সানজিদা সামরিন, ঢাকা
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। রমজানের এক মাস বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে খাবারের ঘর। পরিবারের সবাই ইফতার ও সেহরির সময় খাবারের টেবিলে জমায়েত হন। রোজার দিনগুলোর জন্য খাবারের ঘরটি কীভাবে আরও সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনমতো সাজিয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে এখন থেকেই ভাবছেন শৌখিন গৃহকর্তা-কর্ত্রীরা। তা ছাড়া বাড়িতে ইফতার পার্টির আয়োজনের দিনগুলোয় ডাইনিং রুম বা খাবারের ঘর আরও পরিপাটি এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ডাইনিং টেবিল
ছোট ঘরে বড় ডাইনিং টেবিল রাখলে চলাচলে সমস্যা হয়। তাই ঘরের আয়তন অনুযায়ী ডাইনিং টেবিল বসাতে হবে। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এবার পাল্টে নিতে পারেন খাবারের টেবিলটা। পরিবারের সদস্যসংখ্যার ওপরও ডাইনিং টেবিলের আকার নির্ভর করে। ছোট পরিবার; যেমন চার সদস্যের পরিবারে চারটি চেয়ার বসানো যেতে পারে। বড় পরিবার হলে টেবিল ও চেয়ারের পাশাপাশি বেঞ্চ রাখলে বেশি মানুষ বসতে পারে। এ ছাড়া বড় ডাইনিং রুমে বুফে, সার্ভিং কার্ট রাখা যেতে পারে। দেশের প্রায় সব শহরে এখন বিভিন্ন আসবাবের শোরুমে সিঙ্গেল ডাইনিং টেবিল বা চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিল সেট কিনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া এখন অনেক অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রেতার চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ধরনের আসবাব তৈরি করে। তাদের কাছ থেকেও প্রয়োজন অনুযায়ী ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার বানিয়ে নিতে পারেন।
দেয়ালে রং করাতে পারেন
খাবার ঘরের আলোকব্যবস্থায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেয়ালে হোয়াইট, অফ হোয়াইট, ট্রপিক্যাল ইয়েলো রং ব্যবহার করলে দিনের বেলায় ঘর উজ্জ্বল দেখাবে। ঘরে যথেষ্ট আলো না থাকলে গাঢ় রং ব্যবহার না করা ভালো। এ ছাড়া দেয়ালে নীল কিংবা সবুজের কোনো শেড ব্যবহার করলে টেবিল বরাবর সিলিং লাইট বা পেন্ডেন্ট লাইট ব্যবহার করা উচিত।
পর্দা বা পার্টিশন থাকতে পারে
এখনকার অধিকাংশ বাসায় ড্রয়িং ও ডাইনিং রুম একসঙ্গে থাকে। আলাদাভাবে রুম দুটি ব্যবহার করতে চাইলে পাতলা পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। পর্দার কাপড় হিসেবে বেছে নিতে পারেন নেট, জর্জেট, মসলিন বা সিল্ক। দেয়ালের রং গাঢ় হলে পর্দার রং হালকা এবং দেয়ালের রং হালকা হলে পর্দার রং গাঢ় হতে পারে। এ ছাড়া অতিথি এলে পার্টিশনের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। বেত, বাঁশ, কাঠ ও কাচের মিশেলে এখন অনেক নান্দনিক পার্টিশন কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো ঘরের চেহারাও অনেকটা পাল্টে দেয়।
ওয়াল ক্যাবিনেট
ডাইনিং রুমে ডিসপ্লে ক্যাবিনেটে বা ওয়াল শেলফ রাখতে পারেন। ঘর ছোট হলে দেয়ালে ক্যাবিনেট করে ক্রোকারিজ রাখতে পারেন। মুড়ি, চিড়া, গুড়, বাদাম, খেজুর ইত্যাদি খাবারও এই ক্যাবিনেটে সাজিয়ে রাখা যায়। এতে ঘরের জায়গা বাঁচবে। ইদানীং ডাইনিং রুমের দেয়ালে সিরামিক প্লেট ও অ্যান্টিক সেট করার চল শুরু হয়েছে। ঘর সুন্দর দেখাতে এভাবে দেয়াল সাজাতে পারেন। তা ছাড়া শোভা পেতে পারে ছোট-বড় ছবির ফ্রেম।
টেবিলের শোভা বাড়াতে
ডাইনিং টেবিলে কুসি-কাঁটা বা গ্রামীণ চেকের টেবিল ক্লথ ব্যবহারের চল শুরু হয়েছে আবারও। অনেকে আবার ফ্লোরাল মোটিফের সুতির টেবিল ক্লথ ব্যবহার করেন। তবে এগুলোর ওপরে অবশ্যই স্বচ্ছ প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করতে হবে। সেটি
করা না হলে তেল-ঝোল পড়ে সেটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডাইনিং টেবিলের শোভা বাড়াতে রাখতে পারেন ফুল ও ফলের ঝুড়ি। একটা সুন্দর জগ এবং গ্লাস রাখার স্ট্যান্ড থাকতে পারে। এ ছাড়া সাজিয়ে রাখার জন্য রাখা যেতে পারে সুন্দর লবণদানি। ডাইনিং টেবিল যদি দেয়ালঘেঁষা হয়, তাহলে সেই দেয়ালে রঙিন মগ ও ক্রোকারিজ সাজিয়ে রাখতে পারেন।
সূত্র: হাউস ডটকম
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। রমজানের এক মাস বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে খাবারের ঘর। পরিবারের সবাই ইফতার ও সেহরির সময় খাবারের টেবিলে জমায়েত হন। রোজার দিনগুলোর জন্য খাবারের ঘরটি কীভাবে আরও সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনমতো সাজিয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে এখন থেকেই ভাবছেন শৌখিন গৃহকর্তা-কর্ত্রীরা। তা ছাড়া বাড়িতে ইফতার পার্টির আয়োজনের দিনগুলোয় ডাইনিং রুম বা খাবারের ঘর আরও পরিপাটি এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ডাইনিং টেবিল
ছোট ঘরে বড় ডাইনিং টেবিল রাখলে চলাচলে সমস্যা হয়। তাই ঘরের আয়তন অনুযায়ী ডাইনিং টেবিল বসাতে হবে। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে এবার পাল্টে নিতে পারেন খাবারের টেবিলটা। পরিবারের সদস্যসংখ্যার ওপরও ডাইনিং টেবিলের আকার নির্ভর করে। ছোট পরিবার; যেমন চার সদস্যের পরিবারে চারটি চেয়ার বসানো যেতে পারে। বড় পরিবার হলে টেবিল ও চেয়ারের পাশাপাশি বেঞ্চ রাখলে বেশি মানুষ বসতে পারে। এ ছাড়া বড় ডাইনিং রুমে বুফে, সার্ভিং কার্ট রাখা যেতে পারে। দেশের প্রায় সব শহরে এখন বিভিন্ন আসবাবের শোরুমে সিঙ্গেল ডাইনিং টেবিল বা চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিল সেট কিনতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া এখন অনেক অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রেতার চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন ধরনের আসবাব তৈরি করে। তাদের কাছ থেকেও প্রয়োজন অনুযায়ী ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার বানিয়ে নিতে পারেন।
দেয়ালে রং করাতে পারেন
খাবার ঘরের আলোকব্যবস্থায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেয়ালে হোয়াইট, অফ হোয়াইট, ট্রপিক্যাল ইয়েলো রং ব্যবহার করলে দিনের বেলায় ঘর উজ্জ্বল দেখাবে। ঘরে যথেষ্ট আলো না থাকলে গাঢ় রং ব্যবহার না করা ভালো। এ ছাড়া দেয়ালে নীল কিংবা সবুজের কোনো শেড ব্যবহার করলে টেবিল বরাবর সিলিং লাইট বা পেন্ডেন্ট লাইট ব্যবহার করা উচিত।
পর্দা বা পার্টিশন থাকতে পারে
এখনকার অধিকাংশ বাসায় ড্রয়িং ও ডাইনিং রুম একসঙ্গে থাকে। আলাদাভাবে রুম দুটি ব্যবহার করতে চাইলে পাতলা পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। পর্দার কাপড় হিসেবে বেছে নিতে পারেন নেট, জর্জেট, মসলিন বা সিল্ক। দেয়ালের রং গাঢ় হলে পর্দার রং হালকা এবং দেয়ালের রং হালকা হলে পর্দার রং গাঢ় হতে পারে। এ ছাড়া অতিথি এলে পার্টিশনের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। বেত, বাঁশ, কাঠ ও কাচের মিশেলে এখন অনেক নান্দনিক পার্টিশন কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো ঘরের চেহারাও অনেকটা পাল্টে দেয়।
ওয়াল ক্যাবিনেট
ডাইনিং রুমে ডিসপ্লে ক্যাবিনেটে বা ওয়াল শেলফ রাখতে পারেন। ঘর ছোট হলে দেয়ালে ক্যাবিনেট করে ক্রোকারিজ রাখতে পারেন। মুড়ি, চিড়া, গুড়, বাদাম, খেজুর ইত্যাদি খাবারও এই ক্যাবিনেটে সাজিয়ে রাখা যায়। এতে ঘরের জায়গা বাঁচবে। ইদানীং ডাইনিং রুমের দেয়ালে সিরামিক প্লেট ও অ্যান্টিক সেট করার চল শুরু হয়েছে। ঘর সুন্দর দেখাতে এভাবে দেয়াল সাজাতে পারেন। তা ছাড়া শোভা পেতে পারে ছোট-বড় ছবির ফ্রেম।
টেবিলের শোভা বাড়াতে
ডাইনিং টেবিলে কুসি-কাঁটা বা গ্রামীণ চেকের টেবিল ক্লথ ব্যবহারের চল শুরু হয়েছে আবারও। অনেকে আবার ফ্লোরাল মোটিফের সুতির টেবিল ক্লথ ব্যবহার করেন। তবে এগুলোর ওপরে অবশ্যই স্বচ্ছ প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করতে হবে। সেটি
করা না হলে তেল-ঝোল পড়ে সেটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডাইনিং টেবিলের শোভা বাড়াতে রাখতে পারেন ফুল ও ফলের ঝুড়ি। একটা সুন্দর জগ এবং গ্লাস রাখার স্ট্যান্ড থাকতে পারে। এ ছাড়া সাজিয়ে রাখার জন্য রাখা যেতে পারে সুন্দর লবণদানি। ডাইনিং টেবিল যদি দেয়ালঘেঁষা হয়, তাহলে সেই দেয়ালে রঙিন মগ ও ক্রোকারিজ সাজিয়ে রাখতে পারেন।
সূত্র: হাউস ডটকম
ইসলামিক সংস্কৃতিতে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য খাবারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে ঈদ উৎসবে কোন বিশেষ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেদাওয়াতে উজ্জ্বল রঙের কাতান, অরগাঞ্জা বা সিল্কের শাড়ি, মানানসই লিপস্টিক, চোখে কাজল ও মাসকারা আর ম্যাচিং গয়না; এইতো, আর কী চাই!
১ দিন আগেবাংলাদেশে সেমাই একটি জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে ঈদ বা উৎসবের সময়। এটি সাধারণত গম থেকে তৈরি ময়দা দিয়ে বানানো হয়। দুধে ভিজিয়ে, ভেজে বা মিষ্টি সিরাপে মিশিয়ে এটি রান্না করা যায়।
২ দিন আগে