মইনুল হাসান

ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
জীবনকে খাদ্য থেকে আলাদা করা যায় না। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প কিছু নেই। অন্তত এখনো সে বিকল্প মানুষের অজানা।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি যেমন রটিয়ে বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষ একটি মাত্র ছোট ট্যাবলেট, অর্থাৎ পুরিয়া মুখে পুরে দিব্যি বছরখানেক না খেয়ে থাকতে পারবে বা শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে হাজার বছরের লম্বা এক ঘুম দিয়ে জেগে উঠে নতুন পৃথিবী দেখবে।
একদিন হয়তো একটি ট্যাবলেট আমাদের খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা করবে। তবে সে ভরসা করে বিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা বসে থাকতে পারেন না। অতটা সময় এখন আর এ গ্রহের মানুষের হাতে নেই। কারণ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা। প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বিশেষ করে আমিষের চাহিদা মেটাতে যেসব পশু-পাখি, মাছ আমরা লালন–পালন করি, তা বেশ সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। এ জন্য বাড়তি স্থান এবং উত্তরোত্তর দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠা পানযোগ্য পানির বিপুল অপচয় হয়। ব্যাপক রাসায়নিক সার, কীট-পতঙ্গ এবং আবর্জনানাশক ইত্যাদি ব্যবহার মোটেই পরিবেশবান্ধব নয়। চাষযোগ্য জমিও আর বাকি নেই। মানুষ, পালিত পশু-পাখি ও মাছের জন্য খাদ্য জোগাতে উজাড় হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস বনভূমি। এর সঙ্গে আছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন।
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ১০০০ কোটির কাছে চলে যাবে। বাড়তি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হবে অনেকটাই অসাধ্যসাধনের মতো একটা চ্যালেঞ্জ। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়লেও ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ পত্রিকা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষকেরা ২১ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এ কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাদ্য অপচয়। জমি থেকে আমাদের মুখ পর্যন্ত পৌঁছানোর মাঝখানে পথেই হারিয়ে যায় ৩০ শতাংশ খাদ্য। তা ছাড়া মানুষের ব্যবহারের জন্য এক বছরে আমাদের এই পৃথিবী যেটুকু নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ উৎপন্ন করে, তা দিয়ে আট মাসও চলে না। ২০২০ সালেই যেমন নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ২২ আগস্টেই সাবাড় করে দিয়েছিল পৃথিবীর মানুষেরা। ফলে বছরের বাকি চার মাস সময় আমাদের ধারের ওপর চলতে হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছে গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক।
বর্তমানে প্রতি ১০ জনে ১ জন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে। এসব বিবেচনায় ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা সমাধানে জৈবপ্রযুক্তিবিদেরা আমাদের খাদ্যের নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছেন। আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে যেসব খাদ্যে পরিতৃপ্ত থাকতে হবে, সেগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় থাকা ভালো।
কীট-পতঙ্গ
প্রথমবারের মতো চলতি বছরের ৪ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা গুবরেপোকার লার্ভা বা শুককীট মানুষের খাদ্য হিসেবে নিরাপদ বলে ছাড়পত্র দিয়েছে। ফ্রান্সের পোকামাকড় দিয়ে খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রোনিউট্রিসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা সংস্থা আমিষের নতুন উৎস হিসেবে কীটপতঙ্গকে বিবেচনায় নিয়েছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোতে গুবরেপোকার লার্ভা মানুষের নতুন খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
এক কথায় উন্নত আমিষ ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ কীট-পতঙ্গ স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব, সময় ও অর্থসাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, প্রাণিজগতের এক বিশাল অংশ (৮৫ শতাংশ) দখল করে আছে এই সন্ধিপদী কীটপতঙ্গেরা। এদের রয়েছে এক বিশাল ও বৈচিত্র্যময় ভান্ডার। তাই পোকামাকড়ের এমন আমিষ, প্রচলিত আমিষের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উন্নত বিকল্প হতে পারে। এতে মাত্র ২৫ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হবে।
শৈবাল
বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর বহু অঞ্চলে কীট-পতঙ্গের মতো শৈবালও মানুষের খাদ্য হিসেবে সমাদর লাভ করেছে। তবে তা নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সবজির বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু প্রজাতির শৈবালকে চিহ্নিত করেছেন। সেসব শৈবাল পুষ্টিমানে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য; বিশেষ করে উন্নত আমিষ, আঁশ, ভিটামিন ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
চীন ও নাইজারে নীল অণু শৈবাল ‘স্পিরুলিনা’ মানুষ এবং পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মরু অঞ্চলে অপেয় পানি ব্যবহার করে এমন পুষ্টিকর অণু শৈবাল উৎপাদন করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সহজে উৎপাদন করা যায় এমন বেশ কিছু খাবার যোগ্য শৈবাল। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রায় ১০ হাজার ধরনের শৈবাল। এর মধ্যে ১৪৫ ধরনের শৈবাল ইতিমধ্যে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
অণুজীব থেকে দুধ, ডিম ও চকলেট উৎপাদন
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আরেকটি চমকপ্রদ খবরের খোঁজ দিয়েছেন। এটি আমাদের বলছে, দুধের জন্য আর গাভির দরকার হবে না। ভবিষ্যতে এককোষী অণুজীব হবে দুধের প্রধান উৎস। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তামির টুলের ও খাদ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ড. আইয়াল ইফারগান দুজন মিলে এককোষী ছত্রাক ইস্ট থেকে দুধ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। পুষ্টিগুণের সঙ্গে রং, ঘ্রাণ, স্বাদ ও গঠন বিবেচনায় অণুজীব উৎপাদিত দুধ কোনো অংশেই কম যায় না। বরং আরও কিছু পুষ্টিগুণ যোগ করে স্বাস্থ্যের জন্য আরও উত্তম করা যাবে বলে জানিয়েছেন। এমনকি এ থেকে উৎকৃষ্ট মানের চিজ অর্থাৎ পনির তৈরি করা যাবে।
জিনতত্ত্ব প্রকৌশল প্রয়োগ করে অণুজীব থেকে ‘ঈশ্বরের খাদ্য’ নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত জাদুকরী স্বাদের চকলেট উৎপাদন করতে প্রযুক্তিবিদেরা সফল হয়েছেন। তাঁরা এই ইস্ট ব্যবহার করে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ উৎপাদনেও সমর্থ হয়েছেন। ডিমের বাড়তি চাহিদা, জনপ্রিয়তার কথা ভেবেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিজ্জ কৃত্রিম ডিম নিয়ে বাজার জাঁকিয়ে বসেছে।
আজ অণুজীব থেকে দুধ, ডিম, মজার চকলেট উৎপাদনের জৈবপ্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয় আছে। বলে রাখা ভালো, অণুজীব হলেও এই প্রজাতির ইস্ট খুব নিরাপদ ও উপকারী।
গবেষণাগারে মাংস উৎপাদন
গত বছর ২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ অচিরেই অনুমোদন দিতে যাচ্ছে এটিকে। পশু-পাখি ও মাছের একটি টিস্যু থেকে অবিকল স্বাদ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ মাংস এখন আর কোনো কল্পকাহিনি নয়। অচিরেই সস্তা, ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত ‘ক্লিন মিট’ যে জনপ্রিয়তা পাবে, তাতে মোটেই সন্দেহ নেই। আর স্বাদে, গন্ধে, পুষ্টিতে অতুলনীয় এ বিকল্প আমিষ সবার জন্য হবে এক উপাদেয় খাদ্য। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। খাদ্যের জন্য পশু-পাখি, মাছ বধ করতে হবে না অদূর ভবিষ্যতে।
ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁয় থাকবে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা এই যন্ত্র গ্রাহকের পছন্দের খাবার তার সামনেই তৈরি করে দেবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পকেটে বা ত্বকের নিচে থাকা খুবই ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য কার্ড (হেলথ কার্ড) বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বাদ দিয়ে উপকারী উপাদান যোগ করে সুষম ও মুখরোচক খাবার পরিবেশন করবে।
আজ কল্পকাহিনি মনে হলেও অচিরেই তা হবে অনেকটাই নিত্যনৈমিত্তিক; সাধারণ ব্যাপার। তাই এ মুহূর্তে যে প্রশ্ন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, তা হলো, ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
লেখক: গবেষক ও লেখক, ফ্রান্স

ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
জীবনকে খাদ্য থেকে আলাদা করা যায় না। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প কিছু নেই। অন্তত এখনো সে বিকল্প মানুষের অজানা।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি যেমন রটিয়ে বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষ একটি মাত্র ছোট ট্যাবলেট, অর্থাৎ পুরিয়া মুখে পুরে দিব্যি বছরখানেক না খেয়ে থাকতে পারবে বা শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে হাজার বছরের লম্বা এক ঘুম দিয়ে জেগে উঠে নতুন পৃথিবী দেখবে।
একদিন হয়তো একটি ট্যাবলেট আমাদের খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা করবে। তবে সে ভরসা করে বিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা বসে থাকতে পারেন না। অতটা সময় এখন আর এ গ্রহের মানুষের হাতে নেই। কারণ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা। প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বিশেষ করে আমিষের চাহিদা মেটাতে যেসব পশু-পাখি, মাছ আমরা লালন–পালন করি, তা বেশ সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। এ জন্য বাড়তি স্থান এবং উত্তরোত্তর দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠা পানযোগ্য পানির বিপুল অপচয় হয়। ব্যাপক রাসায়নিক সার, কীট-পতঙ্গ এবং আবর্জনানাশক ইত্যাদি ব্যবহার মোটেই পরিবেশবান্ধব নয়। চাষযোগ্য জমিও আর বাকি নেই। মানুষ, পালিত পশু-পাখি ও মাছের জন্য খাদ্য জোগাতে উজাড় হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস বনভূমি। এর সঙ্গে আছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন।
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ১০০০ কোটির কাছে চলে যাবে। বাড়তি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হবে অনেকটাই অসাধ্যসাধনের মতো একটা চ্যালেঞ্জ। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়লেও ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ পত্রিকা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষকেরা ২১ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এ কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাদ্য অপচয়। জমি থেকে আমাদের মুখ পর্যন্ত পৌঁছানোর মাঝখানে পথেই হারিয়ে যায় ৩০ শতাংশ খাদ্য। তা ছাড়া মানুষের ব্যবহারের জন্য এক বছরে আমাদের এই পৃথিবী যেটুকু নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ উৎপন্ন করে, তা দিয়ে আট মাসও চলে না। ২০২০ সালেই যেমন নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ২২ আগস্টেই সাবাড় করে দিয়েছিল পৃথিবীর মানুষেরা। ফলে বছরের বাকি চার মাস সময় আমাদের ধারের ওপর চলতে হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছে গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক।
বর্তমানে প্রতি ১০ জনে ১ জন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে। এসব বিবেচনায় ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা সমাধানে জৈবপ্রযুক্তিবিদেরা আমাদের খাদ্যের নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছেন। আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে যেসব খাদ্যে পরিতৃপ্ত থাকতে হবে, সেগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় থাকা ভালো।
কীট-পতঙ্গ
প্রথমবারের মতো চলতি বছরের ৪ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা গুবরেপোকার লার্ভা বা শুককীট মানুষের খাদ্য হিসেবে নিরাপদ বলে ছাড়পত্র দিয়েছে। ফ্রান্সের পোকামাকড় দিয়ে খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রোনিউট্রিসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা সংস্থা আমিষের নতুন উৎস হিসেবে কীটপতঙ্গকে বিবেচনায় নিয়েছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোতে গুবরেপোকার লার্ভা মানুষের নতুন খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
এক কথায় উন্নত আমিষ ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ কীট-পতঙ্গ স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব, সময় ও অর্থসাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, প্রাণিজগতের এক বিশাল অংশ (৮৫ শতাংশ) দখল করে আছে এই সন্ধিপদী কীটপতঙ্গেরা। এদের রয়েছে এক বিশাল ও বৈচিত্র্যময় ভান্ডার। তাই পোকামাকড়ের এমন আমিষ, প্রচলিত আমিষের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উন্নত বিকল্প হতে পারে। এতে মাত্র ২৫ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হবে।
শৈবাল
বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর বহু অঞ্চলে কীট-পতঙ্গের মতো শৈবালও মানুষের খাদ্য হিসেবে সমাদর লাভ করেছে। তবে তা নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সবজির বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু প্রজাতির শৈবালকে চিহ্নিত করেছেন। সেসব শৈবাল পুষ্টিমানে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য; বিশেষ করে উন্নত আমিষ, আঁশ, ভিটামিন ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
চীন ও নাইজারে নীল অণু শৈবাল ‘স্পিরুলিনা’ মানুষ এবং পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মরু অঞ্চলে অপেয় পানি ব্যবহার করে এমন পুষ্টিকর অণু শৈবাল উৎপাদন করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সহজে উৎপাদন করা যায় এমন বেশ কিছু খাবার যোগ্য শৈবাল। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রায় ১০ হাজার ধরনের শৈবাল। এর মধ্যে ১৪৫ ধরনের শৈবাল ইতিমধ্যে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
অণুজীব থেকে দুধ, ডিম ও চকলেট উৎপাদন
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আরেকটি চমকপ্রদ খবরের খোঁজ দিয়েছেন। এটি আমাদের বলছে, দুধের জন্য আর গাভির দরকার হবে না। ভবিষ্যতে এককোষী অণুজীব হবে দুধের প্রধান উৎস। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তামির টুলের ও খাদ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ড. আইয়াল ইফারগান দুজন মিলে এককোষী ছত্রাক ইস্ট থেকে দুধ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। পুষ্টিগুণের সঙ্গে রং, ঘ্রাণ, স্বাদ ও গঠন বিবেচনায় অণুজীব উৎপাদিত দুধ কোনো অংশেই কম যায় না। বরং আরও কিছু পুষ্টিগুণ যোগ করে স্বাস্থ্যের জন্য আরও উত্তম করা যাবে বলে জানিয়েছেন। এমনকি এ থেকে উৎকৃষ্ট মানের চিজ অর্থাৎ পনির তৈরি করা যাবে।
জিনতত্ত্ব প্রকৌশল প্রয়োগ করে অণুজীব থেকে ‘ঈশ্বরের খাদ্য’ নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত জাদুকরী স্বাদের চকলেট উৎপাদন করতে প্রযুক্তিবিদেরা সফল হয়েছেন। তাঁরা এই ইস্ট ব্যবহার করে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ উৎপাদনেও সমর্থ হয়েছেন। ডিমের বাড়তি চাহিদা, জনপ্রিয়তার কথা ভেবেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিজ্জ কৃত্রিম ডিম নিয়ে বাজার জাঁকিয়ে বসেছে।
আজ অণুজীব থেকে দুধ, ডিম, মজার চকলেট উৎপাদনের জৈবপ্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয় আছে। বলে রাখা ভালো, অণুজীব হলেও এই প্রজাতির ইস্ট খুব নিরাপদ ও উপকারী।
গবেষণাগারে মাংস উৎপাদন
গত বছর ২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ অচিরেই অনুমোদন দিতে যাচ্ছে এটিকে। পশু-পাখি ও মাছের একটি টিস্যু থেকে অবিকল স্বাদ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ মাংস এখন আর কোনো কল্পকাহিনি নয়। অচিরেই সস্তা, ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত ‘ক্লিন মিট’ যে জনপ্রিয়তা পাবে, তাতে মোটেই সন্দেহ নেই। আর স্বাদে, গন্ধে, পুষ্টিতে অতুলনীয় এ বিকল্প আমিষ সবার জন্য হবে এক উপাদেয় খাদ্য। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। খাদ্যের জন্য পশু-পাখি, মাছ বধ করতে হবে না অদূর ভবিষ্যতে।
ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁয় থাকবে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা এই যন্ত্র গ্রাহকের পছন্দের খাবার তার সামনেই তৈরি করে দেবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পকেটে বা ত্বকের নিচে থাকা খুবই ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য কার্ড (হেলথ কার্ড) বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বাদ দিয়ে উপকারী উপাদান যোগ করে সুষম ও মুখরোচক খাবার পরিবেশন করবে।
আজ কল্পকাহিনি মনে হলেও অচিরেই তা হবে অনেকটাই নিত্যনৈমিত্তিক; সাধারণ ব্যাপার। তাই এ মুহূর্তে যে প্রশ্ন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, তা হলো, ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
লেখক: গবেষক ও লেখক, ফ্রান্স
মইনুল হাসান

ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
জীবনকে খাদ্য থেকে আলাদা করা যায় না। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প কিছু নেই। অন্তত এখনো সে বিকল্প মানুষের অজানা।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি যেমন রটিয়ে বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষ একটি মাত্র ছোট ট্যাবলেট, অর্থাৎ পুরিয়া মুখে পুরে দিব্যি বছরখানেক না খেয়ে থাকতে পারবে বা শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে হাজার বছরের লম্বা এক ঘুম দিয়ে জেগে উঠে নতুন পৃথিবী দেখবে।
একদিন হয়তো একটি ট্যাবলেট আমাদের খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা করবে। তবে সে ভরসা করে বিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা বসে থাকতে পারেন না। অতটা সময় এখন আর এ গ্রহের মানুষের হাতে নেই। কারণ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা। প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বিশেষ করে আমিষের চাহিদা মেটাতে যেসব পশু-পাখি, মাছ আমরা লালন–পালন করি, তা বেশ সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। এ জন্য বাড়তি স্থান এবং উত্তরোত্তর দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠা পানযোগ্য পানির বিপুল অপচয় হয়। ব্যাপক রাসায়নিক সার, কীট-পতঙ্গ এবং আবর্জনানাশক ইত্যাদি ব্যবহার মোটেই পরিবেশবান্ধব নয়। চাষযোগ্য জমিও আর বাকি নেই। মানুষ, পালিত পশু-পাখি ও মাছের জন্য খাদ্য জোগাতে উজাড় হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস বনভূমি। এর সঙ্গে আছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন।
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ১০০০ কোটির কাছে চলে যাবে। বাড়তি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হবে অনেকটাই অসাধ্যসাধনের মতো একটা চ্যালেঞ্জ। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়লেও ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ পত্রিকা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষকেরা ২১ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এ কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাদ্য অপচয়। জমি থেকে আমাদের মুখ পর্যন্ত পৌঁছানোর মাঝখানে পথেই হারিয়ে যায় ৩০ শতাংশ খাদ্য। তা ছাড়া মানুষের ব্যবহারের জন্য এক বছরে আমাদের এই পৃথিবী যেটুকু নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ উৎপন্ন করে, তা দিয়ে আট মাসও চলে না। ২০২০ সালেই যেমন নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ২২ আগস্টেই সাবাড় করে দিয়েছিল পৃথিবীর মানুষেরা। ফলে বছরের বাকি চার মাস সময় আমাদের ধারের ওপর চলতে হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছে গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক।
বর্তমানে প্রতি ১০ জনে ১ জন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে। এসব বিবেচনায় ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা সমাধানে জৈবপ্রযুক্তিবিদেরা আমাদের খাদ্যের নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছেন। আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে যেসব খাদ্যে পরিতৃপ্ত থাকতে হবে, সেগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় থাকা ভালো।
কীট-পতঙ্গ
প্রথমবারের মতো চলতি বছরের ৪ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা গুবরেপোকার লার্ভা বা শুককীট মানুষের খাদ্য হিসেবে নিরাপদ বলে ছাড়পত্র দিয়েছে। ফ্রান্সের পোকামাকড় দিয়ে খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রোনিউট্রিসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা সংস্থা আমিষের নতুন উৎস হিসেবে কীটপতঙ্গকে বিবেচনায় নিয়েছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোতে গুবরেপোকার লার্ভা মানুষের নতুন খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
এক কথায় উন্নত আমিষ ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ কীট-পতঙ্গ স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব, সময় ও অর্থসাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, প্রাণিজগতের এক বিশাল অংশ (৮৫ শতাংশ) দখল করে আছে এই সন্ধিপদী কীটপতঙ্গেরা। এদের রয়েছে এক বিশাল ও বৈচিত্র্যময় ভান্ডার। তাই পোকামাকড়ের এমন আমিষ, প্রচলিত আমিষের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উন্নত বিকল্প হতে পারে। এতে মাত্র ২৫ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হবে।
শৈবাল
বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর বহু অঞ্চলে কীট-পতঙ্গের মতো শৈবালও মানুষের খাদ্য হিসেবে সমাদর লাভ করেছে। তবে তা নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সবজির বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু প্রজাতির শৈবালকে চিহ্নিত করেছেন। সেসব শৈবাল পুষ্টিমানে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য; বিশেষ করে উন্নত আমিষ, আঁশ, ভিটামিন ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
চীন ও নাইজারে নীল অণু শৈবাল ‘স্পিরুলিনা’ মানুষ এবং পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মরু অঞ্চলে অপেয় পানি ব্যবহার করে এমন পুষ্টিকর অণু শৈবাল উৎপাদন করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সহজে উৎপাদন করা যায় এমন বেশ কিছু খাবার যোগ্য শৈবাল। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রায় ১০ হাজার ধরনের শৈবাল। এর মধ্যে ১৪৫ ধরনের শৈবাল ইতিমধ্যে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
অণুজীব থেকে দুধ, ডিম ও চকলেট উৎপাদন
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আরেকটি চমকপ্রদ খবরের খোঁজ দিয়েছেন। এটি আমাদের বলছে, দুধের জন্য আর গাভির দরকার হবে না। ভবিষ্যতে এককোষী অণুজীব হবে দুধের প্রধান উৎস। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তামির টুলের ও খাদ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ড. আইয়াল ইফারগান দুজন মিলে এককোষী ছত্রাক ইস্ট থেকে দুধ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। পুষ্টিগুণের সঙ্গে রং, ঘ্রাণ, স্বাদ ও গঠন বিবেচনায় অণুজীব উৎপাদিত দুধ কোনো অংশেই কম যায় না। বরং আরও কিছু পুষ্টিগুণ যোগ করে স্বাস্থ্যের জন্য আরও উত্তম করা যাবে বলে জানিয়েছেন। এমনকি এ থেকে উৎকৃষ্ট মানের চিজ অর্থাৎ পনির তৈরি করা যাবে।
জিনতত্ত্ব প্রকৌশল প্রয়োগ করে অণুজীব থেকে ‘ঈশ্বরের খাদ্য’ নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত জাদুকরী স্বাদের চকলেট উৎপাদন করতে প্রযুক্তিবিদেরা সফল হয়েছেন। তাঁরা এই ইস্ট ব্যবহার করে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ উৎপাদনেও সমর্থ হয়েছেন। ডিমের বাড়তি চাহিদা, জনপ্রিয়তার কথা ভেবেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিজ্জ কৃত্রিম ডিম নিয়ে বাজার জাঁকিয়ে বসেছে।
আজ অণুজীব থেকে দুধ, ডিম, মজার চকলেট উৎপাদনের জৈবপ্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয় আছে। বলে রাখা ভালো, অণুজীব হলেও এই প্রজাতির ইস্ট খুব নিরাপদ ও উপকারী।
গবেষণাগারে মাংস উৎপাদন
গত বছর ২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ অচিরেই অনুমোদন দিতে যাচ্ছে এটিকে। পশু-পাখি ও মাছের একটি টিস্যু থেকে অবিকল স্বাদ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ মাংস এখন আর কোনো কল্পকাহিনি নয়। অচিরেই সস্তা, ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত ‘ক্লিন মিট’ যে জনপ্রিয়তা পাবে, তাতে মোটেই সন্দেহ নেই। আর স্বাদে, গন্ধে, পুষ্টিতে অতুলনীয় এ বিকল্প আমিষ সবার জন্য হবে এক উপাদেয় খাদ্য। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। খাদ্যের জন্য পশু-পাখি, মাছ বধ করতে হবে না অদূর ভবিষ্যতে।
ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁয় থাকবে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা এই যন্ত্র গ্রাহকের পছন্দের খাবার তার সামনেই তৈরি করে দেবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পকেটে বা ত্বকের নিচে থাকা খুবই ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য কার্ড (হেলথ কার্ড) বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বাদ দিয়ে উপকারী উপাদান যোগ করে সুষম ও মুখরোচক খাবার পরিবেশন করবে।
আজ কল্পকাহিনি মনে হলেও অচিরেই তা হবে অনেকটাই নিত্যনৈমিত্তিক; সাধারণ ব্যাপার। তাই এ মুহূর্তে যে প্রশ্ন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, তা হলো, ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
লেখক: গবেষক ও লেখক, ফ্রান্স

ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
জীবনকে খাদ্য থেকে আলাদা করা যায় না। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প কিছু নেই। অন্তত এখনো সে বিকল্প মানুষের অজানা।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি যেমন রটিয়ে বেড়াচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষ একটি মাত্র ছোট ট্যাবলেট, অর্থাৎ পুরিয়া মুখে পুরে দিব্যি বছরখানেক না খেয়ে থাকতে পারবে বা শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে হাজার বছরের লম্বা এক ঘুম দিয়ে জেগে উঠে নতুন পৃথিবী দেখবে।
একদিন হয়তো একটি ট্যাবলেট আমাদের খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা করবে। তবে সে ভরসা করে বিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা বসে থাকতে পারেন না। অতটা সময় এখন আর এ গ্রহের মানুষের হাতে নেই। কারণ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা। প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বিশেষ করে আমিষের চাহিদা মেটাতে যেসব পশু-পাখি, মাছ আমরা লালন–পালন করি, তা বেশ সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। এ জন্য বাড়তি স্থান এবং উত্তরোত্তর দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠা পানযোগ্য পানির বিপুল অপচয় হয়। ব্যাপক রাসায়নিক সার, কীট-পতঙ্গ এবং আবর্জনানাশক ইত্যাদি ব্যবহার মোটেই পরিবেশবান্ধব নয়। চাষযোগ্য জমিও আর বাকি নেই। মানুষ, পালিত পশু-পাখি ও মাছের জন্য খাদ্য জোগাতে উজাড় হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস বনভূমি। এর সঙ্গে আছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন।
আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ১০০০ কোটির কাছে চলে যাবে। বাড়তি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হবে অনেকটাই অসাধ্যসাধনের মতো একটা চ্যালেঞ্জ। উন্নত প্রযুক্তির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়লেও ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ পত্রিকা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষকেরা ২১ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। এ কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাদ্য অপচয়। জমি থেকে আমাদের মুখ পর্যন্ত পৌঁছানোর মাঝখানে পথেই হারিয়ে যায় ৩০ শতাংশ খাদ্য। তা ছাড়া মানুষের ব্যবহারের জন্য এক বছরে আমাদের এই পৃথিবী যেটুকু নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ উৎপন্ন করে, তা দিয়ে আট মাসও চলে না। ২০২০ সালেই যেমন নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ২২ আগস্টেই সাবাড় করে দিয়েছিল পৃথিবীর মানুষেরা। ফলে বছরের বাকি চার মাস সময় আমাদের ধারের ওপর চলতে হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছে গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক।
বর্তমানে প্রতি ১০ জনে ১ জন মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে। এসব বিবেচনায় ভবিষ্যতে খাদ্য সমস্যা সমাধানে জৈবপ্রযুক্তিবিদেরা আমাদের খাদ্যের নতুন উৎসের সন্ধান দিচ্ছেন। আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে যেসব খাদ্যে পরিতৃপ্ত থাকতে হবে, সেগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় থাকা ভালো।
কীট-পতঙ্গ
প্রথমবারের মতো চলতি বছরের ৪ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা গুবরেপোকার লার্ভা বা শুককীট মানুষের খাদ্য হিসেবে নিরাপদ বলে ছাড়পত্র দিয়েছে। ফ্রান্সের পোকামাকড় দিয়ে খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা মাইক্রোনিউট্রিসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় খাদ্যনিরাপত্তা সংস্থা আমিষের নতুন উৎস হিসেবে কীটপতঙ্গকে বিবেচনায় নিয়েছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোতে গুবরেপোকার লার্ভা মানুষের নতুন খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
এক কথায় উন্নত আমিষ ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ কীট-পতঙ্গ স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব, সময় ও অর্থসাশ্রয়ী। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, প্রাণিজগতের এক বিশাল অংশ (৮৫ শতাংশ) দখল করে আছে এই সন্ধিপদী কীটপতঙ্গেরা। এদের রয়েছে এক বিশাল ও বৈচিত্র্যময় ভান্ডার। তাই পোকামাকড়ের এমন আমিষ, প্রচলিত আমিষের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উন্নত বিকল্প হতে পারে। এতে মাত্র ২৫ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন হবে।
শৈবাল
বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর বহু অঞ্চলে কীট-পতঙ্গের মতো শৈবালও মানুষের খাদ্য হিসেবে সমাদর লাভ করেছে। তবে তা নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সবজির বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু প্রজাতির শৈবালকে চিহ্নিত করেছেন। সেসব শৈবাল পুষ্টিমানে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য; বিশেষ করে উন্নত আমিষ, আঁশ, ভিটামিন ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
চীন ও নাইজারে নীল অণু শৈবাল ‘স্পিরুলিনা’ মানুষ এবং পশু-পাখির খাদ্য হিসেবে উৎপাদনে সাফল্য লাভ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মরু অঞ্চলে অপেয় পানি ব্যবহার করে এমন পুষ্টিকর অণু শৈবাল উৎপাদন করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সহজে উৎপাদন করা যায় এমন বেশ কিছু খাবার যোগ্য শৈবাল। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রায় ১০ হাজার ধরনের শৈবাল। এর মধ্যে ১৪৫ ধরনের শৈবাল ইতিমধ্যে মানুষের খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
অণুজীব থেকে দুধ, ডিম ও চকলেট উৎপাদন
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আরেকটি চমকপ্রদ খবরের খোঁজ দিয়েছেন। এটি আমাদের বলছে, দুধের জন্য আর গাভির দরকার হবে না। ভবিষ্যতে এককোষী অণুজীব হবে দুধের প্রধান উৎস। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তামির টুলের ও খাদ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ড. আইয়াল ইফারগান দুজন মিলে এককোষী ছত্রাক ইস্ট থেকে দুধ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। পুষ্টিগুণের সঙ্গে রং, ঘ্রাণ, স্বাদ ও গঠন বিবেচনায় অণুজীব উৎপাদিত দুধ কোনো অংশেই কম যায় না। বরং আরও কিছু পুষ্টিগুণ যোগ করে স্বাস্থ্যের জন্য আরও উত্তম করা যাবে বলে জানিয়েছেন। এমনকি এ থেকে উৎকৃষ্ট মানের চিজ অর্থাৎ পনির তৈরি করা যাবে।
জিনতত্ত্ব প্রকৌশল প্রয়োগ করে অণুজীব থেকে ‘ঈশ্বরের খাদ্য’ নামে পরিচিত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত জাদুকরী স্বাদের চকলেট উৎপাদন করতে প্রযুক্তিবিদেরা সফল হয়েছেন। তাঁরা এই ইস্ট ব্যবহার করে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ উৎপাদনেও সমর্থ হয়েছেন। ডিমের বাড়তি চাহিদা, জনপ্রিয়তার কথা ভেবেই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিজ্জ কৃত্রিম ডিম নিয়ে বাজার জাঁকিয়ে বসেছে।
আজ অণুজীব থেকে দুধ, ডিম, মজার চকলেট উৎপাদনের জৈবপ্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয় আছে। বলে রাখা ভালো, অণুজীব হলেও এই প্রজাতির ইস্ট খুব নিরাপদ ও উপকারী।
গবেষণাগারে মাংস উৎপাদন
গত বছর ২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ অচিরেই অনুমোদন দিতে যাচ্ছে এটিকে। পশু-পাখি ও মাছের একটি টিস্যু থেকে অবিকল স্বাদ, ঘ্রাণ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ মাংস এখন আর কোনো কল্পকাহিনি নয়। অচিরেই সস্তা, ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত ‘ক্লিন মিট’ যে জনপ্রিয়তা পাবে, তাতে মোটেই সন্দেহ নেই। আর স্বাদে, গন্ধে, পুষ্টিতে অতুলনীয় এ বিকল্প আমিষ সবার জন্য হবে এক উপাদেয় খাদ্য। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। খাদ্যের জন্য পশু-পাখি, মাছ বধ করতে হবে না অদূর ভবিষ্যতে।
ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁয় থাকবে ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা এই যন্ত্র গ্রাহকের পছন্দের খাবার তার সামনেই তৈরি করে দেবে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের পকেটে বা ত্বকের নিচে থাকা খুবই ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য কার্ড (হেলথ কার্ড) বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বাদ দিয়ে উপকারী উপাদান যোগ করে সুষম ও মুখরোচক খাবার পরিবেশন করবে।
আজ কল্পকাহিনি মনে হলেও অচিরেই তা হবে অনেকটাই নিত্যনৈমিত্তিক; সাধারণ ব্যাপার। তাই এ মুহূর্তে যে প্রশ্ন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, তা হলো, ভবিষ্যতে আমরা কী খাব?
লেখক: গবেষক ও লেখক, ফ্রান্স

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

নানা জাতের শৈবাল মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এ তালিকা আরও লম্বা হচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে গুবরে পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গ। মানুষের ভবিষ্যৎ খাদ্যতালিকায় এমন অনেক কিছুই স্থান পাবে, যার কথা এখন ভাবাটাই কষ্টকর। ভবিষ্যতের খাবার নিয়ে লিখেছেন মইনুল হাসান
২৮ জুন ২০২১
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

নানা জাতের শৈবাল মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এ তালিকা আরও লম্বা হচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে গুবরে পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গ। মানুষের ভবিষ্যৎ খাদ্যতালিকায় এমন অনেক কিছুই স্থান পাবে, যার কথা এখন ভাবাটাই কষ্টকর। ভবিষ্যতের খাবার নিয়ে লিখেছেন মইনুল হাসান
২৮ জুন ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

নানা জাতের শৈবাল মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এ তালিকা আরও লম্বা হচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে গুবরে পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গ। মানুষের ভবিষ্যৎ খাদ্যতালিকায় এমন অনেক কিছুই স্থান পাবে, যার কথা এখন ভাবাটাই কষ্টকর। ভবিষ্যতের খাবার নিয়ে লিখেছেন মইনুল হাসান
২৮ জুন ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

নানা জাতের শৈবাল মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এ তালিকা আরও লম্বা হচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে গুবরে পোকার মতো নানা কীটপতঙ্গ। মানুষের ভবিষ্যৎ খাদ্যতালিকায় এমন অনেক কিছুই স্থান পাবে, যার কথা এখন ভাবাটাই কষ্টকর। ভবিষ্যতের খাবার নিয়ে লিখেছেন মইনুল হাসান
২৮ জুন ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে