আসআদ শাহীন

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন। এসব গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি গরু ও একটি বাঘের মানুষের সঙ্গে কথা বলার দুটি গল্প। গল্প দুটির শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হলো—
এক.
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) ফজরের নামাজ শেষে লোকজনের দিকে ঘুরে বসলেন এবং বললেন, একদিন এক লোক এক গরু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে এটির পিঠে চড়ে বসল এবং তাকে প্রহার করতে লাগল। তখন গরুটি বলল, ‘আমাদের এ জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং আমাদের চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ এ কথা শুনে লোকজন বলে উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ্! গরুও কথা বলে?’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
দুই.
হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাখাল একদিন তার ছাগল পালের মাঝে অবস্থান করছিল, এমন সময় একটা চিতা বাঘ পালে ঢুকে একটা ছাগল নিয়ে গেল। রাখাল বাঘের পেছনে ধাওয়া করে ছাগলটি উদ্ধার করে নিল। তখন বাঘটি বলল, ‘তুমি ছাগলটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিলে বটে; তবে ওইদিন কে ছাগলকে রক্ষা করবে, যেদিন হিংস্র জন্তু ওদের আক্রমণ করবে এবং আমি ছাড়া তাদের অন্য কোনো রাখাল থাকবে না।’
লোকজন বলল, ‘সুবহানাল্লাহ! চিতা বাঘ কথা বলে।’ নবী (সা.) বললেন, আমি, আবু বকর ও ওমর তা বিশ্বাস করি। অথচ তখন তাঁরা উভয়েই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৪৭১)
এ দুটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি কেবল দুটি পশুর নয়। এটি প্রকৃতির এক গভীর বার্তা। গরুটি তার দায়িত্ব জানত—সে জানত, সে সওয়ারির জন্য নয়, চাষাবাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো নিজ স্বার্থের জন্য সেই বিধানকে অগ্রাহ্য করে। আর তখনই প্রকৃতি তাকে সতর্ক করে দেয়।
একইভাবে বাঘটিও যেন এক ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করল। সে শুধু ক্ষুধার্ত শিকারি নয়, সে এক রহস্যময় দূত। সে জানত, একদিন আসবে যখন রাখাল থাকবে না, পাহারা থাকবে না, তখন কী হবে? কে তখন পশুপাল রক্ষা করবে?
ইমাম জাহাবি (রহ.) বলেন, এটি এমন একটি গরু, যাকে আল্লাহ দুনিয়াতেই বাকশক্তি দান করেছিলেন, যাতে সে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে পারে যে, সে কারও ক্ষতি করে না এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। সুতরাং কেউ যদি তাকে তার ক্ষমতার বাইরে কোনো কাজে বাধ্য করে কিংবা অন্যায়ভাবে আঘাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সেই আঘাত ও নির্যাতনের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে। (আল-কাবায়ির,১ / ২০৫)
ইমাম আবু জাফর আত-তহাবি (রহ.) বলেন, এ হাদিসে সেই গরুর কথা রয়েছে, যাকে আল্লাহ তাআলা বাকশক্তি দান করেছিলেন এবং যে কথা বলেছিল, তা মূলত মুমিনদের জন্য ইমানের উপকরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। তার উচ্চারিত বাক্য সত্য ছিল, কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তা সত্য বলে স্বীকার করেছিলেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, আবু বকর ও ওমর (রা.)—তাঁরাও এতে বিশ্বাস করতেন। (শরহে মুশকিলিল আছার ৮ / ৭৫)
গল্প থেকে শিক্ষা
প্রাণীদের সৃষ্টিগত কাজের বিপরীতে ব্যবহার করা অনুচিত। আল্লাহ প্রতিটি প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রাণীদের সেই কাজে ব্যবহার করা উচিত, যার জন্য তারা সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহর মহান ক্ষমতার চমকপ্রদ নিদর্শনসমূহ দিয়ে মানুষকে উপদেশ দেওয়া সুন্নত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর সাহাবিদের আল্লাহর অসীম ক্ষমতার এক বিস্ময়কর ঘটনা শোনাচ্ছিলেন।
নামাজের পর মানুষকে উপদেশ দেওয়া জায়েজ। এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ শেষে মানুষকে উপদেশ দেওয়া এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলা একটি সুন্নত ও কল্যাণকর কাজ।
আল্লাহর অসীম শক্তির প্রমাণ। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি চাইলে যেকোনো প্রাণীকে মানুষের ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা দান করতে পারেন। যেমন, হাদিসে এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
যেকোনো সহিহ বর্ণনাকে বিনা সন্দেহে গ্রহণ করা উচিত। কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসে যেসব সংবাদ এসেছে, সেগুলো যতই আশ্চর্যজনক হোক না কেন, তাতে বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। কেননা, মহান আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তবে মিথ্যা বা জাল কাহিনিকে সত্য হিসেবে প্রচার করা নিষিদ্ধ; বরং সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই বর্ণনা করা যেতে পারে।
আবু বকর ও ওমর (রা.)–এর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর ইমানের দৃঢ়তা, তাঁদের মহান আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর কুদরতের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেছেন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
১৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে