মাহমুদ হাসান ফাহিম
অনর্থক প্রশ্ন করা মন্দ স্বভাবের কাজ। এ কাজের জন্য মানুষকে ঘৃণিত ও নিন্দিত হতে হয়। স্বাভাবিকভাবে এটাকে বদ স্বভাব মনে করা হয়। এরপরও কিছু লোক এমন আছে, যারা অহেতুক প্রশ্ন করতে আগ্রহী। ইসলামে যেসব বিষয়ে কোনো বিধান দেওয়া হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিনা প্রয়োজনে প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন তুলতে থাকে। পবিত্র কোরআনে এরূপ প্রশ্ন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন কোরো না, যা প্রকাশ করা হলে তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর মনে হবে।...’ (সুরা মায়েদা: ১০১)
এই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণিত আছে, হজ ফরজ হওয়া-সম্পর্কিত আদেশ অবতীর্ণ হলে হজরত আকরা ইবনে হাবেস (রা.) প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, ‘প্রতিবছরই হজ করা ফরজ কি না?’ প্রশ্নকারী তৃতীয়বার প্রশ্ন করলে শাসনের সুরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘যদি আমি তোমার উত্তরে হ্যাঁ বলে দিতাম, তবে তা-ই হয়ে যেত। কিন্তু তুমি তো এই আদেশ পালন করতে সক্ষম না।’ এরপর বললেন, ‘যেসব বিষয় সম্পর্কে আমি তোমাদের কোনো নির্দেশ না দিই, সেগুলোকে সেভাবেই থাকতে দিয়ো, ঘাঁটাঘাঁটি করে প্রশ্ন কোরো না। তোমাদের আগে বহু উম্মত বেশি বেশি প্রশ্ন করে ধ্বংস ডেকে এনেছে। আল্লাহ ও রাসুলগণ যেসব বিষয় ফরজ করেননি, তারা প্রশ্ন করে সেগুলোকে ফরজ করিয়ে নিয়েছিল। পরে সেগুলোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত হয়েছিল। কাজেই আমি যে কাজের আদেশ দিই, সাধ্যানুযায়ী তা পালন করা এবং যে কাজের নিষেধ করি, তা পরিত্যাগ করাই তোমাদের কর্তব্য। যেসব বিষয়ে আমি নীরব থাকি, সেগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কোরো না।’ (সুনানে বায়হাকি: ৮৬২০) ইমাম দারাকুতনির বর্ণনায় আছে, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই আয়াত নাজিল হয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
অনর্থক প্রশ্ন করা মন্দ স্বভাবের কাজ। এ কাজের জন্য মানুষকে ঘৃণিত ও নিন্দিত হতে হয়। স্বাভাবিকভাবে এটাকে বদ স্বভাব মনে করা হয়। এরপরও কিছু লোক এমন আছে, যারা অহেতুক প্রশ্ন করতে আগ্রহী। ইসলামে যেসব বিষয়ে কোনো বিধান দেওয়া হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিনা প্রয়োজনে প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন তুলতে থাকে। পবিত্র কোরআনে এরূপ প্রশ্ন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন কোরো না, যা প্রকাশ করা হলে তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর মনে হবে।...’ (সুরা মায়েদা: ১০১)
এই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে বর্ণিত আছে, হজ ফরজ হওয়া-সম্পর্কিত আদেশ অবতীর্ণ হলে হজরত আকরা ইবনে হাবেস (রা.) প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন, ‘প্রতিবছরই হজ করা ফরজ কি না?’ প্রশ্নকারী তৃতীয়বার প্রশ্ন করলে শাসনের সুরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘যদি আমি তোমার উত্তরে হ্যাঁ বলে দিতাম, তবে তা-ই হয়ে যেত। কিন্তু তুমি তো এই আদেশ পালন করতে সক্ষম না।’ এরপর বললেন, ‘যেসব বিষয় সম্পর্কে আমি তোমাদের কোনো নির্দেশ না দিই, সেগুলোকে সেভাবেই থাকতে দিয়ো, ঘাঁটাঘাঁটি করে প্রশ্ন কোরো না। তোমাদের আগে বহু উম্মত বেশি বেশি প্রশ্ন করে ধ্বংস ডেকে এনেছে। আল্লাহ ও রাসুলগণ যেসব বিষয় ফরজ করেননি, তারা প্রশ্ন করে সেগুলোকে ফরজ করিয়ে নিয়েছিল। পরে সেগুলোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত হয়েছিল। কাজেই আমি যে কাজের আদেশ দিই, সাধ্যানুযায়ী তা পালন করা এবং যে কাজের নিষেধ করি, তা পরিত্যাগ করাই তোমাদের কর্তব্য। যেসব বিষয়ে আমি নীরব থাকি, সেগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কোরো না।’ (সুনানে বায়হাকি: ৮৬২০) ইমাম দারাকুতনির বর্ণনায় আছে, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই আয়াত নাজিল হয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
৭ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে