
বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবারের উপাদানগুলো সম্পর্কে।
জাফরান
জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলার একটি। প্রতি আউন্স জাফরানের দাম স্বর্ণের দামের চেয়েও বেশি। এ জন্য জাফরানকে ‘লাল স্বর্ণ’ নামে ডাকা হয়। জাফরান মূলত একটি ফুলের গর্ভমুণ্ড। এটি সাধারণত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় রঙিন করতে। সেই সঙ্গে ছড়ায় দারুণ সুবাস। যদি ওজনের তুলনা করা হয়, নিঃসন্দেহে এটি স্বর্ণের চেয়ে দামি।
কিন্তু কেন জাফরানের দাম এত বেশি? কারণ, যেই ফুল থেকে এই জাফরান সংগ্রহ করা হয়, শরৎকালের শুরুতে সেটি মাত্র এক সপ্তাহের জন্য ফোটে। একটি ফুলে মাত্র তিনটি গর্ভমুণ্ড থাকে। খালি হাতে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করতে হয়। এক কিলোগ্রাম জাফরান সংগ্রহ করতে অন্তত দুটি ফুটবল পিচের সমান জায়গায় এই ফুলের চাষ করতে হয়। এক কেজিতে দরকার হয় প্রায় তিন লাখ ফুল।
ক্যাভিয়ার
ক্যাভিয়ার খুবই দামি একটি খাবার। এটি আসলে একধরনের সামুদ্রিক মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের একটি বলে গণ্য করা হয় এই ডিমকে। ক্যাভিয়ার সংগ্রহ করে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করার কাজটি খুবই দুরূহ। তা ছাড়া ক্যাভিয়ার খুবই বিরল।
সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে বেলুজা স্টার্জেন মাছ থেকে। কেবল কাস্পিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরে এই মাছ পাওয়া যায়। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। একটি বেলুজা স্টার্জেন পূর্ণবয়স্ক হতে সময় লাগে প্রায় দুই দশক অর্থাৎ ২০ বছর! এরপর এই মাছ ডিম পাড়তে পারে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে এক কিলোগ্রাম অ্যালবিনো ক্যাভিয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৪ হাজার ৫০০ ডলার।
ঝিনুক
অয়েস্টার বা ঝিনুক এখন বিলাসী বা ধনীদের খাবার হিসেবে বিবেচিত হলেও আগে কিন্তু তা ছিল না। উনিশ শতকের শুরুতে ঝিনুক ছিল খুব সস্তা। উপকূলীয় এলাকার শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম প্রধান খাবার ছিল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত ঝিনুক আহরণ ও দূষণের কারণে ঝিনুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ফলে বেড়ে গেছে এর দাম। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় ঝিনুক। যেমন লন্ডনের কোনো দামি রেস্তোরাঁয় এক ডজন ঝিনুক খেতে অন্তত ৫১ পাউন্ড খরচ করতে হবে আপনাকে।
সাদা ট্রাফল
সাদা ট্রাফল বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ছত্রাকগুলোর একটি। এটি জন্মায় গাছের শিকড়ে। তা-ও আবার কেবল উত্তর ইতালির পাইডমন্ট অঞ্চলের কিছু গাছে। সাদা ট্রাফলের চাষ করা যায় না। অনেকে এই ট্রাফলের চাষ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই এর দাম এত বেশি। সাদা ট্রাফলের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ সুগন্ধ। ম্যাকাওয়ের এক ক্যাসিনোর মালিক একটি সাদা ট্রাফলের জন্য ২০০৭ সালে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। ট্রাফলটির ওজন ছিল দেড় কেজি। মাটির নিচে জন্মানো সামান্য(!) ছত্রাকের এমন চড়া মূল্য একটু বেশিই বলতে হয়।
ওয়াগইউ বিফ
ওয়াগইউ বিফ হলো জাপানের বিশেষ জাতের গরুর মাংস। চার জাতের জাপানি গরুর যেকোনোটি থেকেই আসতে পারে এই মাংস। ওয়াগইউ মাংসের পরতে পরতে থাকে চর্বি। রান্নার সময় চর্বি গলে মাংসে মিশে যায়। ফলে মাংস হয় খুবই নরম। মুখে দিলে মনে হবে যেন গলে যাচ্ছে!
ওয়াগইউ মাংসের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরু লালন-পালনে খরচ অনেক। গরুগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে পালন করতে হয়। বাছুরগুলোকে শুরু থেকেই বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া হাত দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করতে হয়।
জাপানে সবচেয়ে দামি ওয়াগইউ মাংস হচ্ছে ‘কোবে বিফ’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ পাউন্ড। এই মাংসের স্টেকের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কোপি লুয়াক কফি
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির তালিকায় শীর্ষে কোপি লুয়াক। এই কফির দাম প্রতি কেজি ৭০০ ডলার। যে কফি বিন থেকে এটি তৈরি হয়, সেই বিনগুলোকে পাম সিভেটকে (একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী) খাওয়ানো হয়। কফি বিনগুলো পাম সিভেট খাওয়ার পর সেগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিডে জারিত হয়। এরপর মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে কফি বিন। সেই বিন থেকে তৈরি হয় কফি।
এই প্রক্রিয়া জানার পরও অনেকের প্রিয় কফির তালিকায় রয়েছে কোপি লুয়াক। এই কফির ভক্তদের দাবি, সিভেটের পেটেই আসলে এই কফির সঙ্গে যুক্ত হয় ভিন্ন স্বাদ।
মুজ চিজ
চিজ বা পনির সব দেশেই দামি দুগ্ধজাত পণ্যের একটি। তবে এর মধ্যে মুজ বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের পনির। এটি মুজের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। কেবল সুইডেনে মুজ পনির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতি কেজি মুজ পনিরের দাম প্রায় এক হাজার ডলার।
মুজ হলো হরিণজাতীয় একটি প্রাণী। উত্তর আমেরিকায় এ প্রজাতির প্রাণীকে বলে মুজ, আর ইউরেশিয়া (রাশিয়া অন্যতম) অঞ্চলে বলে এলক। রাশিয়া, সুইডেন ও কানাডাতে দুধের জন্য মুজের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে।
মুজ পনির তৈরি মোটেই সহজ কাজ নয়, তাই এর দাম এত বেশি। সুইডেনে ‘দ্য এলক হাউস’ ফার্ম নামে একটি খামার পরিচালনা করেন দুই বোন। এই খামার মুজ পনিরের বৃহত্তম ও প্রধান উৎপাদক।
ফোয়ে গ্রা
ফোয়ে গ্রা বেশ দামি একটি খাবার। এটি মূলত হাঁস বা রাজহাঁসের লিভার (কলিজা) দিয়ে তৈরি করা হয়। এর বিশেষত্ব হলো হাঁসের কলিজা স্বাভাবিক আকারের চাইতে প্রায় দশ গুণ পর্যন্ত বড় করা হয়। যারা ফোয়ে গ্রা খাবারের ভক্ত, তাঁরা অনেক খরচ করতে রাজি। তবে মানুষের এই লোভের করুণ বলি হচ্ছে হাঁস।
বিশেষ এই খাবার তৈরির জন্য হাঁস বা রাজহাঁসকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। কলিজা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বড় করতে গলা দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে জোর করে খাবার খাওয়ানো হয়। মূলত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গেলানো হয় হাঁসগুলোকে। এরপর প্রক্রিয়াজাত কলিজা টিনজাত করে বিক্রি করা হয়।
অবশ্য হাঁসের প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে কয়েক হাজার বছর ধরে চলা এই প্রথার বিরুদ্ধে এখন অনেক দেশে আইন করা হয়েছে।
কালো তরমুজ
বিশ্বের দামি খাবারের মধ্যে ডেনসুক ব্ল্যাক ওয়াটার মেলন একটি। এটি বিশেষ প্রজাতির তরমুজ। যার একটির দাম ছয় হাজার ডলারের বেশি। এটি কেবল জাপানে উৎপাদিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মনে করা হয় কালো ডেনসুক মেলনকে। এই তরমুজ এত ব্যয়বহুল যে এগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। ঐতিহ্যগতভাবে জাপানিদের বিয়ের একটি মূল্যবান উপহার হিসেবে দেওয়া হয় কালো তরমুজ।
বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে তামান্না-ই-জাহান

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবারের উপাদানগুলো সম্পর্কে।
জাফরান
জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলার একটি। প্রতি আউন্স জাফরানের দাম স্বর্ণের দামের চেয়েও বেশি। এ জন্য জাফরানকে ‘লাল স্বর্ণ’ নামে ডাকা হয়। জাফরান মূলত একটি ফুলের গর্ভমুণ্ড। এটি সাধারণত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় রঙিন করতে। সেই সঙ্গে ছড়ায় দারুণ সুবাস। যদি ওজনের তুলনা করা হয়, নিঃসন্দেহে এটি স্বর্ণের চেয়ে দামি।
কিন্তু কেন জাফরানের দাম এত বেশি? কারণ, যেই ফুল থেকে এই জাফরান সংগ্রহ করা হয়, শরৎকালের শুরুতে সেটি মাত্র এক সপ্তাহের জন্য ফোটে। একটি ফুলে মাত্র তিনটি গর্ভমুণ্ড থাকে। খালি হাতে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করতে হয়। এক কিলোগ্রাম জাফরান সংগ্রহ করতে অন্তত দুটি ফুটবল পিচের সমান জায়গায় এই ফুলের চাষ করতে হয়। এক কেজিতে দরকার হয় প্রায় তিন লাখ ফুল।
ক্যাভিয়ার
ক্যাভিয়ার খুবই দামি একটি খাবার। এটি আসলে একধরনের সামুদ্রিক মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের একটি বলে গণ্য করা হয় এই ডিমকে। ক্যাভিয়ার সংগ্রহ করে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করার কাজটি খুবই দুরূহ। তা ছাড়া ক্যাভিয়ার খুবই বিরল।
সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে বেলুজা স্টার্জেন মাছ থেকে। কেবল কাস্পিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরে এই মাছ পাওয়া যায়। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। একটি বেলুজা স্টার্জেন পূর্ণবয়স্ক হতে সময় লাগে প্রায় দুই দশক অর্থাৎ ২০ বছর! এরপর এই মাছ ডিম পাড়তে পারে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে এক কিলোগ্রাম অ্যালবিনো ক্যাভিয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৪ হাজার ৫০০ ডলার।
ঝিনুক
অয়েস্টার বা ঝিনুক এখন বিলাসী বা ধনীদের খাবার হিসেবে বিবেচিত হলেও আগে কিন্তু তা ছিল না। উনিশ শতকের শুরুতে ঝিনুক ছিল খুব সস্তা। উপকূলীয় এলাকার শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম প্রধান খাবার ছিল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত ঝিনুক আহরণ ও দূষণের কারণে ঝিনুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ফলে বেড়ে গেছে এর দাম। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় ঝিনুক। যেমন লন্ডনের কোনো দামি রেস্তোরাঁয় এক ডজন ঝিনুক খেতে অন্তত ৫১ পাউন্ড খরচ করতে হবে আপনাকে।
সাদা ট্রাফল
সাদা ট্রাফল বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ছত্রাকগুলোর একটি। এটি জন্মায় গাছের শিকড়ে। তা-ও আবার কেবল উত্তর ইতালির পাইডমন্ট অঞ্চলের কিছু গাছে। সাদা ট্রাফলের চাষ করা যায় না। অনেকে এই ট্রাফলের চাষ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই এর দাম এত বেশি। সাদা ট্রাফলের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ সুগন্ধ। ম্যাকাওয়ের এক ক্যাসিনোর মালিক একটি সাদা ট্রাফলের জন্য ২০০৭ সালে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। ট্রাফলটির ওজন ছিল দেড় কেজি। মাটির নিচে জন্মানো সামান্য(!) ছত্রাকের এমন চড়া মূল্য একটু বেশিই বলতে হয়।
ওয়াগইউ বিফ
ওয়াগইউ বিফ হলো জাপানের বিশেষ জাতের গরুর মাংস। চার জাতের জাপানি গরুর যেকোনোটি থেকেই আসতে পারে এই মাংস। ওয়াগইউ মাংসের পরতে পরতে থাকে চর্বি। রান্নার সময় চর্বি গলে মাংসে মিশে যায়। ফলে মাংস হয় খুবই নরম। মুখে দিলে মনে হবে যেন গলে যাচ্ছে!
ওয়াগইউ মাংসের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরু লালন-পালনে খরচ অনেক। গরুগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে পালন করতে হয়। বাছুরগুলোকে শুরু থেকেই বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া হাত দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করতে হয়।
জাপানে সবচেয়ে দামি ওয়াগইউ মাংস হচ্ছে ‘কোবে বিফ’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ পাউন্ড। এই মাংসের স্টেকের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কোপি লুয়াক কফি
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির তালিকায় শীর্ষে কোপি লুয়াক। এই কফির দাম প্রতি কেজি ৭০০ ডলার। যে কফি বিন থেকে এটি তৈরি হয়, সেই বিনগুলোকে পাম সিভেটকে (একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী) খাওয়ানো হয়। কফি বিনগুলো পাম সিভেট খাওয়ার পর সেগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিডে জারিত হয়। এরপর মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে কফি বিন। সেই বিন থেকে তৈরি হয় কফি।
এই প্রক্রিয়া জানার পরও অনেকের প্রিয় কফির তালিকায় রয়েছে কোপি লুয়াক। এই কফির ভক্তদের দাবি, সিভেটের পেটেই আসলে এই কফির সঙ্গে যুক্ত হয় ভিন্ন স্বাদ।
মুজ চিজ
চিজ বা পনির সব দেশেই দামি দুগ্ধজাত পণ্যের একটি। তবে এর মধ্যে মুজ বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের পনির। এটি মুজের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। কেবল সুইডেনে মুজ পনির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতি কেজি মুজ পনিরের দাম প্রায় এক হাজার ডলার।
মুজ হলো হরিণজাতীয় একটি প্রাণী। উত্তর আমেরিকায় এ প্রজাতির প্রাণীকে বলে মুজ, আর ইউরেশিয়া (রাশিয়া অন্যতম) অঞ্চলে বলে এলক। রাশিয়া, সুইডেন ও কানাডাতে দুধের জন্য মুজের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে।
মুজ পনির তৈরি মোটেই সহজ কাজ নয়, তাই এর দাম এত বেশি। সুইডেনে ‘দ্য এলক হাউস’ ফার্ম নামে একটি খামার পরিচালনা করেন দুই বোন। এই খামার মুজ পনিরের বৃহত্তম ও প্রধান উৎপাদক।
ফোয়ে গ্রা
ফোয়ে গ্রা বেশ দামি একটি খাবার। এটি মূলত হাঁস বা রাজহাঁসের লিভার (কলিজা) দিয়ে তৈরি করা হয়। এর বিশেষত্ব হলো হাঁসের কলিজা স্বাভাবিক আকারের চাইতে প্রায় দশ গুণ পর্যন্ত বড় করা হয়। যারা ফোয়ে গ্রা খাবারের ভক্ত, তাঁরা অনেক খরচ করতে রাজি। তবে মানুষের এই লোভের করুণ বলি হচ্ছে হাঁস।
বিশেষ এই খাবার তৈরির জন্য হাঁস বা রাজহাঁসকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। কলিজা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বড় করতে গলা দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে জোর করে খাবার খাওয়ানো হয়। মূলত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গেলানো হয় হাঁসগুলোকে। এরপর প্রক্রিয়াজাত কলিজা টিনজাত করে বিক্রি করা হয়।
অবশ্য হাঁসের প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে কয়েক হাজার বছর ধরে চলা এই প্রথার বিরুদ্ধে এখন অনেক দেশে আইন করা হয়েছে।
কালো তরমুজ
বিশ্বের দামি খাবারের মধ্যে ডেনসুক ব্ল্যাক ওয়াটার মেলন একটি। এটি বিশেষ প্রজাতির তরমুজ। যার একটির দাম ছয় হাজার ডলারের বেশি। এটি কেবল জাপানে উৎপাদিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মনে করা হয় কালো ডেনসুক মেলনকে। এই তরমুজ এত ব্যয়বহুল যে এগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। ঐতিহ্যগতভাবে জাপানিদের বিয়ের একটি মূল্যবান উপহার হিসেবে দেওয়া হয় কালো তরমুজ।
বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে তামান্না-ই-জাহান

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবারের উপাদানগুলো সম্পর্কে।
জাফরান
জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলার একটি। প্রতি আউন্স জাফরানের দাম স্বর্ণের দামের চেয়েও বেশি। এ জন্য জাফরানকে ‘লাল স্বর্ণ’ নামে ডাকা হয়। জাফরান মূলত একটি ফুলের গর্ভমুণ্ড। এটি সাধারণত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় রঙিন করতে। সেই সঙ্গে ছড়ায় দারুণ সুবাস। যদি ওজনের তুলনা করা হয়, নিঃসন্দেহে এটি স্বর্ণের চেয়ে দামি।
কিন্তু কেন জাফরানের দাম এত বেশি? কারণ, যেই ফুল থেকে এই জাফরান সংগ্রহ করা হয়, শরৎকালের শুরুতে সেটি মাত্র এক সপ্তাহের জন্য ফোটে। একটি ফুলে মাত্র তিনটি গর্ভমুণ্ড থাকে। খালি হাতে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করতে হয়। এক কিলোগ্রাম জাফরান সংগ্রহ করতে অন্তত দুটি ফুটবল পিচের সমান জায়গায় এই ফুলের চাষ করতে হয়। এক কেজিতে দরকার হয় প্রায় তিন লাখ ফুল।
ক্যাভিয়ার
ক্যাভিয়ার খুবই দামি একটি খাবার। এটি আসলে একধরনের সামুদ্রিক মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের একটি বলে গণ্য করা হয় এই ডিমকে। ক্যাভিয়ার সংগ্রহ করে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করার কাজটি খুবই দুরূহ। তা ছাড়া ক্যাভিয়ার খুবই বিরল।
সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে বেলুজা স্টার্জেন মাছ থেকে। কেবল কাস্পিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরে এই মাছ পাওয়া যায়। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। একটি বেলুজা স্টার্জেন পূর্ণবয়স্ক হতে সময় লাগে প্রায় দুই দশক অর্থাৎ ২০ বছর! এরপর এই মাছ ডিম পাড়তে পারে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে এক কিলোগ্রাম অ্যালবিনো ক্যাভিয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৪ হাজার ৫০০ ডলার।
ঝিনুক
অয়েস্টার বা ঝিনুক এখন বিলাসী বা ধনীদের খাবার হিসেবে বিবেচিত হলেও আগে কিন্তু তা ছিল না। উনিশ শতকের শুরুতে ঝিনুক ছিল খুব সস্তা। উপকূলীয় এলাকার শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম প্রধান খাবার ছিল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত ঝিনুক আহরণ ও দূষণের কারণে ঝিনুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ফলে বেড়ে গেছে এর দাম। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় ঝিনুক। যেমন লন্ডনের কোনো দামি রেস্তোরাঁয় এক ডজন ঝিনুক খেতে অন্তত ৫১ পাউন্ড খরচ করতে হবে আপনাকে।
সাদা ট্রাফল
সাদা ট্রাফল বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ছত্রাকগুলোর একটি। এটি জন্মায় গাছের শিকড়ে। তা-ও আবার কেবল উত্তর ইতালির পাইডমন্ট অঞ্চলের কিছু গাছে। সাদা ট্রাফলের চাষ করা যায় না। অনেকে এই ট্রাফলের চাষ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই এর দাম এত বেশি। সাদা ট্রাফলের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ সুগন্ধ। ম্যাকাওয়ের এক ক্যাসিনোর মালিক একটি সাদা ট্রাফলের জন্য ২০০৭ সালে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। ট্রাফলটির ওজন ছিল দেড় কেজি। মাটির নিচে জন্মানো সামান্য(!) ছত্রাকের এমন চড়া মূল্য একটু বেশিই বলতে হয়।
ওয়াগইউ বিফ
ওয়াগইউ বিফ হলো জাপানের বিশেষ জাতের গরুর মাংস। চার জাতের জাপানি গরুর যেকোনোটি থেকেই আসতে পারে এই মাংস। ওয়াগইউ মাংসের পরতে পরতে থাকে চর্বি। রান্নার সময় চর্বি গলে মাংসে মিশে যায়। ফলে মাংস হয় খুবই নরম। মুখে দিলে মনে হবে যেন গলে যাচ্ছে!
ওয়াগইউ মাংসের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরু লালন-পালনে খরচ অনেক। গরুগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে পালন করতে হয়। বাছুরগুলোকে শুরু থেকেই বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া হাত দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করতে হয়।
জাপানে সবচেয়ে দামি ওয়াগইউ মাংস হচ্ছে ‘কোবে বিফ’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ পাউন্ড। এই মাংসের স্টেকের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কোপি লুয়াক কফি
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির তালিকায় শীর্ষে কোপি লুয়াক। এই কফির দাম প্রতি কেজি ৭০০ ডলার। যে কফি বিন থেকে এটি তৈরি হয়, সেই বিনগুলোকে পাম সিভেটকে (একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী) খাওয়ানো হয়। কফি বিনগুলো পাম সিভেট খাওয়ার পর সেগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিডে জারিত হয়। এরপর মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে কফি বিন। সেই বিন থেকে তৈরি হয় কফি।
এই প্রক্রিয়া জানার পরও অনেকের প্রিয় কফির তালিকায় রয়েছে কোপি লুয়াক। এই কফির ভক্তদের দাবি, সিভেটের পেটেই আসলে এই কফির সঙ্গে যুক্ত হয় ভিন্ন স্বাদ।
মুজ চিজ
চিজ বা পনির সব দেশেই দামি দুগ্ধজাত পণ্যের একটি। তবে এর মধ্যে মুজ বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের পনির। এটি মুজের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। কেবল সুইডেনে মুজ পনির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতি কেজি মুজ পনিরের দাম প্রায় এক হাজার ডলার।
মুজ হলো হরিণজাতীয় একটি প্রাণী। উত্তর আমেরিকায় এ প্রজাতির প্রাণীকে বলে মুজ, আর ইউরেশিয়া (রাশিয়া অন্যতম) অঞ্চলে বলে এলক। রাশিয়া, সুইডেন ও কানাডাতে দুধের জন্য মুজের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে।
মুজ পনির তৈরি মোটেই সহজ কাজ নয়, তাই এর দাম এত বেশি। সুইডেনে ‘দ্য এলক হাউস’ ফার্ম নামে একটি খামার পরিচালনা করেন দুই বোন। এই খামার মুজ পনিরের বৃহত্তম ও প্রধান উৎপাদক।
ফোয়ে গ্রা
ফোয়ে গ্রা বেশ দামি একটি খাবার। এটি মূলত হাঁস বা রাজহাঁসের লিভার (কলিজা) দিয়ে তৈরি করা হয়। এর বিশেষত্ব হলো হাঁসের কলিজা স্বাভাবিক আকারের চাইতে প্রায় দশ গুণ পর্যন্ত বড় করা হয়। যারা ফোয়ে গ্রা খাবারের ভক্ত, তাঁরা অনেক খরচ করতে রাজি। তবে মানুষের এই লোভের করুণ বলি হচ্ছে হাঁস।
বিশেষ এই খাবার তৈরির জন্য হাঁস বা রাজহাঁসকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। কলিজা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বড় করতে গলা দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে জোর করে খাবার খাওয়ানো হয়। মূলত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গেলানো হয় হাঁসগুলোকে। এরপর প্রক্রিয়াজাত কলিজা টিনজাত করে বিক্রি করা হয়।
অবশ্য হাঁসের প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে কয়েক হাজার বছর ধরে চলা এই প্রথার বিরুদ্ধে এখন অনেক দেশে আইন করা হয়েছে।
কালো তরমুজ
বিশ্বের দামি খাবারের মধ্যে ডেনসুক ব্ল্যাক ওয়াটার মেলন একটি। এটি বিশেষ প্রজাতির তরমুজ। যার একটির দাম ছয় হাজার ডলারের বেশি। এটি কেবল জাপানে উৎপাদিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মনে করা হয় কালো ডেনসুক মেলনকে। এই তরমুজ এত ব্যয়বহুল যে এগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। ঐতিহ্যগতভাবে জাপানিদের বিয়ের একটি মূল্যবান উপহার হিসেবে দেওয়া হয় কালো তরমুজ।
বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে তামান্না-ই-জাহান

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবারের উপাদানগুলো সম্পর্কে।
জাফরান
জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলার একটি। প্রতি আউন্স জাফরানের দাম স্বর্ণের দামের চেয়েও বেশি। এ জন্য জাফরানকে ‘লাল স্বর্ণ’ নামে ডাকা হয়। জাফরান মূলত একটি ফুলের গর্ভমুণ্ড। এটি সাধারণত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় রঙিন করতে। সেই সঙ্গে ছড়ায় দারুণ সুবাস। যদি ওজনের তুলনা করা হয়, নিঃসন্দেহে এটি স্বর্ণের চেয়ে দামি।
কিন্তু কেন জাফরানের দাম এত বেশি? কারণ, যেই ফুল থেকে এই জাফরান সংগ্রহ করা হয়, শরৎকালের শুরুতে সেটি মাত্র এক সপ্তাহের জন্য ফোটে। একটি ফুলে মাত্র তিনটি গর্ভমুণ্ড থাকে। খালি হাতে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করতে হয়। এক কিলোগ্রাম জাফরান সংগ্রহ করতে অন্তত দুটি ফুটবল পিচের সমান জায়গায় এই ফুলের চাষ করতে হয়। এক কেজিতে দরকার হয় প্রায় তিন লাখ ফুল।
ক্যাভিয়ার
ক্যাভিয়ার খুবই দামি একটি খাবার। এটি আসলে একধরনের সামুদ্রিক মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের একটি বলে গণ্য করা হয় এই ডিমকে। ক্যাভিয়ার সংগ্রহ করে প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করার কাজটি খুবই দুরূহ। তা ছাড়া ক্যাভিয়ার খুবই বিরল।
সবচেয়ে বিখ্যাত ক্যাভিয়ার আসে বেলুজা স্টার্জেন মাছ থেকে। কেবল কাস্পিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরে এই মাছ পাওয়া যায়। এটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। একটি বেলুজা স্টার্জেন পূর্ণবয়স্ক হতে সময় লাগে প্রায় দুই দশক অর্থাৎ ২০ বছর! এরপর এই মাছ ডিম পাড়তে পারে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে এক কিলোগ্রাম অ্যালবিনো ক্যাভিয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৩৪ হাজার ৫০০ ডলার।
ঝিনুক
অয়েস্টার বা ঝিনুক এখন বিলাসী বা ধনীদের খাবার হিসেবে বিবেচিত হলেও আগে কিন্তু তা ছিল না। উনিশ শতকের শুরুতে ঝিনুক ছিল খুব সস্তা। উপকূলীয় এলাকার শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম প্রধান খাবার ছিল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত ঝিনুক আহরণ ও দূষণের কারণে ঝিনুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ফলে বেড়ে গেছে এর দাম। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় ঝিনুক। যেমন লন্ডনের কোনো দামি রেস্তোরাঁয় এক ডজন ঝিনুক খেতে অন্তত ৫১ পাউন্ড খরচ করতে হবে আপনাকে।
সাদা ট্রাফল
সাদা ট্রাফল বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ছত্রাকগুলোর একটি। এটি জন্মায় গাছের শিকড়ে। তা-ও আবার কেবল উত্তর ইতালির পাইডমন্ট অঞ্চলের কিছু গাছে। সাদা ট্রাফলের চাষ করা যায় না। অনেকে এই ট্রাফলের চাষ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই এর দাম এত বেশি। সাদা ট্রাফলের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ সুগন্ধ। ম্যাকাওয়ের এক ক্যাসিনোর মালিক একটি সাদা ট্রাফলের জন্য ২০০৭ সালে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। ট্রাফলটির ওজন ছিল দেড় কেজি। মাটির নিচে জন্মানো সামান্য(!) ছত্রাকের এমন চড়া মূল্য একটু বেশিই বলতে হয়।
ওয়াগইউ বিফ
ওয়াগইউ বিফ হলো জাপানের বিশেষ জাতের গরুর মাংস। চার জাতের জাপানি গরুর যেকোনোটি থেকেই আসতে পারে এই মাংস। ওয়াগইউ মাংসের পরতে পরতে থাকে চর্বি। রান্নার সময় চর্বি গলে মাংসে মিশে যায়। ফলে মাংস হয় খুবই নরম। মুখে দিলে মনে হবে যেন গলে যাচ্ছে!
ওয়াগইউ মাংসের দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরু লালন-পালনে খরচ অনেক। গরুগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে পালন করতে হয়। বাছুরগুলোকে শুরু থেকেই বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া হাত দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করতে হয়।
জাপানে সবচেয়ে দামি ওয়াগইউ মাংস হচ্ছে ‘কোবে বিফ’। প্রতি কেজির দাম ৫০০ পাউন্ড। এই মাংসের স্টেকের দাম কয়েক হাজার ডলার।
কোপি লুয়াক কফি
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির তালিকায় শীর্ষে কোপি লুয়াক। এই কফির দাম প্রতি কেজি ৭০০ ডলার। যে কফি বিন থেকে এটি তৈরি হয়, সেই বিনগুলোকে পাম সিভেটকে (একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী) খাওয়ানো হয়। কফি বিনগুলো পাম সিভেট খাওয়ার পর সেগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিডে জারিত হয়। এরপর মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে কফি বিন। সেই বিন থেকে তৈরি হয় কফি।
এই প্রক্রিয়া জানার পরও অনেকের প্রিয় কফির তালিকায় রয়েছে কোপি লুয়াক। এই কফির ভক্তদের দাবি, সিভেটের পেটেই আসলে এই কফির সঙ্গে যুক্ত হয় ভিন্ন স্বাদ।
মুজ চিজ
চিজ বা পনির সব দেশেই দামি দুগ্ধজাত পণ্যের একটি। তবে এর মধ্যে মুজ বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের পনির। এটি মুজের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। কেবল সুইডেনে মুজ পনির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতি কেজি মুজ পনিরের দাম প্রায় এক হাজার ডলার।
মুজ হলো হরিণজাতীয় একটি প্রাণী। উত্তর আমেরিকায় এ প্রজাতির প্রাণীকে বলে মুজ, আর ইউরেশিয়া (রাশিয়া অন্যতম) অঞ্চলে বলে এলক। রাশিয়া, সুইডেন ও কানাডাতে দুধের জন্য মুজের বাণিজ্যিক খামার রয়েছে।
মুজ পনির তৈরি মোটেই সহজ কাজ নয়, তাই এর দাম এত বেশি। সুইডেনে ‘দ্য এলক হাউস’ ফার্ম নামে একটি খামার পরিচালনা করেন দুই বোন। এই খামার মুজ পনিরের বৃহত্তম ও প্রধান উৎপাদক।
ফোয়ে গ্রা
ফোয়ে গ্রা বেশ দামি একটি খাবার। এটি মূলত হাঁস বা রাজহাঁসের লিভার (কলিজা) দিয়ে তৈরি করা হয়। এর বিশেষত্ব হলো হাঁসের কলিজা স্বাভাবিক আকারের চাইতে প্রায় দশ গুণ পর্যন্ত বড় করা হয়। যারা ফোয়ে গ্রা খাবারের ভক্ত, তাঁরা অনেক খরচ করতে রাজি। তবে মানুষের এই লোভের করুণ বলি হচ্ছে হাঁস।
বিশেষ এই খাবার তৈরির জন্য হাঁস বা রাজহাঁসকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। কলিজা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ বড় করতে গলা দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে জোর করে খাবার খাওয়ানো হয়। মূলত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গেলানো হয় হাঁসগুলোকে। এরপর প্রক্রিয়াজাত কলিজা টিনজাত করে বিক্রি করা হয়।
অবশ্য হাঁসের প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে কয়েক হাজার বছর ধরে চলা এই প্রথার বিরুদ্ধে এখন অনেক দেশে আইন করা হয়েছে।
কালো তরমুজ
বিশ্বের দামি খাবারের মধ্যে ডেনসুক ব্ল্যাক ওয়াটার মেলন একটি। এটি বিশেষ প্রজাতির তরমুজ। যার একটির দাম ছয় হাজার ডলারের বেশি। এটি কেবল জাপানে উৎপাদিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল মনে করা হয় কালো ডেনসুক মেলনকে। এই তরমুজ এত ব্যয়বহুল যে এগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। ঐতিহ্যগতভাবে জাপানিদের বিয়ের একটি মূল্যবান উপহার হিসেবে দেওয়া হয় কালো তরমুজ।
বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে তামান্না-ই-জাহান

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবার
২২ এপ্রিল ২০২৩
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবার
২২ এপ্রিল ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবার
২২ এপ্রিল ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

বিশ্বের সেরা স্বাদের ও দামি খাবার নিয়ে ভোজনরসিকদের আগ্রহের অন্ত নেই। অনেকে শুধু খাবার খেতেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে যান। এসব খাবার সাধারণত সহজলভ্য হয় না। তা ছাড়া দামি খাবারগুলো তৈরিতে অনেক সময় সোনা, রুপা এমনকি হিরের ব্যবহারও হয়ে থাকে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার বা খাবার
২২ এপ্রিল ২০২৩
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে