যত্নআত্তি

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যেভাবে গাছ বাঁচাবেন

শফিকুর রহমান
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭: ৪৭
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৩৪
Thumbnail image
ছবি: আজকের পত্রিকা

শখের বশে বাসার বেলকনি বা ছাদে যাঁরা সবজির চাষ করেন, তাঁদের অন্যতম সমস্যা ভাইরাসের আক্রমণ। এটি হলে অনেক সময় পুরো ব্যাপারটা বুঝে ওঠার আগেই গাছ মরে যায়। আবার অনেকে একে ভাবেন ছত্রাকের আক্রমণ। আদতে তা নয়।

গাছে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর কোনো ওষুধ নেই। ফলে এই সংক্রমণ রোধে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য গাছের আশপাশে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। পোকার ওষুধ দিলে সাময়িক সুবিধা পেলেও তা আবার ফিরে আসে। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মতো নয়। ফলে একবার একটি গাছের কোথাও সংক্রমণ হলে এরা ধীরে ধীরে পুরো গাছে ছড়িয়ে পড়ে।

গাছে ভাইরাস নিয়ে আসে জাব পোকা, সাদা মাছি, দইয়ের পোকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে কীটনাশক দিতে হবে।

গাছের প্রজাতি নির্বাচনের সময় ভাইরাস সহনশীল প্রজাতি গাছের চারা বেছে নিতে হবে। পাশের জমি বা বাগানে ভাইরাস সংক্রমণ করলে সতর্কভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভাইরাসে আক্রান্ত গাছ মাটিতে পুঁতে কিংবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। উন্মুক্ত জায়গায় ফেলা যাবে না। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত গাছ কেটে সেই কাঁচি দিয়ে অন্য গাছ কাটা যাবে না।

ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গাছের পাতা হলুদ হয়ে পাতা কুঁকড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া পাতা ছাই রঙের

হতে পারে।

কীটনাশক

শুরু থেকে নিমপাতার তৈরি কীটনাশক গাছে স্প্রে করুন। এটি অতিরিক্ত তিতা হওয়ায় পোকা অপছন্দ করে। হোমিও ওষুধ কালমেঘ মাদার এক লিটার পানিতে দুই মিলিলিটার গুলে স্প্রে করতে পারেন। এ ছাড়া এডমেয়ার বা ইমটাফ (ইমিডাক্লোপিড গ্রুপ), একতারা (থায়ামেটাক্সম), উলালা, সলেমান, ডেলিগেট, নাইট্রো, ট্রাপ (জৈব), মুভেন্ট কিংবা সবিক্রন নামের ওষুধগুলোর যেকোনো একটি সাত দিনে একবার স্প্রে করুন। মনে রাখবেন, পরিমিত কীটনাশক ব্যবহার করলে সবজি বিষযুক্ত হয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত