মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
কোরবানির দিনে একজন ইমানদারের জন্য ইসলামের বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে, তা তার মেনে চলা উচিত। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
ঈদের নামাজ
» ঈদের নামাজের আগে গোসল করা, ভালো পোশাক পরে ঈদগাহে যাওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। ঈদুল আজহার নামাজে যাওয়ার আগে কিছু না খাওয়া উত্তম।
» ঈদগাহে এক পথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্য পথ দিয়ে আসা সুন্নত। সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাবেন।
» ঈদের দিনে বেশি বেশি উচ্চ স্বরে তাকবির পড়া সুন্নত।
» ঈদের নামাজের আগে ফজরের পর থেকে আর কোনো নামাজ নেই।
» ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা এবং ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ বলা উত্তম।
পশু জবাই
» কোরবানির পশু জবাই করার নির্ধারিত সময় হলো ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। ঈদের নামাজের আগে পশু জবাই করা হলে কোরবানি আদায় হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে কোরবানি করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে তাকে একটি বকরির মূল্য সদকা করে দিতে হবে।
» ঈদের নামাজের পর দুই খুতবা শেষ হলেই পশু জবাই করা উচিত। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে দিনে ও রাতে যেকোনো সময় কোরবানি করা যাবে।
» নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করাই উত্তম। অভ্যাস না থাকলে অন্য যেকোনো মুসলমানকে দিয়ে জবাই করানো যাবে।
» খুব ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করতে হবে, যাতে পশুর কষ্ট না হয়।
» জবাই করার সময় জবাইকারীর মুখ কিবলার দিকে থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
» জবাইয়ের আগে জবাইকারীকে অবশ্যই বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। একাধিক লোক ছুরিতে হাত রাখলে সবাইকে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ না পড়লে ওই পশুর গোশত হালাল হবে না।
» জবাই মানে হচ্ছে পশুর খাদ্যনালি, শ্বাসনালি এবং শ্বাসনালির পাশের দুটি রগ কেটে দেওয়া। জবাইয়ের পর পশু স্বাভাবিকভাবে নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। এ অবস্থায় পশুর শরীরের কোথাও দা-ছুরি লাগানো মাকরুহে তাহরিমি।
মাংস বণ্টন
» কোরবানির পশুর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ। পুরুষাঙ্গ, স্ত্রী-অঙ্গ, মূত্রথলি, পিঠের হাড়ের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ, চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু করে থাকে এমন বর্ধিত মাংস, অণ্ডকোষ, পিত্ত ও প্রবাহিত রক্ত।
» কোরবানির মাংস কোরবানিদাতা, তার পরিবারের লোক, ধনী-গরিব সবাই খেতে পারবে। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, মুসলিম-অমুসলিম যাকে যে পরিমাণ ইচ্ছা হাদিয়া দেওয়া যাবে। কাউকে না দিয়ে সব নিজের জন্য রেখে দেওয়াও জায়েজ আছে। তবে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানির পশুর একটি অংশ দরিদ্র শ্রেণির জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া মানত বা অসিয়তের কোরবানি হলে তা গরিবদের আবশ্যকভাবে দান করতে হবে।
» কোরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রি করা বা কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হারাম। কেউ এমনটি করে ফেললে তার মূল্য গরিব-মিসকিনদের দান করে দিতে হবে।
কোরবানির দিনে একজন ইমানদারের জন্য ইসলামের বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে, তা তার মেনে চলা উচিত। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
ঈদের নামাজ
» ঈদের নামাজের আগে গোসল করা, ভালো পোশাক পরে ঈদগাহে যাওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। ঈদুল আজহার নামাজে যাওয়ার আগে কিছু না খাওয়া উত্তম।
» ঈদগাহে এক পথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্য পথ দিয়ে আসা সুন্নত। সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাবেন।
» ঈদের দিনে বেশি বেশি উচ্চ স্বরে তাকবির পড়া সুন্নত।
» ঈদের নামাজের আগে ফজরের পর থেকে আর কোনো নামাজ নেই।
» ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা এবং ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ বলা উত্তম।
পশু জবাই
» কোরবানির পশু জবাই করার নির্ধারিত সময় হলো ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। ঈদের নামাজের আগে পশু জবাই করা হলে কোরবানি আদায় হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে কোরবানি করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে তাকে একটি বকরির মূল্য সদকা করে দিতে হবে।
» ঈদের নামাজের পর দুই খুতবা শেষ হলেই পশু জবাই করা উচিত। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে দিনে ও রাতে যেকোনো সময় কোরবানি করা যাবে।
» নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করাই উত্তম। অভ্যাস না থাকলে অন্য যেকোনো মুসলমানকে দিয়ে জবাই করানো যাবে।
» খুব ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করতে হবে, যাতে পশুর কষ্ট না হয়।
» জবাই করার সময় জবাইকারীর মুখ কিবলার দিকে থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
» জবাইয়ের আগে জবাইকারীকে অবশ্যই বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। একাধিক লোক ছুরিতে হাত রাখলে সবাইকে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ না পড়লে ওই পশুর গোশত হালাল হবে না।
» জবাই মানে হচ্ছে পশুর খাদ্যনালি, শ্বাসনালি এবং শ্বাসনালির পাশের দুটি রগ কেটে দেওয়া। জবাইয়ের পর পশু স্বাভাবিকভাবে নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। এ অবস্থায় পশুর শরীরের কোথাও দা-ছুরি লাগানো মাকরুহে তাহরিমি।
মাংস বণ্টন
» কোরবানির পশুর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ। পুরুষাঙ্গ, স্ত্রী-অঙ্গ, মূত্রথলি, পিঠের হাড়ের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ, চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু করে থাকে এমন বর্ধিত মাংস, অণ্ডকোষ, পিত্ত ও প্রবাহিত রক্ত।
» কোরবানির মাংস কোরবানিদাতা, তার পরিবারের লোক, ধনী-গরিব সবাই খেতে পারবে। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, মুসলিম-অমুসলিম যাকে যে পরিমাণ ইচ্ছা হাদিয়া দেওয়া যাবে। কাউকে না দিয়ে সব নিজের জন্য রেখে দেওয়াও জায়েজ আছে। তবে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানির পশুর একটি অংশ দরিদ্র শ্রেণির জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া মানত বা অসিয়তের কোরবানি হলে তা গরিবদের আবশ্যকভাবে দান করতে হবে।
» কোরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রি করা বা কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হারাম। কেউ এমনটি করে ফেললে তার মূল্য গরিব-মিসকিনদের দান করে দিতে হবে।
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৯ ঘণ্টা আগে