নামাজে ইমামের পেছনে কে দাঁড়াবেন?

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ২৬
Thumbnail image

নামাজের কাতারে ইমাম সাহেবের ঠিক পেছনে কে দাঁড়াবে—এ বিষয়ে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ইমামের সরাসরি পেছনে এমন কারও দাঁড়ানো উচিত, যিনি কোরআন-হাদিসের জ্ঞান রাখেন, প্রয়োজনে ইমামের কোনো সমস্যা হলে তিনি ইমামতি করতে পারেন।

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) নামাজের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেন, তোমরা সোজা দাঁড়াও এবং আগে-পিছে ছিন্নভিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ো না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর মতভেদে লিপ্ত হয়ে পড়বে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। এরপর এই গুণে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে এদের কাছাকাছি দাঁড়াবে।’ (আবু দাউদ: ৮৫৮)

‘বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী’র ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কোরআন-হাদিসে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ইমামের পেছনে দাঁড়াবে, যাতে ইমামের কোনো সমস্যা হলে জরুরি ভিত্তিতে পেছনের লোকটি সামনে এগিয়ে গিয়ে ইমামতি করে বাকি নামাজ শেষ করতে পারে। অথবা ইমাম সাহেবের তিলাওয়াতে কিংবা নামাজের কোনো রুকনে ভুল হলে সঠিকভাবে লুকমা দিতে পারে। (দরসে তিরমিজি: ১ / ৪৮৬)

তবে কোরআন-হাদিসের জ্ঞান নেই এমন কেউ ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে গেলে নামাজ হবে না—এমন কথা বলা যাবে না। আবার ইমাম যদি হাদিসের ওপর আমল করার স্বার্থে কোরআন-হাদিসে অজ্ঞ কোনো ব্যক্তিকে একটু সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন, তাহলে তা-ও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ৩ / ৩৯৮)

বরং নবীজি (সা.)-এর নির্দেশনাও এমনই। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর বিন খাত্তাব (রা.) নামাজে ইমামতি করা অবস্থায় খঞ্জরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন। তখন তিনি পেছন থেকে আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.)-কে সামনে নিয়ে আসেন। এরপর আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) মুসল্লিদের নিয়ে বাকি নামাজ সম্পন্ন করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭০০)

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত