ইবাদত-বন্দেগিতে পবিত্র শবে বরাত পালিত 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ৩৮
Thumbnail image

ইবাদত-বন্দেগিতে পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন ছিলেন তাঁরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মোনাজাত করেছেন।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কেউ মসজিদে কেউ বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেছেন।

পবিত্র শবে বরাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশেই মসজিদগুলোতে ইবাদতের পাশাপাশি এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন আলেমরা।

পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিতরণ করেছেন।

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। একাধিক বিশুদ্ধ হাদিসে এ রাতের মর্যাদা প্রমাণিত। এ রাতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে রয়েছে বিশিষ্ট ইমামদের নির্ভরযোগ্য বহু বক্তব্য। এ রাতে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ নাজিল হয়। একই সঙ্গে অসংখ্য বান্দাকে তিনি ক্ষমা করে দেন। শবে বরাত উপলক্ষে অনেকে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি ১৫ শাবান রোজা রাখেন। বিভিন্ন হাদিসে এ রোজার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

শবে বরাতের রাতে নামাজ আদায় করছে মুসল্লিরা। ছবিটি রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকাআলী ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন অর্ধশাবানের রাত তোমাদের সম্মুখে আসে, তখন তোমরা তাতে কিয়াম তথা নামাজ পড় এবং পরবর্তী দিনটিতে রোজা রাখো।’ (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮) এই হাদিসটির সূত্র দুর্বল বলেছেন বেশির ভাগ আলেম। ফলে শবে বরাতের রোজাকে প্রমাণিত সুন্নত বলা যায় না। তবে শাবান মাসের প্রতিটি দিনেই রোজা রাখা সুন্নত হওয়ার ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই। এ ছাড়া প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখাও সুন্নত হিসেবে প্রমাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত