাচক বার্তা দেন।
» শুজা ইবনে ওয়াহাব আল-আসদি। তাঁকে সিরিয়ার গাসসানি বাদশাহ হারিস ইবনে শিমার আল-গাসসানির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। হারিস ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
» সালিত ইবনে আমর আল-আমিরি আল-কুরাইশি। ৬ হিজরির শেষ দিকে তাঁকে ইয়ামামার বাদশাহ হাওজা ইবন আলী আল-হানাফির কাছে পাঠানো হয়। হাওজা ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আলা ইবনুল হাদরামি। তাঁকে বাহরাইনের শাসক আল-মুনজির ইবনে সাভি আল-আবদির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। আল-মুনজির ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আবদুল্লাহ ইবন হুজাফা আল-সাহমি। ৭ হিজরির শুরুর দিকে তাঁকে পারস্যের বাদশাহ পারভেজ ইবনে হুরমুজের কাছে পাঠানো হয়। তিনি নবীজির চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন এবং দূতের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেন।
» হারিস ইবনে ওমাইর আল-আজদি। তাঁকে সিরিয়ার বুসরা শহরের বাদশাহর কাছে পাঠানো হয় ৮ হিজরির মাঝামাঝি সময়ে। বাদশাহর কাছে পৌঁছার আগেই নবীজির দূত হারিসকে শহীদ করে দেওয়া হয়।
» আমর ইবনুল আস আল-কুরাশি আল-সাহমি। তাঁকে ওমানের বনি জাহরানের দুই নেতা জিফার ও আবদের কাছে পাঠানো হয় ৮ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা দুজনেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» মুহাজির ইবনে উমাইয়া আল-কুরাশি আল-মাখজুমি। তাঁকে ইয়েমেনের আল-হারিস ইবনে আবদ কালাল আল-হিময়ারির কাছে পাঠানো হয় ৯ হিজরিতে। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
» মুআজ ইবনে জাবাল আল-আনসারি আল-খাজরাজি। তাঁকে হারিস, শুরাহবিল ও নায়িম ইবন আবদ কালালের কাছে পাঠানো হয়েছিল ৯ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা সকলেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আবু মুসা আল-আশআরি। ৯ হিজরির শেষ দিকে তাঁকে হারিস ইবন আবদ কালাল ও তাঁর ভাইদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আমর ইবনে হাজম আল-আনসারি আল-খাজরাজি। তাঁকে নাজরানের হারিস ইবনে আবদ কালাল, তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের কাছে পাঠানো হয়েছিল ১০ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» জারির ইবনে আবদুল্লাহ আল-বাজালি। তাঁকে ইয়েমেনের দুটি গোত্রের নেতা জুলকিলা ও জুআমরের কাছে পাঠানো হয় ১১ হিজরিতে। তাঁরা দুজনেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সেকালের দুই পরাশক্তি পারস্য, রোমসহ বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহদের চিঠি দেন এবং ইসলামের দাওয়াত দেন। কেউ তা সাদরে গ্রহণ করেন, আবার কেউ প্রত্যাখ্যান করেন। যে সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর এসব চিঠি বহন করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁরা ইসলামের ইতিহাসে ‘নববি দূত’ হিসেবে পরিচিত। তাঁদের নাম, গন্তব্য ও কূটনৈতিক মিশনের সাফল্য এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
» জাফর ইবনে আবু তালিব। হিজরতের আট বছর আগে তাঁকে হাবশার (বর্তমান ইথিওপিয়া) বাদশাহ নাজ্জাশির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনিই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম দূত।
» আমর ইবনে উমাইয়া আদ-দামারি আল-কিনানি। তাঁকে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। নাজ্জাশি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
» দিহয়া ইবনে খলিফা আল-কালবি। তাঁকে রোমের বাদশাহ হিরাক্লিয়াসের কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। ইতিবাচক ফল নিয়ে ফেরেন তিনি।
» হাতিব ইবনে আবি বালতাআ। তাঁকে মিসরের বাদশাহ মুকাওকিসের কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। মুকাওকিস নবীজির জন্য হাদিয়া পাঠান এবং নবীজির দূতকে ইতিবাচক বার্তা দেন।
» শুজা ইবনে ওয়াহাব আল-আসদি। তাঁকে সিরিয়ার গাসসানি বাদশাহ হারিস ইবনে শিমার আল-গাসসানির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। হারিস ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
» সালিত ইবনে আমর আল-আমিরি আল-কুরাইশি। ৬ হিজরির শেষ দিকে তাঁকে ইয়ামামার বাদশাহ হাওজা ইবন আলী আল-হানাফির কাছে পাঠানো হয়। হাওজা ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আলা ইবনুল হাদরামি। তাঁকে বাহরাইনের শাসক আল-মুনজির ইবনে সাভি আল-আবদির কাছে পাঠানো হয় ৬ হিজরির শেষ দিকে। আল-মুনজির ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আবদুল্লাহ ইবন হুজাফা আল-সাহমি। ৭ হিজরির শুরুর দিকে তাঁকে পারস্যের বাদশাহ পারভেজ ইবনে হুরমুজের কাছে পাঠানো হয়। তিনি নবীজির চিঠি ছিঁড়ে ফেলেন এবং দূতের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেন।
» হারিস ইবনে ওমাইর আল-আজদি। তাঁকে সিরিয়ার বুসরা শহরের বাদশাহর কাছে পাঠানো হয় ৮ হিজরির মাঝামাঝি সময়ে। বাদশাহর কাছে পৌঁছার আগেই নবীজির দূত হারিসকে শহীদ করে দেওয়া হয়।
» আমর ইবনুল আস আল-কুরাশি আল-সাহমি। তাঁকে ওমানের বনি জাহরানের দুই নেতা জিফার ও আবদের কাছে পাঠানো হয় ৮ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা দুজনেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» মুহাজির ইবনে উমাইয়া আল-কুরাশি আল-মাখজুমি। তাঁকে ইয়েমেনের আল-হারিস ইবনে আবদ কালাল আল-হিময়ারির কাছে পাঠানো হয় ৯ হিজরিতে। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
» মুআজ ইবনে জাবাল আল-আনসারি আল-খাজরাজি। তাঁকে হারিস, শুরাহবিল ও নায়িম ইবন আবদ কালালের কাছে পাঠানো হয়েছিল ৯ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা সকলেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আবু মুসা আল-আশআরি। ৯ হিজরির শেষ দিকে তাঁকে হারিস ইবন আবদ কালাল ও তাঁর ভাইদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেন।
» আমর ইবনে হাজম আল-আনসারি আল-খাজরাজি। তাঁকে নাজরানের হারিস ইবনে আবদ কালাল, তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের কাছে পাঠানো হয়েছিল ১০ হিজরির শেষ দিকে। তাঁরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেন।
» জারির ইবনে আবদুল্লাহ আল-বাজালি। তাঁকে ইয়েমেনের দুটি গোত্রের নেতা জুলকিলা ও জুআমরের কাছে পাঠানো হয় ১১ হিজরিতে। তাঁরা দুজনেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো..
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
২ দিন আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
৩ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৪ দিন আগে