সানজিদা সামরিন, ঢাকা
গত দুই বছর ঈদুল ফিতর কেটেছে করোনার প্রকোপ আর লকডাউনে। ফলে উৎসবে মন খুলে উল্লাস করার সুযোগটাও ছিল কম। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক সাবধানতাই ছিল বেশি। সে সময় ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকেরই নতুন কাপড় হয়তো কেনা হয়েছে, তবে তা উপলক্ষ ছিল মাত্র। চলতি বছর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানগুলো সেজে উঠেছে নানা ধরনের নকশার কাপড়ে। ফ্যাশন ডিজাইনাররাও এবার লাগাতার কাজে করে তৈরি করেছেন বাহারি পোশাক। আর দুই বছর পর দেশবাসী মেতেছে ঈদের চিরাচরিত আয়োজনে।
ঈদের কেনাকাটায় খুব যত্ন নিয়ে, কাপড়ে হাত বুলিয়ে নিখুঁতভাবে দেখে ও বুঝে যাঁদের জন্য কাপড় কেনা হয়, তাঁরা হলেন পরিবারের অগ্রজ সদস্য বা বয়োজ্যেষ্ঠরা। বাবা–মা, দাদা–দাদি, নানা–নানি, চাচা–চাচি, খালা–খালু, ফুপা–ফুপুদের মতো পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য কেনাকাটা করার সময় তাঁদের রুচি তো বটেই, সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় রাখা হয় পোশাকের রং ও আরামের কথা। যে কাপড় বা পোশাকটি পরে তাঁরা স্বচ্ছন্দে দিন কাটাতে পারবেন বা চলাফেরা করতে পারবেন, সেটিই উপহার দেওয়ার প্রয়াস থাকে ঈদে।
এবার তো ভরা বৈশাখে পড়েছে ঈদুল ফিতর। ভোরের শীতল আমেজ নেমে যেতেই ভাপসা গরম নিয়ে দিনের শুরু হয়। গনগনে সূর্য যেন আগুন ঢেলে দেয় গায়ে। ফলে আবহাওয়ার এমনতালে শীতল, হালকা বা একেবারেই হালকা রঙের কাপড়ই আরাম দেবে বয়োজ্যেষ্ঠদের। ভীষণ গরমের সকাল বা দুপুরে পোশাক হওয়া চাই এমন কাপড় ও রঙের যেন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা ঘরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন স্বস্তিতেই উৎসব যাপন করতে পারেন।
বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা বিবেচনায় রেখে কোনো কোনো ফ্যাশন হাউস তাঁদের জন্য সাবব্র্যান্ড তৈরি করেছে। সেখানে শুধু বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্যই পোশাক তৈরি করা হয়।
রঙ বাংলাদেশের সাব-ব্র্যান্ড শ্রদ্ধাঞ্জলিতে রয়েছে অগ্রজদের জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, বড় ওড়না ও বাবা-গেঞ্জি। এই ফ্যাশন হাউসের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘অগ্রজদের আরাম ও পছন্দের বিষয় বিবেচনায় রেখেই প্রোডাক্ট লাইনের কথা ভেবেছি, যেখানে তাঁদের পোশাকগুলো আলাদা করে পাওয়া যাবে। বয়োজ্যেষ্ঠরা কোন ধরনের রং পছন্দ করতে পারেন, কোন ধরনের কাপড় পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কোন ধরনের কাটিং পরে অভ্যস্ত, সেসব কথা বিবেচনায় রেখেই রঙ বাংলাদেশের সাব–ব্র্যান্ড শ্রদ্ধাঞ্জলির পোশাকগুলো তৈরি হয়েছে।’ ঈদ ফ্যাশনে পাঞ্জাবির গুরুত্ব অনেক। সে ক্ষেত্রেও চলতি প্যাটার্ন, যেমন স্লিম ফিট এড়িয়ে বাবাদের পাঞ্জাবি যেমন ছিল, সেভাবেই তৈরি হয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলির পোশাক। অন্যদিকে মায়েদের শাড়ির ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করেছে গ্রহণযোগ্য ভ্যালু এডিশন করে শাড়ি তৈরি করতে। শাড়ির বেশির ভাগ কাপড়ই সুতি। এটাও ভাবা হয়েছে, রংটাও যেন আরামদায়ক হয়।
যদিও আমরা ছেলেমেয়েরা চাই মা-বাবাকে একটু রঙিন কাপড়ে দেখতে। পোশাকের নকশায় সে সুপ্ত চিন্তাটাও ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলির নকশাকারদের। সে ক্ষেত্রে অফটোনের ওপরই বেশি কাজ হয়েছে, আবার তাতে যেন একটা রঙিন ভাব চলেও আসে, সে চেষ্টাটাও তাদের ছিল।
অন্যদিকে, আড়ংয়ের সিনিয়র ডিজাইনার আন্তু নাজনীন বলেন, ‘যেহেতু এখন অনেক গরম, ফলে পরিধেয় হিসেবে সুতি কাপড়ই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে আড়ংয়ে সুতির পাশাপাশি সিল্ক, মসলিন, এন্ডি শাড়িতে স্ক্রিনপ্রিন্ট, নকশিকাঁথার কাজ, ব্লকসহ মোটামুটি সব ধরনের মিডিয়ায় কাজ করা হয়েছে। আর এগুলোর দামও বিভিন্ন রেঞ্জে রাখা হয়েছে, যাতে সব ধরনের ক্রেতারাই তাঁদের রুচি অনুযায়ী কিনতে পারেন।’
গরম ও ঈদ দুটোকে বিবেচনায় রেখে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য কোন ধরনের পোশাক বাছাই করা উচিত, এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলোর ডিজাইনার এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহ্মেদ বলেন, ‘গরমে এমন রঙের পোশাক পরা উচিত, রাস্তায় চলাফেরার সময় বা আশপাশে যাঁরা থাকেন তাঁদের চোখে আরামবোধ হয়।’
বয়োজ্যেষ্ঠদের পোশাক পাওয়া যাবে
ঈদের কেনাকাটায় বয়োজ্যেষ্ঠদের পোশাক পাওয়া যাবে দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জন’স, দেশাল, যাত্রা, লা রিভ, আড়ং, নিপুণ, নবরূপায়। এ ছাড়া নিউমার্কেট, উত্তরা রাজলক্ষ্মী সুপার মার্কেট, সুবাস্তু নজরভ্যালি, সীমান্ত স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টারে পাওয়া যাবে বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযোগী শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, লুঙ্গি ও ওড়না। ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা বা উপজেলা শহরেই এখন মানসম্মত ঈদের পোশাক পাওয়া যায়।
গত দুই বছর ঈদুল ফিতর কেটেছে করোনার প্রকোপ আর লকডাউনে। ফলে উৎসবে মন খুলে উল্লাস করার সুযোগটাও ছিল কম। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক সাবধানতাই ছিল বেশি। সে সময় ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকেরই নতুন কাপড় হয়তো কেনা হয়েছে, তবে তা উপলক্ষ ছিল মাত্র। চলতি বছর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানগুলো সেজে উঠেছে নানা ধরনের নকশার কাপড়ে। ফ্যাশন ডিজাইনাররাও এবার লাগাতার কাজে করে তৈরি করেছেন বাহারি পোশাক। আর দুই বছর পর দেশবাসী মেতেছে ঈদের চিরাচরিত আয়োজনে।
ঈদের কেনাকাটায় খুব যত্ন নিয়ে, কাপড়ে হাত বুলিয়ে নিখুঁতভাবে দেখে ও বুঝে যাঁদের জন্য কাপড় কেনা হয়, তাঁরা হলেন পরিবারের অগ্রজ সদস্য বা বয়োজ্যেষ্ঠরা। বাবা–মা, দাদা–দাদি, নানা–নানি, চাচা–চাচি, খালা–খালু, ফুপা–ফুপুদের মতো পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য কেনাকাটা করার সময় তাঁদের রুচি তো বটেই, সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় রাখা হয় পোশাকের রং ও আরামের কথা। যে কাপড় বা পোশাকটি পরে তাঁরা স্বচ্ছন্দে দিন কাটাতে পারবেন বা চলাফেরা করতে পারবেন, সেটিই উপহার দেওয়ার প্রয়াস থাকে ঈদে।
এবার তো ভরা বৈশাখে পড়েছে ঈদুল ফিতর। ভোরের শীতল আমেজ নেমে যেতেই ভাপসা গরম নিয়ে দিনের শুরু হয়। গনগনে সূর্য যেন আগুন ঢেলে দেয় গায়ে। ফলে আবহাওয়ার এমনতালে শীতল, হালকা বা একেবারেই হালকা রঙের কাপড়ই আরাম দেবে বয়োজ্যেষ্ঠদের। ভীষণ গরমের সকাল বা দুপুরে পোশাক হওয়া চাই এমন কাপড় ও রঙের যেন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা ঘরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন স্বস্তিতেই উৎসব যাপন করতে পারেন।
বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা বিবেচনায় রেখে কোনো কোনো ফ্যাশন হাউস তাঁদের জন্য সাবব্র্যান্ড তৈরি করেছে। সেখানে শুধু বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্যই পোশাক তৈরি করা হয়।
রঙ বাংলাদেশের সাব-ব্র্যান্ড শ্রদ্ধাঞ্জলিতে রয়েছে অগ্রজদের জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, বড় ওড়না ও বাবা-গেঞ্জি। এই ফ্যাশন হাউসের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস বলেন, ‘অগ্রজদের আরাম ও পছন্দের বিষয় বিবেচনায় রেখেই প্রোডাক্ট লাইনের কথা ভেবেছি, যেখানে তাঁদের পোশাকগুলো আলাদা করে পাওয়া যাবে। বয়োজ্যেষ্ঠরা কোন ধরনের রং পছন্দ করতে পারেন, কোন ধরনের কাপড় পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কোন ধরনের কাটিং পরে অভ্যস্ত, সেসব কথা বিবেচনায় রেখেই রঙ বাংলাদেশের সাব–ব্র্যান্ড শ্রদ্ধাঞ্জলির পোশাকগুলো তৈরি হয়েছে।’ ঈদ ফ্যাশনে পাঞ্জাবির গুরুত্ব অনেক। সে ক্ষেত্রেও চলতি প্যাটার্ন, যেমন স্লিম ফিট এড়িয়ে বাবাদের পাঞ্জাবি যেমন ছিল, সেভাবেই তৈরি হয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলির পোশাক। অন্যদিকে মায়েদের শাড়ির ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি চেষ্টা করেছে গ্রহণযোগ্য ভ্যালু এডিশন করে শাড়ি তৈরি করতে। শাড়ির বেশির ভাগ কাপড়ই সুতি। এটাও ভাবা হয়েছে, রংটাও যেন আরামদায়ক হয়।
যদিও আমরা ছেলেমেয়েরা চাই মা-বাবাকে একটু রঙিন কাপড়ে দেখতে। পোশাকের নকশায় সে সুপ্ত চিন্তাটাও ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলির নকশাকারদের। সে ক্ষেত্রে অফটোনের ওপরই বেশি কাজ হয়েছে, আবার তাতে যেন একটা রঙিন ভাব চলেও আসে, সে চেষ্টাটাও তাদের ছিল।
অন্যদিকে, আড়ংয়ের সিনিয়র ডিজাইনার আন্তু নাজনীন বলেন, ‘যেহেতু এখন অনেক গরম, ফলে পরিধেয় হিসেবে সুতি কাপড়ই সবচেয়ে ভালো হবে। তবে আড়ংয়ে সুতির পাশাপাশি সিল্ক, মসলিন, এন্ডি শাড়িতে স্ক্রিনপ্রিন্ট, নকশিকাঁথার কাজ, ব্লকসহ মোটামুটি সব ধরনের মিডিয়ায় কাজ করা হয়েছে। আর এগুলোর দামও বিভিন্ন রেঞ্জে রাখা হয়েছে, যাতে সব ধরনের ক্রেতারাই তাঁদের রুচি অনুযায়ী কিনতে পারেন।’
গরম ও ঈদ দুটোকে বিবেচনায় রেখে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য কোন ধরনের পোশাক বাছাই করা উচিত, এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলোর ডিজাইনার এ কে ওয়াসিম উদ্দীন আহ্মেদ বলেন, ‘গরমে এমন রঙের পোশাক পরা উচিত, রাস্তায় চলাফেরার সময় বা আশপাশে যাঁরা থাকেন তাঁদের চোখে আরামবোধ হয়।’
বয়োজ্যেষ্ঠদের পোশাক পাওয়া যাবে
ঈদের কেনাকাটায় বয়োজ্যেষ্ঠদের পোশাক পাওয়া যাবে দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জন’স, দেশাল, যাত্রা, লা রিভ, আড়ং, নিপুণ, নবরূপায়। এ ছাড়া নিউমার্কেট, উত্তরা রাজলক্ষ্মী সুপার মার্কেট, সুবাস্তু নজরভ্যালি, সীমান্ত স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টারে পাওয়া যাবে বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযোগী শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, লুঙ্গি ও ওড়না। ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা বা উপজেলা শহরেই এখন মানসম্মত ঈদের পোশাক পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সুদর্শন ও চৌকস গুপ্তচর জেমস বন্ডের জন্ম নভেম্বর মাসে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে। জন পিয়ারসনের কল্পিত জীবনী ‘জেমস বন্ড: দ্য অথরাইজড বায়োগ্রাফি অব ০০৭ ’-এ বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২০ হিসেবে লেখা হয়েছে। আবার বন্ড বিশেষজ্ঞ জন গ্রিসওল্ড...
৩ ঘণ্টা আগেসূর্য অস্ত যেতে তখনো অনেক সময় বাকি। কপোতাক্ষ নদে নৌকার সারি। পাল নেই। পালের জায়গায় শোভা পাচ্ছে রংবেরঙের বেলুন। নৌকার ওপর বসেছে সাত-আটজন। মোটর লাগানো নৌকা বেশ গতিশীল। এর নাম কপোতাক্ষ বিনোদন বোট।
৩ ঘণ্টা আগেমরুভূমির দেশ সৌদি আরবে শীতকালে তুষারপাত হয়! ভাবতেই কেমন এক অনুভূতি তৈরি হয় মনে। কিন্তু ঘটনা তো আর মিথ্যা নয়। আর সময়টা শীতকালে—ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় অল্প সময়ের জন্য তুষারপাত হয়। থাকে কনকনে ঠান্ডা...
৩ ঘণ্টা আগেশীতে বেড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গ তো রইলই। আর কোথায়? রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য অনন্য চন্দ্রনাথ পাহাড়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে এই পাহাড়। এর চূড়ায় উঠতে পাড়ি দিতে হয় পিচ্ছিল ও সরু ২ হাজার ২০০টির বেশি সিঁড়ি।
৩ ঘণ্টা আগে