অল্প বয়সে চুল পেকেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২১, ০৮: ০২

লিমুর বয়স মাত্র ২২। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে তাঁর চুল পাকতে শুরু করেছে। দিন দিন এই পাকা চুলের সংখ্যা বাড়ছেই। কম বয়সে চুল পাকার কারণে সবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। অনেকে অনেক পরামর্শ দেন। বিষয়টি নিয়ে খোদ লিমুও উদ্বিগ্ন। কী কারণে চুলে পাক ধরেছে, তা বুঝতে পারছেন না। লিমুর মতো আরও অনেকে আছেন, যাঁরা বয়সে তরুণ কিন্তু চুল পেকে সাদা।

যে কারণে চুল পাকে

উদ্বেগ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও ঘুমের অভাবে চুল পাকতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন, তবে মেডিটেশন করতে চেষ্টা করুন। মনকে শান্ত রাখতে শরীরচর্চা করতে, গান শুনতে বা পছন্দের কাজ করতে পারেন।

চুলে তেল না দেওয়া
নিয়মিত তেল না দিলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তেল একটু গরম করে নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়মিত তেল দিলে বয়সের আগেই চুল পাকার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

রোদ
কড়া রোদে বেশি সময় থাকলেও দ্রুত চুল পাকে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও খারাপ। রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার আগে ছাতা সঙ্গে নিন।

ধূমপান 
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব চুলের ওপরেও পড়ে। সিগারেটে থাকা বিষাক্ত দ্রব্যের জন্য চুলের ফলিকেলসের ক্ষতি হয়। ফলে চুলের রং সাদা হয়ে যায়।

প্রসাধনী
ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলেও চুল পেকে যায়। তাই চুলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই ভালো।

খাদ্যাভ্যাস
ভিটামিন ও পুষ্টি শরীরে ঠিক থাকলে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ও সুষম খাবার খেলে চুলও ভালো থাকে। ভিটামিন বি৬, বি১২, বায়োটিন, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ইর স্বল্পতার কারণে চুল পেকে যায়। অপুষ্টি ও ভিটামিন স্বল্পতার কারণে যদি চুল পড়ে যায়, তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এতে সাদা চুল কালো হবে না, তবে বাকিগুলো অন্তত কালো থাকবে।

জিনগত বৈশিষ্ট্য
জিনগত কারণেও চুলের রং পরিবর্তন হতে পারে। যদি জিনগত বা বয়সের কারণে চুলের রং পরিবর্তন হয়, তবে কোনোভাবেই তা পুরোনো রূপে ফেরানো যাবে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত