ইন্ডাকশনে সহজ রান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১৯: ১৭

দিনকে দিন ইন্ডাকশন চুলা চাহিদা বেড়ে চলেছে। এ চুলার মজা হলো এটাতে বিশেষ এক প্রকার টেম্পার্ড গ্লাসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক তাপ প্রবাহে রান্না হবে; কিন্তু আগুন জ্বলবে না। রান্নাবান্নায় এটি তাই বেশ নিরাপদ ও সুবিধাজনক।

  • ভুলবশত বার্নার বা চুলার উপরিভাগে কোনো খাবার পড়ে গেলে, তা পুড়ে যাবে না। কারণ, চুলার অন্যান্য অংশে তাপ প্রবাহিত হয় না।
  • এ চুলা পরিষ্কার করা সহজ। যদি এতে কোনো খাবার বা অন্যান্য কিছু পড়ে যায়, তবে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যায়।
  • অনেক সময় গ্যাসের চুলায় রান্নার ক্ষেত্রে তাপ সমানভাবে চারদিকে ছড়াতে পারে না। কিন্তু ইন্ডাকশনে সে সমস্যা নেই। এর তাপ চারদিকে সমানভাবে ছড়ায়। ফলে গ্যাসের চুলায় রান্না করতে যত সময় লাগে তার থেকে কম সময়ে রান্না করা যায়।
  • ইন্ডাকশন চুলার ধরন দুই রকমের। এক রকমের চুলায় রান্নার ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম বা কাচের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা যায় না। তাতে রান্না করতে স্টিল বা লোহাজাতীয় পাত্র ব্যবহার করতে হয়। আবার আরেক ধরনের চুলায় সব ধরনের পাত্রই ব্যবহার করা যায়। ইন্ডাকশনে রান্না করার ক্ষেত্রে পাত্রের তলা সমান হতে হয়।
  • নির্দিষ্ট জায়গার বাইরে আগুনের মতো তাপ ছড়ায় না। ফলে হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
  • রান্নায় বিদ্যুৎ খরচ ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে।
  • যেকোনো প্রয়োজনে সহজেই বহন করা যায়।
  • গ্যাসের চুলার মতোই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • রান্না করলে কালো ধোঁয়া বের হয় না।
  • রান্নার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। সময় শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুলা বন্ধ হয়ে যায়। 

ইন্ডাকশনে রান্না করার ক্ষেত্রে পাত্রের তলা সমান হতে হয়বাজারে এখন বিভিন্ন কোম্পানির ইন্ডাকশন চুলা পাওয়া যায়—ওয়ালটন, ভিশন, সিঙ্গার, মিয়াকো, কোনিয়ন, ওশান, পালসোন, জেব্রা, কনকা, নোভা, মেগা ইত্যাদি। মান ও ধরনের ওপর দাম নির্ভর করে। সাধারণত দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় ইন্ডাকশন চুলা। রান্নার পাত্রের দাম আকারভেদে পড়ে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত