মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে