শরিফ আহমাদ
প্রত্যেক মুসলমান বিশ্বাস করে, সবার শেষ ঠিকানা কবর। সাড়ে তিন হাত মাটির বাড়িই আসল গন্তব্য। কার কখন ডাক আসে বলা যায় না। তাই সব সময় কবরের প্রস্তুতি নিয়ে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো ব্যক্তির ইন্তেকাল হলে দ্রুত তার কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মরদেহের (দাফনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা সে যদি নেককার হয় তবে তো ভালো। ভালোকে তোমরা তাড়াতাড়ি তার ভালো ফলের দিকে পৌঁছিয়ে দিলে। আর যদি এটার অন্যথা হয়, তাহলে সে মন্দ, মন্দকে তোমরা তোমাদের ঘাড় থেকে রেখে দিলে।’ (মিশকাত: ১৬৪৬)
কবরের ধরন ও খননের সঠিক নিয়মগুলো সবার জানা থাকা জরুরি। এতে মৃত্যু-পরবর্তী কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়। প্রতিটি কবর মরদেহের সমপরিমাণ লম্বা হবে। যতটুকু লম্বা তার অর্ধেক পরিমাণ চওড়া হবে এবং দেহের লম্বা অনুপাতে গভীর হওয়া উত্তম।
কবর খননের সুন্নত তরিকা দুটি। এক. বোগলি। এই কবরের বৈশিষ্ট্য প্রথমে একটি গর্ত খনন করা। এরপর ওই গর্তের নিচ থেকে কিবলার দিকে আরেকটি গর্ত খনন করে সে গর্তে লাশ রেখে দেওয়া। দুই. সিন্দুকী। এই কবরের বৈশিষ্ট্য প্রথমে একটি গর্ত খনন করা। এরপর কবরের মধ্যভাগে আরেকটি গর্ত খনন করে সে গর্তে লাশ রেখে দেওয়া। উভয় প্রকারের কবরের লাশ রাখার জন্য খনন করা গর্তটির তলা কিবলার দিকে এমনভাবে কাত করে খনন করতে হয়, যাতে লাশ রাখলে একটু ডান দিকে কাত হয়ে যায় এবং সিনা কিবলামুখী হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বোগলি কবর দেওয়া হয়েছিল।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুসলমান বিশ্বাস করে, সবার শেষ ঠিকানা কবর। সাড়ে তিন হাত মাটির বাড়িই আসল গন্তব্য। কার কখন ডাক আসে বলা যায় না। তাই সব সময় কবরের প্রস্তুতি নিয়ে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো ব্যক্তির ইন্তেকাল হলে দ্রুত তার কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মরদেহের (দাফনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা সে যদি নেককার হয় তবে তো ভালো। ভালোকে তোমরা তাড়াতাড়ি তার ভালো ফলের দিকে পৌঁছিয়ে দিলে। আর যদি এটার অন্যথা হয়, তাহলে সে মন্দ, মন্দকে তোমরা তোমাদের ঘাড় থেকে রেখে দিলে।’ (মিশকাত: ১৬৪৬)
কবরের ধরন ও খননের সঠিক নিয়মগুলো সবার জানা থাকা জরুরি। এতে মৃত্যু-পরবর্তী কাজগুলো সহজে সম্পন্ন করা যায়। প্রতিটি কবর মরদেহের সমপরিমাণ লম্বা হবে। যতটুকু লম্বা তার অর্ধেক পরিমাণ চওড়া হবে এবং দেহের লম্বা অনুপাতে গভীর হওয়া উত্তম।
কবর খননের সুন্নত তরিকা দুটি। এক. বোগলি। এই কবরের বৈশিষ্ট্য প্রথমে একটি গর্ত খনন করা। এরপর ওই গর্তের নিচ থেকে কিবলার দিকে আরেকটি গর্ত খনন করে সে গর্তে লাশ রেখে দেওয়া। দুই. সিন্দুকী। এই কবরের বৈশিষ্ট্য প্রথমে একটি গর্ত খনন করা। এরপর কবরের মধ্যভাগে আরেকটি গর্ত খনন করে সে গর্তে লাশ রেখে দেওয়া। উভয় প্রকারের কবরের লাশ রাখার জন্য খনন করা গর্তটির তলা কিবলার দিকে এমনভাবে কাত করে খনন করতে হয়, যাতে লাশ রাখলে একটু ডান দিকে কাত হয়ে যায় এবং সিনা কিবলামুখী হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বোগলি কবর দেওয়া হয়েছিল।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে