
সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে