আমজাদ ইউনুস

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক
আমজাদ ইউনুস

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে