ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার সহজ হয়েছে। উপকারী এই যন্ত্র ব্যবহারের কিছু আদব রয়েছে। এখানে কিছু আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
সালাম দিয়ে কথা শুরু করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সালাম দিয়ে কথা শুরু করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সালামের আগে কথা শুরু করে, তার কথার উত্তর দিয়ো না।’ (সহিহুল জামে)। একইভাবে একজনের সঙ্গে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই সালাম বিনিময় করা এবং কথা শেষে সালাম দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ মজলিশে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মজলিশ থেকে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ (আবু দাউদ)
নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা
সালামের পর নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকা যায়। জাবির (রা.) বলেন, ‘আমি আমার বাবার ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য মহানবী (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর দরজায় কড়া নাড়লাম। তিনি বললেন, “কে?” আমি বললাম, “আমি।” তখন তিনি ধমকের সুরে বললেন, “আমি আমি?” মনে হয় তিনি এটা অপছন্দ করেন। (বুখারি)
অনুমতি নিয়ে কথা বলা
কোনো কোনো লোক মোবাইল করেই কথা বলা শুরু করেন। এমন না করে কথা বলার জন্য অনুমতি নেওয়া বা তার কথা বলার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, জেনে কথা বলা ভদ্রতা। এরপর প্রয়োজনীয় কথা দ্রুত সেরে নেওয়া ভদ্রতা।
নিচু স্বরে কথা বলা
এমনভাবে কথা বলতে হবে, যাতে অন্য প্রান্তের মানুষ শুনতে পায়। কোনোভাবেই রুক্ষভাবে উচ্চ আওয়াজে কথা বলা সমীচীন নয়। কেননা, এমন আওয়াজ গাধার আওয়াজের সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি পদচারণে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু করো। নিশ্চয়ই সবচেয়ে অপছন্দের স্বর হলো গাধার স্বর।’ (সুরা লুকমান: ১৯)
প্রয়োজনীয় কথা বলা
ফোন বা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার যন্ত্র নয়। বরং এতে একান্ত প্রয়োজনীয় কথা সংক্ষেপে বলতে হবে। কেননা, অধিক কথা বলতে গেলে পাপসংশ্লিষ্ট কথাও হতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করাই শ্রেয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হলো, তার অনর্থক বিষয় পরিহার করা।’ (ইবনে মাজাহ)
ধীরে ধীরে বুঝিয়ে কথা বলা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথা বলা উচিত, যাতে অন্য প্রান্তের শ্রোতা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে কথা বোঝার জন্য ফের বলতে হবে। আনাস (রা.) বলেন, যখন মহানবী (সা.) কথা বলতেন, তখন তিনি তা তিনবার বলতেন, যাতে তা বোধগম্য হয়।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) এমনভাবে কথা বলতেন, কোনো গণনাকারী তা গুনতে চাইলে গণনা করতে পারতেন।’ (বুখারি)
হাসিমুখে কথা বলা
কারও সঙ্গে মুখ ভার করে অথবা গোমড়ামুখে কথা বলা উচিত নয়, বরং হাসিমুখে কথা বলাই কল্যাণকর। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ও গাঢ় হয়, তেমনি তাতে সওয়াবও রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি)
মর্যাদা অনুসারে কথা বলা
যাঁর কাছে কল করা হচ্ছে, তাঁর মর্যাদার প্রতি লক্ষ রেখে কথা বলা উচিত। যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মান পাওয়ার হকদার, তাঁকে ততটুকু সম্মান দিয়ে শালীনতা বজায় রাখা ইসলামের দাবি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) আমাদের মানুষের পদমর্যাদা অনুসারে স্থান দিতে আদেশ করেছেন।’ (মুসলিম)
নামাজ ও ঘুমের সময় কল না দেওয়া
দিনে-রাতে পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় কাউকে কল দেওয়া বা মেসেজ পাঠানো উচিত নয়। এতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হয় এবং পার্শ্ববর্তী মুসল্লিদের নামাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুম আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। সারা দিনের কর্মক্লান্তি শেষে মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, সেই ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কাউকে কল দেওয়া অনুচিত।
মিথ্যা তথ্য পরিবেশন না করা
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা আবশ্যক। কথা বলার সময় কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া তা অন্যের কাছে পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি স্বীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক স্থানের নাম না বলে অন্য স্থানের নাম বললে তা-ও মিথ্যাচারের শামিল। আর জেনেশুনে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ।
ইচ্ছাকৃত কল রিসিভ না করা অনুচিত
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করেন না, অথচ অন্য প্রান্ত থেকে বারবার কল হয়েই যাচ্ছে। একইভাবে কেউ কেউ মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখেন। ফলে তাঁকে কল করে কোনো উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় না। উভয় অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। কারণ যিনি কল করছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ পাঠাতে চাইছেন। কিন্তু তা না পাঠানোর কারণে কারও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটির যেমন নানাবিধ উপকার রয়েছে, তেমনি অপকারও রয়েছে। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সুন্নত পদ্ধতি অবলম্বন করা আবশ্যক।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

বর্তমান সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ফোন। তারহীন এই ফোন এখন মানুষের হাতে হাতে। পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ বিভিন্ন তথ্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি আমাদের জীবন চলার পথ সাবলীল করেছে। এতে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ায় ই-মেইল, মেসেঞ্জার, টুইটা
২৪ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে