মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জাহান্নামের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করা জাহান্নাম থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর।’ (সুরা তাহরিম: ৬) অন্য আয়াতে বলেন, ‘এবং তোমরা সেই আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩১)
তবে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি এতই দয়ালু যে, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তিনি বান্দাদের জন্য এমন কতিপয় আমল প্রণয়ন করেছেন, যা পালন করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এখানে এ ধরনের দশটি আমল তুলে ধরা হলো।
১. ইমান
আল্লাহ ছাড়া কেউই উপাসনার উপযুক্ত নয় এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কাজেকর্মে তা বাস্তবায়ন করার নাম ইমান। এ বিশ্বাস প্রকৃত অর্থে যারা লালন করে, তাদের ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি সত্য হৃদয়ে এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. ফজর ও আসরের নামাজ আদায়
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে সূর্য উদিত হওয়ার আগে (ফজর) এবং সূর্য অস্তমিত হওয়ার আগে (আসর) নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম)
৩. প্রথম তাকবিরে যোগ দেওয়া
নামাজের প্রথম তাকবির বলার সময় থেকে ইমামের পেছনে নামাজ পড়াকে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ পড়া বলে। এর ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে জামাত সহকারে নামাজ পড়বে, তাকে জাহান্নাম ও মুনাফিকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’ (বুখারি)
৪. জোহর নামাজের আগে ও পরে সুন্নত পড়া
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের নামাজের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত নামাজ পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
৫. রোজা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল এবং দুর্ভেদ্য দুর্গ।’ (বুখারি)
৬. আল্লাহর ভয়ে কাঁদা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে আল্লাহর ভয়ে কাঁদে।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘দুই প্রকার চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না: আল্লাহর ভয়ে যে চোখ কাঁদে এবং যে চোখ আল্লাহর পথে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত থাকে।’ (তিরমিজি)
৭. দান-সদকা ও উত্তম কথা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা এক টুকরো খেজুর দান করার মাধ্যমে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা কোরো। যদি এটুকু দান করারও সামর্থ্য না রাখ, তাহলে ভালো কথা বলার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে বাঁচো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৮. ইতিকাফ
ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফে বলা হয়। এর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার এবং জাহান্নামের মাঝখানে তিনটি পরিখা সৃষ্টি করবেন, যার প্রত্যেকটির আয়তন আসমান-জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি।’ (তাবরানি)
৯. মার্জিত আচরণ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন ব্যক্তির পরিচয় দেব না, যে জাহান্নামের জন্য এবং জাহান্নাম যার জন্য হারাম? যার স্বভাব-প্রকৃতি কোমল, মিশুক এবং আচার-আচরণে সহজ-সরল ও ভদ্র, সেই ওই ব্যক্তি।’ (তিরমিজি)
১০. কন্যাসন্তান প্রতিপালন
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার তিনটি কন্যসন্তান আছে এবং সে ধৈর্য্য সহকারে তাদের লালন-পালন করে এবং তাদের যথাসাধ্য উত্তম পানাহার ও পোশাক-পরিচ্ছদ দেয়, তারা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামে যাওয়ার অন্তরায় হবে।’ (আহমদ)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জাহান্নামের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করা জাহান্নাম থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর।’ (সুরা তাহরিম: ৬) অন্য আয়াতে বলেন, ‘এবং তোমরা সেই আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩১)
তবে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি এতই দয়ালু যে, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তিনি বান্দাদের জন্য এমন কতিপয় আমল প্রণয়ন করেছেন, যা পালন করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এখানে এ ধরনের দশটি আমল তুলে ধরা হলো।
১. ইমান
আল্লাহ ছাড়া কেউই উপাসনার উপযুক্ত নয় এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল—এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কাজেকর্মে তা বাস্তবায়ন করার নাম ইমান। এ বিশ্বাস প্রকৃত অর্থে যারা লালন করে, তাদের ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি সত্য হৃদয়ে এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. ফজর ও আসরের নামাজ আদায়
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে সূর্য উদিত হওয়ার আগে (ফজর) এবং সূর্য অস্তমিত হওয়ার আগে (আসর) নামাজ পড়ে।’ (মুসলিম)
৩. প্রথম তাকবিরে যোগ দেওয়া
নামাজের প্রথম তাকবির বলার সময় থেকে ইমামের পেছনে নামাজ পড়াকে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ পড়া বলে। এর ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে জামাত সহকারে নামাজ পড়বে, তাকে জাহান্নাম ও মুনাফিকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’ (বুখারি)
৪. জোহর নামাজের আগে ও পরে সুন্নত পড়া
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত জোহরের নামাজের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত নামাজ পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
৫. রোজা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল এবং দুর্ভেদ্য দুর্গ।’ (বুখারি)
৬. আল্লাহর ভয়ে কাঁদা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে আল্লাহর ভয়ে কাঁদে।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘দুই প্রকার চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না: আল্লাহর ভয়ে যে চোখ কাঁদে এবং যে চোখ আল্লাহর পথে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত থাকে।’ (তিরমিজি)
৭. দান-সদকা ও উত্তম কথা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা এক টুকরো খেজুর দান করার মাধ্যমে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা কোরো। যদি এটুকু দান করারও সামর্থ্য না রাখ, তাহলে ভালো কথা বলার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে বাঁচো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৮. ইতিকাফ
ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতেকাফে বলা হয়। এর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার এবং জাহান্নামের মাঝখানে তিনটি পরিখা সৃষ্টি করবেন, যার প্রত্যেকটির আয়তন আসমান-জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি।’ (তাবরানি)
৯. মার্জিত আচরণ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন ব্যক্তির পরিচয় দেব না, যে জাহান্নামের জন্য এবং জাহান্নাম যার জন্য হারাম? যার স্বভাব-প্রকৃতি কোমল, মিশুক এবং আচার-আচরণে সহজ-সরল ও ভদ্র, সেই ওই ব্যক্তি।’ (তিরমিজি)
১০. কন্যাসন্তান প্রতিপালন
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যার তিনটি কন্যসন্তান আছে এবং সে ধৈর্য্য সহকারে তাদের লালন-পালন করে এবং তাদের যথাসাধ্য উত্তম পানাহার ও পোশাক-পরিচ্ছদ দেয়, তারা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামে যাওয়ার অন্তরায় হবে।’ (আহমদ)
লেখক: শিক্ষক ও অনুবাদক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১ দিন আগে