অনন্যা দাস
১৩ জানুয়ারি, ২০২৩। লুইসিয়ানার নিউ অরলিন্সে মিস ইউনিভার্স ২০২২-এর মুকুট মাথায় পরেন ২৪ বছর বয়সী মিস ইউএসএ আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। গত বছরের বিজেতা ভারতের হারনাজ সান্ধুর স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রতিযোগিতায় মিস ভেনিজুয়েলা ও মিস ডোমিনিকান রিপাবলিক রানার্সআপ ছিলেন।
একজন উদ্যোক্তা, মডেল, পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন ডিজাইনার এবং সেলাই প্রশিক্ষক আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ফিলিপাইন বংশোদ্ভূত এই সুন্দরীর অনুপ্রেরণার উৎস খুঁজতে গেলে ফ্যাশনের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকেই অন্যতম বলতে হবে।
হাইস্কুলের শুরুর দিকটায় ভলিবল খেলা বেশি ভালোবাসলেও পরে ফ্যাশনজগতের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ১৫ বছর বয়স থেকেই পোশাক ও টেক্সটাইল ডিজাইন নিয়ে কাজ করে আসছেন আর’বনি। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাস থেকে ২০১৮ সালে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, সঙ্গে মাইনর ছিল ফাইবার।
বর্তমানে এই বিউটি কুইন নিজের নামে খোলা পোশাক লেবেল ‘আর’বনি নোলা’র সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন মঞ্চে নিজের তৈরি গাউন ও পোশাক পরেই ওঠেন। তাঁর ক্লোথিং লাইনের পোশাকগুলো শুধু যে দেখতে চমৎকার তা-ই নয়, এগুলো তৈরি হয় পুনর্নির্মাণকৃত কাপড় এবং প্রাকৃতিক আঁশ ব্যবহার করে। তাঁর ব্র্যান্ডের বায়ো অনুসারে, ‘প্রতিটি পোশাক আন্তরিকতার সঙ্গে হাতে তৈরি করা হয়, যাতে পোশাকের গুণগত মান প্রতিফলিত হয়।’
ফ্যাশন ও পেজান্ট্রির শীর্ষে থেকেও গ্যাব্রিয়েল ম্যাগপাইস অ্যান্ড পিকক নামে একটি অলাভজনক সংস্থায় সেলাই শেখানোর সময় ঠিকই বের করে নেন। শিল্প, ফ্যাশন ও সংস্কৃতি রক্ষার পাশাপাশি তরুণ পেশাদার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই চ্যাম্পিয়ন। মিস ইউএসএ জয়ী প্রথম ফিলিপিনো-আমেরিকান হিসেবে তিনি নিজের সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করার গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। এ বিজয় একজন এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে তাঁর কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করে তুলবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে বৈচিত্র্য এবং প্রতিনিধিত্বের দরজা তাঁর জন্য খুলে যাবে। মিস ইউনিভার্স ওয়েবসাইট অনুসারে, আর’বনি চান, নারী ও অল্পবয়সী মেয়েরা যেন তাঁর মধ্যে নিজেকে দেখতে পান। তিনি যাঁদের অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন, তাঁরা যেন তাঁদের নিজস্বতাকে প্রাধান্য দিয়ে লক্ষ্য জয় করতে উদ্বুদ্ধ হন। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন, গ্যাব্রিয়েল তাঁর ঐতিহ্যকে বাতিল করার মতো মানুষ নন। তিনি প্রায়ই তাঁর সৃষ্টিতে ফিলিপাইনের সাংস্কৃতিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করেন তাঁর বংশের প্রতি সম্মান হিসেবে।
আর’বনি গ্যাব্রিয়েলের কিছু ডিজাইনক্ল্যাসিক বাটারফ্লাই হাতা গ্যাব্রিয়েলকে এ বছরের শুরুর দিকেই ইনস্টাগ্রামে ওপরে কালো বডিসহ ধবধবে সাদা একটি হাই নেক টারনো পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অত্যন্ত ক্লাসি লুকের এ পোশাকটি ডিজাইন করার সঙ্গে সঙ্গে তৈরিও নিজ হাতে করেছিলেন তিনি।
আধুনিক মারিয়া ক্লারা
মিস ইউএসএর এক ইভেন্টে গ্যাব্রিয়েল সিলুয়েট দিয়ে একটি লুক তৈরি করেছিলেন, যা ফিলিপিনোরা সহজেই চিনতে পারবে। এই লুকের সঙ্গের ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এ পোশাকটি আমি আমার মা-বাবার কথা বিবেচনায় রেখে ডিজাইন করেছি। আমার মায়ের বিয়ের পোশাকের ফুলের প্যাটার্ন এবং ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী মারিয়া ক্লারা কলার একসূত্রে বেঁধে।’
অ্যাসিমেট্রিক টারনো জাম্পস্যুট
ফিলিপাইনের সৌন্দর্য হলো এর বহুমুখিতা। টারনো ধাঁচের পোশাকে গ্যাব্রিয়েল নিজস্বতা নিয়ে এসেছেন ওয়ান শোল্ডারড কালো জাম্পস্যুটে হট পিংক রঙের বর্ডার দিয়ে এবং পোশাকটিতে একই রঙের বাটারফ্লাই হাতা সেলাই করে।
সূত্র: ভোগ
১৩ জানুয়ারি, ২০২৩। লুইসিয়ানার নিউ অরলিন্সে মিস ইউনিভার্স ২০২২-এর মুকুট মাথায় পরেন ২৪ বছর বয়সী মিস ইউএসএ আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। গত বছরের বিজেতা ভারতের হারনাজ সান্ধুর স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। প্রতিযোগিতায় মিস ভেনিজুয়েলা ও মিস ডোমিনিকান রিপাবলিক রানার্সআপ ছিলেন।
একজন উদ্যোক্তা, মডেল, পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন ডিজাইনার এবং সেলাই প্রশিক্ষক আর’বনি গ্যাব্রিয়েল। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ফিলিপাইন বংশোদ্ভূত এই সুন্দরীর অনুপ্রেরণার উৎস খুঁজতে গেলে ফ্যাশনের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকেই অন্যতম বলতে হবে।
হাইস্কুলের শুরুর দিকটায় ভলিবল খেলা বেশি ভালোবাসলেও পরে ফ্যাশনজগতের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ১৫ বছর বয়স থেকেই পোশাক ও টেক্সটাইল ডিজাইন নিয়ে কাজ করে আসছেন আর’বনি। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাস থেকে ২০১৮ সালে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, সঙ্গে মাইনর ছিল ফাইবার।
বর্তমানে এই বিউটি কুইন নিজের নামে খোলা পোশাক লেবেল ‘আর’বনি নোলা’র সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন মঞ্চে নিজের তৈরি গাউন ও পোশাক পরেই ওঠেন। তাঁর ক্লোথিং লাইনের পোশাকগুলো শুধু যে দেখতে চমৎকার তা-ই নয়, এগুলো তৈরি হয় পুনর্নির্মাণকৃত কাপড় এবং প্রাকৃতিক আঁশ ব্যবহার করে। তাঁর ব্র্যান্ডের বায়ো অনুসারে, ‘প্রতিটি পোশাক আন্তরিকতার সঙ্গে হাতে তৈরি করা হয়, যাতে পোশাকের গুণগত মান প্রতিফলিত হয়।’
ফ্যাশন ও পেজান্ট্রির শীর্ষে থেকেও গ্যাব্রিয়েল ম্যাগপাইস অ্যান্ড পিকক নামে একটি অলাভজনক সংস্থায় সেলাই শেখানোর সময় ঠিকই বের করে নেন। শিল্প, ফ্যাশন ও সংস্কৃতি রক্ষার পাশাপাশি তরুণ পেশাদার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই চ্যাম্পিয়ন। মিস ইউএসএ জয়ী প্রথম ফিলিপিনো-আমেরিকান হিসেবে তিনি নিজের সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করার গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। এ বিজয় একজন এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে তাঁর কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করে তুলবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে বৈচিত্র্য এবং প্রতিনিধিত্বের দরজা তাঁর জন্য খুলে যাবে। মিস ইউনিভার্স ওয়েবসাইট অনুসারে, আর’বনি চান, নারী ও অল্পবয়সী মেয়েরা যেন তাঁর মধ্যে নিজেকে দেখতে পান। তিনি যাঁদের অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন, তাঁরা যেন তাঁদের নিজস্বতাকে প্রাধান্য দিয়ে লক্ষ্য জয় করতে উদ্বুদ্ধ হন। যদিও তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন, গ্যাব্রিয়েল তাঁর ঐতিহ্যকে বাতিল করার মতো মানুষ নন। তিনি প্রায়ই তাঁর সৃষ্টিতে ফিলিপাইনের সাংস্কৃতিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করেন তাঁর বংশের প্রতি সম্মান হিসেবে।
আর’বনি গ্যাব্রিয়েলের কিছু ডিজাইনক্ল্যাসিক বাটারফ্লাই হাতা গ্যাব্রিয়েলকে এ বছরের শুরুর দিকেই ইনস্টাগ্রামে ওপরে কালো বডিসহ ধবধবে সাদা একটি হাই নেক টারনো পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অত্যন্ত ক্লাসি লুকের এ পোশাকটি ডিজাইন করার সঙ্গে সঙ্গে তৈরিও নিজ হাতে করেছিলেন তিনি।
আধুনিক মারিয়া ক্লারা
মিস ইউএসএর এক ইভেন্টে গ্যাব্রিয়েল সিলুয়েট দিয়ে একটি লুক তৈরি করেছিলেন, যা ফিলিপিনোরা সহজেই চিনতে পারবে। এই লুকের সঙ্গের ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘এ পোশাকটি আমি আমার মা-বাবার কথা বিবেচনায় রেখে ডিজাইন করেছি। আমার মায়ের বিয়ের পোশাকের ফুলের প্যাটার্ন এবং ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী মারিয়া ক্লারা কলার একসূত্রে বেঁধে।’
অ্যাসিমেট্রিক টারনো জাম্পস্যুট
ফিলিপাইনের সৌন্দর্য হলো এর বহুমুখিতা। টারনো ধাঁচের পোশাকে গ্যাব্রিয়েল নিজস্বতা নিয়ে এসেছেন ওয়ান শোল্ডারড কালো জাম্পস্যুটে হট পিংক রঙের বর্ডার দিয়ে এবং পোশাকটিতে একই রঙের বাটারফ্লাই হাতা সেলাই করে।
সূত্র: ভোগ
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে