মুফতি আবু দারদা
কিশোর অপরাধের বিস্তার সমাজে অশান্তির বীজ বপন করছে। এটি রোধে ইসলামের দিকনির্দেশনা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কয়েকটি করণীয়ের কথা উল্লেখ করছি।
এক. সর্বপ্রথম কিশোরের অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাসের বীজ বপন করতে হবে। সন্তানের যথাযথ প্রতিপালন, শারীরিক-মানসিক পরিচর্যা, উত্তম শিক্ষাদীক্ষা, উন্নত চরিত্র ও শিষ্টাচার, অপরাধের ভয়াবহতা, সৎ কাজের উপকারিতা, পরকালীন জবাবদিহি ইত্যাদির যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
দুই. নিষিদ্ধ কাজের পরিণতি তার সামনে স্পষ্ট করে তুলতে হবে, যেন তার ভেতর অপরাধবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়। ইসলামি আইন, দেশীয় দণ্ডবিধি এবং পরকালীন শাস্তির ভয় তাকে সংযত থাকতে সাহায্য করবে।
তিন. ভালো কাজের সঙ্গে কিশোরের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে হবে। যুক্ত করতে হবে বিভিন্ন সামাজিক কাজে। পারস্পরিক সহযোগিতা, কল্যাণকামনা, সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ, ধৈর্যধারণ ও জুলুম-প্রতিরোধের বাস্তবিক শিক্ষা তাদের ঋদ্ধ করবে।
চার. অপরাধমুক্ত সমাজের জন্য বিশুদ্ধ আত্মার বিকল্প নেই। শিশু-কিশোরদের নিষ্পাপ আত্মাকে বিশুদ্ধ রাখতে তাদের নামাজের শিক্ষা দিতে হবে। এটি সব ধরনের ভালো কাজের প্রশিক্ষণস্বরূপ। সাত বছর বয়স থেকেই সন্তানদের নামাজের অভ্যাস করানোর নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম।
পাঁচ. উঠতি বয়সের কুপ্রবৃত্তি কোনো বাধা মানতে চায় না। সে জন্য আল্লাহ পবিত্র রমজানে রোজা রাখার ব্যবস্থা রেখেছেন। রোজা শিশু-কিশোরদের কুপ্রবৃত্তি দমনে দারুণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ছয়. অপরাধ যত ছোটই হোক, কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সন্তানকে বাঁচাতে অপরাধের পক্ষ নেওয়ার সংস্কৃতিই জন্ম দেয় আরেকটি বড় অপরাধের। তাই প্রকৃত অভিভাবক কখনো অন্যায়ের পক্ষ নেন না।
সাত. শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। পরিবারই শিশুর প্রথম বিদ্যাপীঠ। মা-বাবা ও বড়দের হৃদ্যতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই তাকে আদর্শিক হতে অনুপ্রাণিত করবে।
আট. কিশোর অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কিশোর অপরাধের বিস্তার সমাজে অশান্তির বীজ বপন করছে। এটি রোধে ইসলামের দিকনির্দেশনা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কয়েকটি করণীয়ের কথা উল্লেখ করছি।
এক. সর্বপ্রথম কিশোরের অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাসের বীজ বপন করতে হবে। সন্তানের যথাযথ প্রতিপালন, শারীরিক-মানসিক পরিচর্যা, উত্তম শিক্ষাদীক্ষা, উন্নত চরিত্র ও শিষ্টাচার, অপরাধের ভয়াবহতা, সৎ কাজের উপকারিতা, পরকালীন জবাবদিহি ইত্যাদির যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
দুই. নিষিদ্ধ কাজের পরিণতি তার সামনে স্পষ্ট করে তুলতে হবে, যেন তার ভেতর অপরাধবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়। ইসলামি আইন, দেশীয় দণ্ডবিধি এবং পরকালীন শাস্তির ভয় তাকে সংযত থাকতে সাহায্য করবে।
তিন. ভালো কাজের সঙ্গে কিশোরের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে হবে। যুক্ত করতে হবে বিভিন্ন সামাজিক কাজে। পারস্পরিক সহযোগিতা, কল্যাণকামনা, সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ, ধৈর্যধারণ ও জুলুম-প্রতিরোধের বাস্তবিক শিক্ষা তাদের ঋদ্ধ করবে।
চার. অপরাধমুক্ত সমাজের জন্য বিশুদ্ধ আত্মার বিকল্প নেই। শিশু-কিশোরদের নিষ্পাপ আত্মাকে বিশুদ্ধ রাখতে তাদের নামাজের শিক্ষা দিতে হবে। এটি সব ধরনের ভালো কাজের প্রশিক্ষণস্বরূপ। সাত বছর বয়স থেকেই সন্তানদের নামাজের অভ্যাস করানোর নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম।
পাঁচ. উঠতি বয়সের কুপ্রবৃত্তি কোনো বাধা মানতে চায় না। সে জন্য আল্লাহ পবিত্র রমজানে রোজা রাখার ব্যবস্থা রেখেছেন। রোজা শিশু-কিশোরদের কুপ্রবৃত্তি দমনে দারুণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ছয়. অপরাধ যত ছোটই হোক, কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সন্তানকে বাঁচাতে অপরাধের পক্ষ নেওয়ার সংস্কৃতিই জন্ম দেয় আরেকটি বড় অপরাধের। তাই প্রকৃত অভিভাবক কখনো অন্যায়ের পক্ষ নেন না।
সাত. শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। পরিবারই শিশুর প্রথম বিদ্যাপীঠ। মা-বাবা ও বড়দের হৃদ্যতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই তাকে আদর্শিক হতে অনুপ্রাণিত করবে।
আট. কিশোর অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
২ দিন আগে