ইজাজুল হক, ঢাকা

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ। এমনকি ফেরেশতারাও নিজের মতো করে চিন্তা করে কথা বলতে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মানুষকে কথা বলার যোগ্যতা ও ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দানের কথা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বিবৃত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো।
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ তাআলা প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-এর দেহ তৈরি করে তাতে প্রাণ দিলেন। এরপর একদল ফেরেশতাকে সালাম দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঠালেন। তিনি সালাম দিলেন। ফেরেশতারা জবাব দিলেন। এরপর আল্লাহ ইচ্ছা করলেন, ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কারণ জানিয়ে দেবেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার পালনকর্তা ফেরেশতাদের বললেন, আমি নিশ্চয়ই পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে জারির (রহ.) বলেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই, যে আমার সৃষ্টির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। সেই প্রতিনিধি হলো, আদম ও যারা আমার আনুগত্য করবে এবং আমার বান্দাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার বিধান প্রতিষ্ঠায় আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।’ (তাফসিরে তাবারি)
এরপর মানুষের প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য ফেরেশতাদের জানানো হলো। তাঁরা জানলেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হবে। তাই তাঁরা বললেন, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত করবে? আমরা তো আপনার প্রশংসাসহ তাসবিহ পড়িই এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করিই।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
ফেরেশতারা বোঝাতে চাইলেন, আমাদের মতো অনুগত ও বাধ্য বান্দা থাকতে কেন বিশৃঙ্খল একটি জাতি সৃষ্টি করতে হবে। তাঁদের সেই কথার জবাবে আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা যা জানো না, আমি তা নিশ্চিতভাবে জানি।’ (সুরা বাকারা: ৩০) অর্থাৎ, মানুষ তোমাদের মতো হবে না। তাদের আলাদা যোগ্যতা থাকবে। সেই যোগ্যতা দিয়ে তারা পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে।
আদম (আ.)-কে কী শেখানো হয়েছিল
মহাবিশ্বের অধিপতি আল্লাহ ভালো করেই জানেন, ফেরেশতাদের তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করতে সৃষ্টি করেননি। তাই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেননি। তবে আদম ও তাঁর সন্তানদের পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।
ফলে আদম (আ.)-কে পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো। যেমন, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আদমকে সব নাম শিখিয়ে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)
এ বিষয়টি মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও এসেছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মুমিনদের একত্রিত করবেন। তারা বলবে, যদি আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে এই স্থান (হাশরের ময়দান) থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য (কারো মাধ্যমে) সুপারিশ করাই, (কেমন হয়?)। এরপর তারা আদমের কাছে এসে বলবে, হে আদম, আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দিয়ে সিজদা করিয়েছেন এবং সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের এই স্থান থেকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করুন।’ (বুখারি: ৪৪৭৪; মুসলিম: ১৯৩)
এই হাদিস অনেক দীর্ঘ। এই অংশে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আপনাকে সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন।’ কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে একই কথা বলা হয়েছে। তবে আদমকে সবকিছুর নাম শেখানো সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কী শেখানো হয়েছিল—তার বিস্তারিত বিবরণ কোথাও নেই।
তাবিই কাতাদাহর সূত্রে ইবনে কাসির ও ইবনে জারির বলেন, আল্লাহ তাআলা সবকিছুর নাম শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যেমন এটি পাহাড়, এটি সমুদ্র, এটি এই, ওটা সেই—প্রত্যেকটি বস্তুর নাম। (তাবারি ও ইবনে কাসির) কেউ কেউ বলেছেন, ‘নামগুলো বলতে ব্যক্তিবর্গ ও জিনিসপত্রের নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ তা ইলহাম বা অন্তরে গেঁথে দেওয়ার মাধ্যমে তা সম্পন্ন করেন।’ (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)
ড. সালাহ আল-খালেদি এ ব্যাপারে বলেন, ‘আল্লাহ কি আদম (আ.)–কে সবকিছুর নামের অভিধান মুখস্থ করিয়ে দিয়েছেন, না প্রয়োজনীয় নামগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন? নাকি মুখস্থ না করিয়ে অন্য পদ্ধতিতে নামগুলো তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন? শেখানোর মাধ্যম কি আরবি ছিল, না অন্য ভাষা? এসব প্রশ্নের জবাবে আমাদের কাছে কোরআন-হাদিসের কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই বিষয়ের বিস্তারিত আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেওয়াই আমাদের জন্য কল্যাণকর।’ (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৭)
যেভাবে আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হলো
আদম (আ.)-কে যে ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তিনি তাঁদের জানিয়ে দিতে চাইলেন। ফলে একটি পরীক্ষার আয়োজন করলেন। পরীক্ষায় আদম (আ.) উত্তীর্ণ হলেন এবং ফেরেশতারা অকৃতকার্য হলেন। ফলে ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বুঝতে পারলেন এবং অকপটে স্বীকার করে নিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর সেই বস্তুগুলো ফেরেশতাদের সামনে পেশ করে বললেন, আমাকে এসবের নাম বলো—যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, হে আদম, ওদেরকে এসবের নামগুলো বলে দাও। এরপর যখন সে তাদের সেসবের নাম বলে দিল, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি, আসমান-জমিনের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে আমি অবহিত এবং তোমরা যা বলো বা গোপন রাখো, নিশ্চিতভাবে আমি তা জানি?’ (সুরা বাকারা: ৩১-৩৩)
ফেরেশতাদের কেন নামগুলো শেখালেন না?
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সবকিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের শেখালেন না। এসব বস্তুর জ্ঞান আগে থেকে তাঁদের ছিলও না। এরপরও ফেরেশতাদের সেসব বস্তুর নাম জানাতে বললেন। আল্লাহ জানতেন, এসবের নাম ফেরেশতারা জানেন না। কারণ তিনি তাদের এসব শেখাননি। এরপরও তাদের পরীক্ষা করলেন। নামগুলো বলতে বললেন। কেন?
কারণ আল্লাহ ফেরেশতাদের আদমকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত করার কারণ দেখাতে চেয়েছিলেন। ফলে তাঁর যোগ্যতা তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। এবং এর মাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। ফেরেশতাদের মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে সেই যোগ্যতা দেওয়া হয়নি। ফলে ফেরেশতারাও তাঁদের অপারগতা স্বীকার করে নিলেন। ফেরেশতাদের জবাবই প্রমাণ করে, তাঁদের জ্ঞান আল্লাহ থেকেই আসে। তাঁরা মানুষের মতো জ্ঞানের অধিকারী নন। কথা বলা, চিন্তা করা ও সব বস্তু চেনার এই যোগ্যতা ফেরেশতাদের দরকার নেই। কারণ তাঁদের যেসব ইবাদতে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেসবে এমন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৮)
ভাষা ও কথা বলার যোগ্যতা
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে জবাব দিতে বললেন। তিনি সুন্দরভাবে জবাব দিলেন। ফেরেশতাদের সামনে সব বস্তুর নাম বলে দিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি মানুষের মধ্যে কথা বলা, মনের ভাবপ্রকাশ করা, সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম। এসব ছাড়া মানুষ কীভাবে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে? কীভাবে পৃথিবীতে আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করবে?
তাই আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আদম (আ.) ও তাঁর সন্তানদের কথা বলা, চিন্তা করা ও মনের ভাবপ্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পরম দয়ালু (আল্লাহ)। কোরআন শিখিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাকে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।’ (সুরা রহমান: ১-৪)
আদম (আ.) কোন ভাষায় কথা বলতেন?
এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, তিনি সুরয়ানি ভাষায় কথা বলতেন। কেউ বলেছেন, আরবি ভাষায়। কেউ বলেছেন, আসমানে থাকতে আরবি ভাষায়, পৃথিবীতে আসার পর সুরিয়ানি ভাষায়। কেউ বলেছেন, নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার আগে আরবি ভাষায়, তওবা করার আগে সুরিয়ানি ভাষায়, তওবা করার পর আবার আরবি ভাষায়। তবে একটি হাদিসে আদম (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি বলা হয়েছে। (ইসলামওয়েব, ফতোয়া নম্বর: ৩৮৫৯৯০)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, নবী কয়জন? তিনি বললেন, ১ লাখ ২০ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে রাসুল কয়জন? তিনি বললেন, ৩১৩ জন। বড় দল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে প্রথম কে? তিনি বললেন, আদম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তিনি কি নবী ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তাঁকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন এবং (তাঁর সঙ্গে) কথা বলেছেন। এরপর তিনি আরও বললেন, হে আবু জর, তাঁদের মধ্যে চারজন সুরিয়ানি ভাষি: আদম, শিস, ইদরিস ও নুহ। চারজন আরবি ভাষার: হুদ, শুআইব, সালিহ ও মুহাম্মদ। (সহিহ, ইবনে হিব্বান)

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ। এমনকি ফেরেশতারাও নিজের মতো করে চিন্তা করে কথা বলতে এবং মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। মানুষকে কথা বলার যোগ্যতা ও ফেরেশতাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দানের কথা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় বিবৃত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো।
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি
আল্লাহ তাআলা প্রথম মানুষ হজরত আদম (আ.)-এর দেহ তৈরি করে তাতে প্রাণ দিলেন। এরপর একদল ফেরেশতাকে সালাম দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঠালেন। তিনি সালাম দিলেন। ফেরেশতারা জবাব দিলেন। এরপর আল্লাহ ইচ্ছা করলেন, ফেরেশতাদের মানুষ সৃষ্টির কারণ জানিয়ে দেবেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার পালনকর্তা ফেরেশতাদের বললেন, আমি নিশ্চয়ই পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে জারির (রহ.) বলেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই, যে আমার সৃষ্টির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। সেই প্রতিনিধি হলো, আদম ও যারা আমার আনুগত্য করবে এবং আমার বান্দাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে আমার বিধান প্রতিষ্ঠায় আমার স্থলাভিষিক্ত হবে।’ (তাফসিরে তাবারি)
এরপর মানুষের প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য ফেরেশতাদের জানানো হলো। তাঁরা জানলেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হবে। তাই তাঁরা বললেন, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত করবে? আমরা তো আপনার প্রশংসাসহ তাসবিহ পড়িই এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করিই।’ (সুরা বাকারা: ৩০)
ফেরেশতারা বোঝাতে চাইলেন, আমাদের মতো অনুগত ও বাধ্য বান্দা থাকতে কেন বিশৃঙ্খল একটি জাতি সৃষ্টি করতে হবে। তাঁদের সেই কথার জবাবে আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা যা জানো না, আমি তা নিশ্চিতভাবে জানি।’ (সুরা বাকারা: ৩০) অর্থাৎ, মানুষ তোমাদের মতো হবে না। তাদের আলাদা যোগ্যতা থাকবে। সেই যোগ্যতা দিয়ে তারা পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে।
আদম (আ.)-কে কী শেখানো হয়েছিল
মহাবিশ্বের অধিপতি আল্লাহ ভালো করেই জানেন, ফেরেশতাদের তিনি পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করতে সৃষ্টি করেননি। তাই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেননি। তবে আদম ও তাঁর সন্তানদের পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁদের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।
ফলে আদম (আ.)-কে পৃথিবীর সবকিছু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো। যেমন, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি আদমকে সব নাম শিখিয়ে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)
এ বিষয়টি মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও এসেছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মুমিনদের একত্রিত করবেন। তারা বলবে, যদি আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে এই স্থান (হাশরের ময়দান) থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য (কারো মাধ্যমে) সুপারিশ করাই, (কেমন হয়?)। এরপর তারা আদমের কাছে এসে বলবে, হে আদম, আপনি কি মানুষের অবস্থা দেখছেন না? আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দিয়ে সিজদা করিয়েছেন এবং সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের এই স্থান থেকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করুন।’ (বুখারি: ৪৪৭৪; মুসলিম: ১৯৩)
এই হাদিস অনেক দীর্ঘ। এই অংশে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আপনাকে সব বস্তুর নাম শিখিয়ে দিয়েছেন।’ কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে একই কথা বলা হয়েছে। তবে আদমকে সবকিছুর নাম শেখানো সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কী শেখানো হয়েছিল—তার বিস্তারিত বিবরণ কোথাও নেই।
তাবিই কাতাদাহর সূত্রে ইবনে কাসির ও ইবনে জারির বলেন, আল্লাহ তাআলা সবকিছুর নাম শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যেমন এটি পাহাড়, এটি সমুদ্র, এটি এই, ওটা সেই—প্রত্যেকটি বস্তুর নাম। (তাবারি ও ইবনে কাসির) কেউ কেউ বলেছেন, ‘নামগুলো বলতে ব্যক্তিবর্গ ও জিনিসপত্রের নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ তা ইলহাম বা অন্তরে গেঁথে দেওয়ার মাধ্যমে তা সম্পন্ন করেন।’ (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)
ড. সালাহ আল-খালেদি এ ব্যাপারে বলেন, ‘আল্লাহ কি আদম (আ.)–কে সবকিছুর নামের অভিধান মুখস্থ করিয়ে দিয়েছেন, না প্রয়োজনীয় নামগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন? নাকি মুখস্থ না করিয়ে অন্য পদ্ধতিতে নামগুলো তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন? শেখানোর মাধ্যম কি আরবি ছিল, না অন্য ভাষা? এসব প্রশ্নের জবাবে আমাদের কাছে কোরআন-হাদিসের কোনো প্রমাণ নেই। তাই এই বিষয়ের বিস্তারিত আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেওয়াই আমাদের জন্য কল্যাণকর।’ (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৭)
যেভাবে আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হলো
আদম (আ.)-কে যে ফেরেশতাদের চেয়ে বেশি যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, তা তিনি তাঁদের জানিয়ে দিতে চাইলেন। ফলে একটি পরীক্ষার আয়োজন করলেন। পরীক্ষায় আদম (আ.) উত্তীর্ণ হলেন এবং ফেরেশতারা অকৃতকার্য হলেন। ফলে ফেরেশতারা আদম (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বুঝতে পারলেন এবং অকপটে স্বীকার করে নিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরপর সেই বস্তুগুলো ফেরেশতাদের সামনে পেশ করে বললেন, আমাকে এসবের নাম বলো—যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি বললেন, হে আদম, ওদেরকে এসবের নামগুলো বলে দাও। এরপর যখন সে তাদের সেসবের নাম বলে দিল, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের বলিনি, আসমান-জমিনের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে আমি অবহিত এবং তোমরা যা বলো বা গোপন রাখো, নিশ্চিতভাবে আমি তা জানি?’ (সুরা বাকারা: ৩১-৩৩)
ফেরেশতাদের কেন নামগুলো শেখালেন না?
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সবকিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের শেখালেন না। এসব বস্তুর জ্ঞান আগে থেকে তাঁদের ছিলও না। এরপরও ফেরেশতাদের সেসব বস্তুর নাম জানাতে বললেন। আল্লাহ জানতেন, এসবের নাম ফেরেশতারা জানেন না। কারণ তিনি তাদের এসব শেখাননি। এরপরও তাদের পরীক্ষা করলেন। নামগুলো বলতে বললেন। কেন?
কারণ আল্লাহ ফেরেশতাদের আদমকে তাঁর প্রতিনিধি মনোনীত করার কারণ দেখাতে চেয়েছিলেন। ফলে তাঁর যোগ্যতা তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। এবং এর মাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। ফেরেশতাদের মধ্যে সৃষ্টিগতভাবে সেই যোগ্যতা দেওয়া হয়নি। ফলে ফেরেশতারাও তাঁদের অপারগতা স্বীকার করে নিলেন। ফেরেশতাদের জবাবই প্রমাণ করে, তাঁদের জ্ঞান আল্লাহ থেকেই আসে। তাঁরা মানুষের মতো জ্ঞানের অধিকারী নন। কথা বলা, চিন্তা করা ও সব বস্তু চেনার এই যোগ্যতা ফেরেশতাদের দরকার নেই। কারণ তাঁদের যেসব ইবাদতে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেসবে এমন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। (আল-কাসাসুল কোরআনি: ১ / ১০৮)
ভাষা ও কথা বলার যোগ্যতা
আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে জবাব দিতে বললেন। তিনি সুন্দরভাবে জবাব দিলেন। ফেরেশতাদের সামনে সব বস্তুর নাম বলে দিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি মানুষের মধ্যে কথা বলা, মনের ভাবপ্রকাশ করা, সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম। এসব ছাড়া মানুষ কীভাবে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে? কীভাবে পৃথিবীতে আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করবে?
তাই আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আদম (আ.) ও তাঁর সন্তানদের কথা বলা, চিন্তা করা ও মনের ভাবপ্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পরম দয়ালু (আল্লাহ)। কোরআন শিখিয়েছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাকে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখিয়েছেন।’ (সুরা রহমান: ১-৪)
আদম (আ.) কোন ভাষায় কথা বলতেন?
এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, তিনি সুরয়ানি ভাষায় কথা বলতেন। কেউ বলেছেন, আরবি ভাষায়। কেউ বলেছেন, আসমানে থাকতে আরবি ভাষায়, পৃথিবীতে আসার পর সুরিয়ানি ভাষায়। কেউ বলেছেন, নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার আগে আরবি ভাষায়, তওবা করার আগে সুরিয়ানি ভাষায়, তওবা করার পর আবার আরবি ভাষায়। তবে একটি হাদিসে আদম (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি বলা হয়েছে। (ইসলামওয়েব, ফতোয়া নম্বর: ৩৮৫৯৯০)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, নবী কয়জন? তিনি বললেন, ১ লাখ ২০ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে রাসুল কয়জন? তিনি বললেন, ৩১৩ জন। বড় দল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তাঁদের মধ্যে প্রথম কে? তিনি বললেন, আদম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, তিনি কি নবী ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তাঁকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন এবং (তাঁর সঙ্গে) কথা বলেছেন। এরপর তিনি আরও বললেন, হে আবু জর, তাঁদের মধ্যে চারজন সুরিয়ানি ভাষি: আদম, শিস, ইদরিস ও নুহ। চারজন আরবি ভাষার: হুদ, শুআইব, সালিহ ও মুহাম্মদ। (সহিহ, ইবনে হিব্বান)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতা তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো— কথা বলা ও মনের ভাব প্রকাশ করার সক্ষমতা। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে আল্লাহ এই বিশেষ যোগ্যতা দেননি। এটি মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে