মুফতি আবু দারদা
ইসলামের দৃষ্টিতে বড় ফজিলতপূর্ণ রাত—শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদতের মাধ্যমে এটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। হাদিসে এ রাতের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিচে এ সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো—
১. হজরত ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘এমন পাঁচ রাত রয়েছে, যেগুলোতে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। রাতগুলো হলো, জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, দুই ঈদের রাত।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস: ৬০৮৭)
২. মুআজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে, অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫)
মুহাদ্দিসিনে কেরামের ভাষ্যমতে, হাদিসটির মান সহিহ্, তথা বিশুদ্ধ। এ জন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর হাদিস সম্পর্কিত প্রসিদ্ধ কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ হাদিসটি উল্লেখ করেন।
৩. আলি ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত, অর্থাৎ শাবানের পনেরোতম রাত তোমাদের সামনে আসে, তখন তোমরা তাতে কিয়াম, তথা নামাজ পড়ো এবং পরবর্তী দিনটিতে রোজা রেখো। আল্লাহ তাআলা এ রাতে সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এর পর তিনি এই বলে ডাকতে থাকেন, “তোমাদের মধ্যে কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে কোনো রিজিক অন্বেষণকারী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দেব। তোমাদের মধ্যে কোনো বিপদগ্রস্ত আছে কি? আমি তার বিপদ দূর করে দেব। ” ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
এই বর্ণনার সনদ দুর্বল হলেও তা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদগণের মতে, ফাজায়েলের ক্ষেত্রে জয়িফ হাদিস আমলযোগ্য। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং আইয়ামে বিজ, অর্থাৎ প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
৪. আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? ” আমি উত্তরে বললাম, “না, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি-না। ” নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি জানো এটা কোন রাত? ” আমি বললাম, “আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। ” রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন এরশাদ করলেন, “এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। ” (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৩৫৫৪)
৫. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি কি জানো, অর্ধ শাবানের রাতের কার্যক্রম কী?’ আয়েশা (রা.) বললেন, ‘না, হে আল্লাহর রাসুল।’ নবী (সা.) বললেন, ‘এই বছর যত সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং মারা যাবে, তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রাতেই মানুষের আমল পৌঁছানো হয় এবং এই রাতেই তাদের রিজিক অবতীর্ণ হয়।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ১৩০৫)
৬. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কাছে না পেয়ে খোঁজ করতে বের হলাম। হঠাৎ দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে আছেন। তিনি বললেন, “ (হে আয়েশা) তোমার কি এ আশঙ্কা হয় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমার ওপর জুলুম করতে পারেন? ” আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমার ধারণা হলো আপনি অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। ” তিনি বললেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে দুনিয়ার আকাশে আসেন এবং কালব গোত্রের ছাগল-ভেড়ার পশমের চেয়েও অধিকসংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন। ”’ (তিরমিজি, হাদিস: ৭৩৯)
৭. আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণিত, শাবানের পনেরোতম রাতে মৃতদের তালিকা প্রদান করা হয়। এমনকি কেউ সফরে বের হয়, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়ে গেছে। কেউ বিয়ে করে, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়ে গেছে।’ (মুসান্নাফু আবদির রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯২৫)
উল্লেখ্য, বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, এই রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত জেগে ইবাদত করেছেন এবং দীর্ঘ আমলে মশগুল ছিলেন। তবে এই রাতে বিশেষ পদ্ধতির কোনো ইবাদত তিনি আদায় করেননি এবং সাহাবায়ে কেরামদেরও তা করার নির্দেশ দেননি। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত শবে বরাতের বিশেষ পদ্ধতির যে নামাজের কথা বলা হয়, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন-বানোয়াট। এগুলো বিশ্বাস করা এবং এগুলোর ওপর আমল করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই। বরং ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আমলের ব্যাপারে হাদিসের যেসব নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা সবই ব্যক্তিগত নফল ইবাদত। তাই আমাদের উচিত মনগড়া ইবাদত-আমল পরিহার করে যথাসম্ভব রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।
লেখক: ইসলাম বিষয়ক গবেষক
ইসলামের দৃষ্টিতে বড় ফজিলতপূর্ণ রাত—শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদতের মাধ্যমে এটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। হাদিসে এ রাতের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিচে এ সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো—
১. হজরত ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘এমন পাঁচ রাত রয়েছে, যেগুলোতে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। রাতগুলো হলো, জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, দুই ঈদের রাত।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস: ৬০৮৭)
২. মুআজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে, অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫)
মুহাদ্দিসিনে কেরামের ভাষ্যমতে, হাদিসটির মান সহিহ্, তথা বিশুদ্ধ। এ জন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.) তাঁর হাদিস সম্পর্কিত প্রসিদ্ধ কিতাব ‘কিতাবুস সহিহ’-এ হাদিসটি উল্লেখ করেন।
৩. আলি ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত, অর্থাৎ শাবানের পনেরোতম রাত তোমাদের সামনে আসে, তখন তোমরা তাতে কিয়াম, তথা নামাজ পড়ো এবং পরবর্তী দিনটিতে রোজা রেখো। আল্লাহ তাআলা এ রাতে সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এর পর তিনি এই বলে ডাকতে থাকেন, “তোমাদের মধ্যে কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে কোনো রিজিক অন্বেষণকারী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দেব। তোমাদের মধ্যে কোনো বিপদগ্রস্ত আছে কি? আমি তার বিপদ দূর করে দেব। ” ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
এই বর্ণনার সনদ দুর্বল হলেও তা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদগণের মতে, ফাজায়েলের ক্ষেত্রে জয়িফ হাদিস আমলযোগ্য। তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং আইয়ামে বিজ, অর্থাৎ প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিষয়টিও সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
৪. আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে আয়েশা, তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? ” আমি উত্তরে বললাম, “না, হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি-না। ” নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি জানো এটা কোন রাত? ” আমি বললাম, “আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। ” রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন এরশাদ করলেন, “এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। ” (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৩৫৫৪)
৫. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি কি জানো, অর্ধ শাবানের রাতের কার্যক্রম কী?’ আয়েশা (রা.) বললেন, ‘না, হে আল্লাহর রাসুল।’ নবী (সা.) বললেন, ‘এই বছর যত সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং মারা যাবে, তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রাতেই মানুষের আমল পৌঁছানো হয় এবং এই রাতেই তাদের রিজিক অবতীর্ণ হয়।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ১৩০৫)
৬. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি এক রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কাছে না পেয়ে খোঁজ করতে বের হলাম। হঠাৎ দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে আছেন। তিনি বললেন, “ (হে আয়েশা) তোমার কি এ আশঙ্কা হয় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমার ওপর জুলুম করতে পারেন? ” আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল, আমার ধারণা হলো আপনি অন্য কোনো স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। ” তিনি বললেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে দুনিয়ার আকাশে আসেন এবং কালব গোত্রের ছাগল-ভেড়ার পশমের চেয়েও অধিকসংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন। ”’ (তিরমিজি, হাদিস: ৭৩৯)
৭. আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণিত, শাবানের পনেরোতম রাতে মৃতদের তালিকা প্রদান করা হয়। এমনকি কেউ সফরে বের হয়, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়ে গেছে। কেউ বিয়ে করে, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়ে গেছে।’ (মুসান্নাফু আবদির রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯২৫)
উল্লেখ্য, বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, এই রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রাত জেগে ইবাদত করেছেন এবং দীর্ঘ আমলে মশগুল ছিলেন। তবে এই রাতে বিশেষ পদ্ধতির কোনো ইবাদত তিনি আদায় করেননি এবং সাহাবায়ে কেরামদেরও তা করার নির্দেশ দেননি। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত শবে বরাতের বিশেষ পদ্ধতির যে নামাজের কথা বলা হয়, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন-বানোয়াট। এগুলো বিশ্বাস করা এবং এগুলোর ওপর আমল করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই। বরং ফজিলতপূর্ণ এই রাতের আমলের ব্যাপারে হাদিসের যেসব নির্দেশনা-ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তা সবই ব্যক্তিগত নফল ইবাদত। তাই আমাদের উচিত মনগড়া ইবাদত-আমল পরিহার করে যথাসম্ভব রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, তাওবা-ইস্তিগফার ও জিকির-আজকারে মশগুল থাকা।
লেখক: ইসলাম বিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২০ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
২০ ঘণ্টা আগে