ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদত-বন্দেগির উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। নারীদের ক্ষেত্রে নিজের ঘরের কোনো একটি কক্ষে নির্জনে নিয়তসহ ইবাদত-বন্দেগির জন্য অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা বৈধ—যদি তাতে ফেতনার কোনো আশঙ্কা না থাকে। শর্ত হলো, মসজিদে আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে তাদের বাড়িতে ইতিকাফ করাই অনেক শ্রেয়।’
নারী যেকোনো স্থানেই ইতিকাফ করুক না কেন, তাকে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। যদি কেউ স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করে, তবে তার ইতিকাফ ভাঙার অধিকার স্বামীর রয়েছে। এমনকি অনুমতি দেওয়ার পর স্বামী যদি কোনো কারণে ইতিকাফ ভাঙতে বলে, তবে স্ত্রীর জন্য তা করা আবশ্যক হয়ে যায়। কারণ, ইতিকাফ আরম্ভ করে তা ভাঙা জায়েজ।
যদি ইতিকাফকারী নারীর ঋতুস্রাব হয়, তবে সে তার ইতিকাফ ছেড়ে দেবে। চাই তা ঘরেই হোক আর মসজিদে হোক। এরপর নির্ধারিত সময় পর পবিত্র হলে আবার ইতিকাফ শুরু করবে।
ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, মুসলমান হওয়া, মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, মাসিক ও সন্তান প্রসব পরবর্তী অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়া।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী/পুরুষ ইতিকাফ করলে তা বৈধ হবে।
ইতিকাফ অবস্থায় নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন-হাদিস তিলাওয়াত করা, জিকির করা, জ্ঞান শেখা ও শেখানো, ইসলামি বইপত্র পড়াসহ সব সওয়াবের কাজ করা বৈধ। দুনিয়াবি আলোচনা করা, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফের স্থান ত্যাগ করার অনুমতি নেই।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান,অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদত-বন্দেগির উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। নারীদের ক্ষেত্রে নিজের ঘরের কোনো একটি কক্ষে নির্জনে নিয়তসহ ইবাদত-বন্দেগির জন্য অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা বৈধ—যদি তাতে ফেতনার কোনো আশঙ্কা না থাকে। শর্ত হলো, মসজিদে আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে তাদের বাড়িতে ইতিকাফ করাই অনেক শ্রেয়।’
নারী যেকোনো স্থানেই ইতিকাফ করুক না কেন, তাকে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। যদি কেউ স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করে, তবে তার ইতিকাফ ভাঙার অধিকার স্বামীর রয়েছে। এমনকি অনুমতি দেওয়ার পর স্বামী যদি কোনো কারণে ইতিকাফ ভাঙতে বলে, তবে স্ত্রীর জন্য তা করা আবশ্যক হয়ে যায়। কারণ, ইতিকাফ আরম্ভ করে তা ভাঙা জায়েজ।
যদি ইতিকাফকারী নারীর ঋতুস্রাব হয়, তবে সে তার ইতিকাফ ছেড়ে দেবে। চাই তা ঘরেই হোক আর মসজিদে হোক। এরপর নির্ধারিত সময় পর পবিত্র হলে আবার ইতিকাফ শুরু করবে।
ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, মুসলমান হওয়া, মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া, মাসিক ও সন্তান প্রসব পরবর্তী অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়া।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী/পুরুষ ইতিকাফ করলে তা বৈধ হবে।
ইতিকাফ অবস্থায় নফল নামাজ আদায় করা, কোরআন-হাদিস তিলাওয়াত করা, জিকির করা, জ্ঞান শেখা ও শেখানো, ইসলামি বইপত্র পড়াসহ সব সওয়াবের কাজ করা বৈধ। দুনিয়াবি আলোচনা করা, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফের স্থান ত্যাগ করার অনুমতি নেই।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান,অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো..
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
২ দিন আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
৩ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৪ দিন আগে