ইমদাদুল হক শেখ
ঋণগ্রস্ত মানুষের প্রতি দরদ ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা ইসলামের মহান শিক্ষা। সুদবিহীন ঋণদানের মাধ্যমে ঋণগ্রস্তকে সাহায্য করা উদার মানবিকতার প্রতীক। এর মাধ্যমে ঋণদাতা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করে। কাউকে করজে হাসানা বা সুদবিহীন ঋণ দিলে আল্লাহ তাআলা তাকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেবেন এবং তার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ (সুদবিহীন ঋণ) দাও, তবে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা অতি গুণগ্রাহী, মহা সহনশীলতার অধিকারী।’ (সুরা তাগাবুন: ১৭) আল্লাহ তাআলা অমুখাপেক্ষী হওয়া সত্ত্বেও এই আয়াতে তাঁকে ঋণদানের কথা বলা হয়েছে। মূলত এ থেকে উদ্দেশ্য হলো, কোনো মুখাপেক্ষী ও অক্ষম ব্যক্তিকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করার কথা বোঝানো হয়েছে।
কাউকে ঋণ দিলে সে ঋণ পরিমাণ সম্পদ সদকা করার প্রতিদান লাভ করবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে দুবার ঋণ দিলে, সে সেই পরিমাণ সম্পদ একবার দান-খয়রাত করার সমান সওয়াব পায়।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪৩০)
কাউকে ঋণ দেওয়া যেমন সওয়াবের কাজ, তেমনি ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়াও সওয়াবের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেওয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (বাকারা: ২৮০)
ঋণগ্রস্তকে সুযোগ দিলে কিয়ামতের দিন আরশের নিচে জায়গা মিলবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি (ঋণ পরিশোধে) অক্ষমকে সুযোগ দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়াতলে জায়গা দেবেন, যখন আরশের ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না।’ (তিরমিজি: ১৩০৬)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঋণগ্রস্ত মানুষের প্রতি দরদ ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা ইসলামের মহান শিক্ষা। সুদবিহীন ঋণদানের মাধ্যমে ঋণগ্রস্তকে সাহায্য করা উদার মানবিকতার প্রতীক। এর মাধ্যমে ঋণদাতা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করে। কাউকে করজে হাসানা বা সুদবিহীন ঋণ দিলে আল্লাহ তাআলা তাকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেবেন এবং তার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে উত্তম ঋণ (সুদবিহীন ঋণ) দাও, তবে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা অতি গুণগ্রাহী, মহা সহনশীলতার অধিকারী।’ (সুরা তাগাবুন: ১৭) আল্লাহ তাআলা অমুখাপেক্ষী হওয়া সত্ত্বেও এই আয়াতে তাঁকে ঋণদানের কথা বলা হয়েছে। মূলত এ থেকে উদ্দেশ্য হলো, কোনো মুখাপেক্ষী ও অক্ষম ব্যক্তিকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করার কথা বোঝানো হয়েছে।
কাউকে ঋণ দিলে সে ঋণ পরিমাণ সম্পদ সদকা করার প্রতিদান লাভ করবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে দুবার ঋণ দিলে, সে সেই পরিমাণ সম্পদ একবার দান-খয়রাত করার সমান সওয়াব পায়।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪৩০)
কাউকে ঋণ দেওয়া যেমন সওয়াবের কাজ, তেমনি ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়াও সওয়াবের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেওয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (বাকারা: ২৮০)
ঋণগ্রস্তকে সুযোগ দিলে কিয়ামতের দিন আরশের নিচে জায়গা মিলবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি (ঋণ পরিশোধে) অক্ষমকে সুযোগ দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়াতলে জায়গা দেবেন, যখন আরশের ছায়া ছাড়া কোনো ছায়া থাকবে না।’ (তিরমিজি: ১৩০৬)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
৪ ঘণ্টা আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
১ দিন আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২ দিন আগে