জাহাঙ্গীর আলম
গত এপ্রিলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ওই সময় অসহ্য গরমের পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা ছিল কম। ফলে গা জ্বালাপোড়া, নাক জ্বলার মতো সমস্যাও হয়েছে অনেকের। তবে এখন তাপমাত্রার পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতা, ফলে গরমে বেড়েছে অস্বস্তি। গতকাল সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ।
এই গরমে পাকা ঘরে ঘুমানোই কঠিন। যাঁঁদের ঘরে এসি নেই, তাঁরা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। আবার সকালে উঠেই অসহনীয় গরমের মধ্যে জ্যাম ঠেলে যেতে হচ্ছে অফিসে বা বাইরের কোনো কাজে। যাঁরা বাইরে কাজ করেন, সেই কর্মজীবী মানুষ সারা দিন ঘামছেন। শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে পানি ও লবণ। এই পরিস্থিতিতে সচেতন না থাকলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। পানিশূন্যতা তো আছেই, সঙ্গে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকছে।
উত্তর ভারতের কয়েকটি শহরের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেয়। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসও পার হয়ে যায়। উত্তর ভারতে এটি নিয়মিত ঘটনা। সেখানকার মানুষ এই প্রতিকূলতার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। অধিক তাপমাত্রার সময়গুলোতে তাঁরা খাবার ও চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা মেনে চলেন।
বাংলাদেশে টানা এত বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা তেমন নেই। ফলে এখানকার মানুষ একনাগাড়ে কয়েক দিন ৪০ ডিগ্রি বা এর কাছাকাছি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারেন না। ফলে দেখা যায়, এই সময়টায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে বিশেষ করে অসুস্থ শিশুর ভিড় বাড়ে। ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়।
উত্তর ভারতে এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুসখুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্র করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত হিসেবে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্নসহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
জেনে নেওয়া যাক গরমের সঙ্গে লড়াই করতে উত্তর ভারতের মানুষ যা সাধারণত পান করেন, সেগুলোর সহজ রেসিপি:
গোলাপের শরবত
চিনির সিরাপ, গোলাপ ফ্লেভার, গোলাপের পাপড়ি, গোলাপজল, দুধ
প্রণালি
ফ্লেভার ও পাপড়ি চিনির সিরাপে যোগ করে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
গোলাপজল ও দুধ যোগ করুন
গোলাপের শরবত প্রস্তুত
২৪০ মিলিলিটারের গ্লাসে চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে বাকি ঠান্ডা পানি যোগ করুন
ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করে পরিবেশন করুন
সঙ্গে সামান্য লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন।
খুসখুস শরবত
খুসখুস মূলত ভাটিভার। এটি একধরনের ঘাস। সাধারণত নদীতীরবর্তী এলাকায় এই ঘাস জন্মায়।
৩ কাপ পানি
৪ কাপ চিনি
১ টেবিল চামচ খুস এসেন্স (ভাটিভার)
১–২ টেবিল চামচ ফুটগ্রেড সবুজ রং
প্রণালি
পানি ও চিনি পাত্রে নিয়ে সম্পূর্ণ চিনি গুলে যাওয়া পর্যন্ত হালকা জ্বালে নাড়তে থাকুন।
থকথকে ঘন হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন ও নাড়তে থাকুন।
ঘন হওয়া বুঝতে এক ফোঁটা নিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে চাপ দিয়ে ছেড়ে দিন, সুতার মতো হচ্ছে কি না দেখুন।
এবার খুস এসেন্স ও রং মিশিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
শাহ তুঁত শরবত
১ কাপ টাটকা ও পাকা তুঁত ফল (মালবেরি)
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পুদিনাপাতা
২ টেবিল চামচ গুঁড়া চিনি
স্বাদমতো ব্ল্যাক সল্ট
প্রণালি
সব কটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ঠান্ডা পানিসহযোগে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
বরফকুচি সহযোগে পরিবেশন করুন।
বেলের শরবত
উপকরণ
১. বেল ১টি
২. টক দই ১০০ গ্রাম
৩. তেঁতুল সামান্য
৪. লবণ ও চিনি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে ছেঁকে নিন। তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে ক্বাথ বের করে নিন। এরপর বেলের মধ্যে টক দই, লবণ, চিনি ও তেঁতুলের ক্বাথ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
বরফকুচি সহযোগে পরিবেশন করুন। চাইলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
ফালসা শরবত
ফালসা বা ফেলা বাংলাদেশে একটি অপ্রচলিত ফল। এটি প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার ফল।
উপকরণ
ফালসা, চিনি, ব্ল্যাক সল্ট, জিরা, গোলমরিচ। চাইলে অন্য মসলাও যোগ করা যেতে পারে।
চিনিযুক্ত পানি বা সোডা পানিতে দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। বোতল একবার খুললে পরে ফ্রিজে রাখুন।
ফালুদা
১. নুডলস পরিমাণমতো
২. আইসক্রিম ইচ্ছেমতো
৩. বেসিল সিড (তুলসীবীজ) ২ টেবিল চামচ (৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে)
৪. আপেল, আঙুর, নাশপাতি কুচি করে কাটা
৫. ড্রাই ফ্রুটস পরিমাণমতো
৬. জেলাটিন হরেক রঙের
৭. আগার-আগার ২ টেবিল চামচ
৮. দুধ ১ কাপ
৯. চিনি ২ চা-চামচ ও
১০. ভ্যানিলা এসেন্স ২-৩ ফোঁটা।
প্রথমে ফালুদা নুডলস গরম পানিতে ফুড কালার দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। জেলি তৈরি করতে এক কাপ পানিতে আগার-আগার মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। রেডিমেড জেলিও ব্যবহার করতে পারেন।
দুটি ছোট বাটিতে পছন্দমতো ফুড কালার দিয়ে আগার-আগার মেশানো পানি রেখে ঠান্ডা করে নিন। তারপর ফ্রিজে রাখুন আধা ঘণ্টার জন্য। তৈরি হয়ে যাবে জেলি।
এবার এক কাপ দুধে চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স ফুটিয়ে ১/৪ কাপ করে রাবরি বানিয়ে নিন। এবার যে পাত্রে ফালুদা পরিবেশন করবেন, তাতে কিছুটা রুহ আফজা সিরাপ নিয়ে সাজিয়ে নিন।
এরপর একে একে ভেজানো বেসিল সিড, নুডলস, রাবরি, ফল কুচি, জেলি, ড্রাই ফ্রুটস ও আইসক্রিম দিয়ে একটি লেয়ার তৈরি করুন।
এভাবে ২-৩টি লেয়ার করে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ফালুদা। এবার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করেন মজাদার ফালুদা।
কাইরি কা পান্না (আম পান্না)
২টি কাঁচা আম
৩ টেবিল চামচ লাল চিনি
১ টেবিল চামচ জিরাগুঁড়া
২ টেবিল চামচ ব্ল্যাক সল্ট
১ টেবিল চামচ লবণ
২ টেবিল কাপ পানি
১ টেবিল চামচ পুদিনাপাতা
বরফকুচি
প্রণালি
সস প্যানে আমগুলো ও পানি নিয়ে সেদ্ধ করুন। ১০ মিনিট বা সিদ্ধ হয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন।
ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার চামচ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
পাল্পগুলো চটকে নিয়ে প্রয়োজনীয় পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন।
এবার পেস্টগুলোতে লাল চিনি যোগ করে জ্বাল দিন। চিনি সম্পূর্ণ মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন, না হলে লেগে যাবে।
চিনি গলে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে জিরাগুঁড়া, গোলমরিচ এবং লবণ যোগ করে মিক্সড করুন।
পানীয় তৈরির জন্য ১-২ টেবিল চামচ আমের মিশ্রণ একটি গ্লাসে নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
এবার পুদিনাপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।
গত এপ্রিলে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ওই সময় অসহ্য গরমের পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা ছিল কম। ফলে গা জ্বালাপোড়া, নাক জ্বলার মতো সমস্যাও হয়েছে অনেকের। তবে এখন তাপমাত্রার পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতা, ফলে গরমে বেড়েছে অস্বস্তি। গতকাল সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ।
এই গরমে পাকা ঘরে ঘুমানোই কঠিন। যাঁঁদের ঘরে এসি নেই, তাঁরা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। আবার সকালে উঠেই অসহনীয় গরমের মধ্যে জ্যাম ঠেলে যেতে হচ্ছে অফিসে বা বাইরের কোনো কাজে। যাঁরা বাইরে কাজ করেন, সেই কর্মজীবী মানুষ সারা দিন ঘামছেন। শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে পানি ও লবণ। এই পরিস্থিতিতে সচেতন না থাকলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। পানিশূন্যতা তো আছেই, সঙ্গে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকছে।
উত্তর ভারতের কয়েকটি শহরের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেয়। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসও পার হয়ে যায়। উত্তর ভারতে এটি নিয়মিত ঘটনা। সেখানকার মানুষ এই প্রতিকূলতার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। অধিক তাপমাত্রার সময়গুলোতে তাঁরা খাবার ও চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা মেনে চলেন।
বাংলাদেশে টানা এত বেশি তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা তেমন নেই। ফলে এখানকার মানুষ একনাগাড়ে কয়েক দিন ৪০ ডিগ্রি বা এর কাছাকাছি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারেন না। ফলে দেখা যায়, এই সময়টায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে বিশেষ করে অসুস্থ শিশুর ভিড় বাড়ে। ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়।
উত্তর ভারতে এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুসখুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্র করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত হিসেবে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্নসহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
জেনে নেওয়া যাক গরমের সঙ্গে লড়াই করতে উত্তর ভারতের মানুষ যা সাধারণত পান করেন, সেগুলোর সহজ রেসিপি:
গোলাপের শরবত
চিনির সিরাপ, গোলাপ ফ্লেভার, গোলাপের পাপড়ি, গোলাপজল, দুধ
প্রণালি
ফ্লেভার ও পাপড়ি চিনির সিরাপে যোগ করে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
গোলাপজল ও দুধ যোগ করুন
গোলাপের শরবত প্রস্তুত
২৪০ মিলিলিটারের গ্লাসে চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে বাকি ঠান্ডা পানি যোগ করুন
ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করে পরিবেশন করুন
সঙ্গে সামান্য লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন।
খুসখুস শরবত
খুসখুস মূলত ভাটিভার। এটি একধরনের ঘাস। সাধারণত নদীতীরবর্তী এলাকায় এই ঘাস জন্মায়।
৩ কাপ পানি
৪ কাপ চিনি
১ টেবিল চামচ খুস এসেন্স (ভাটিভার)
১–২ টেবিল চামচ ফুটগ্রেড সবুজ রং
প্রণালি
পানি ও চিনি পাত্রে নিয়ে সম্পূর্ণ চিনি গুলে যাওয়া পর্যন্ত হালকা জ্বালে নাড়তে থাকুন।
থকথকে ঘন হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন ও নাড়তে থাকুন।
ঘন হওয়া বুঝতে এক ফোঁটা নিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দিয়ে চাপ দিয়ে ছেড়ে দিন, সুতার মতো হচ্ছে কি না দেখুন।
এবার খুস এসেন্স ও রং মিশিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
শাহ তুঁত শরবত
১ কাপ টাটকা ও পাকা তুঁত ফল (মালবেরি)
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পুদিনাপাতা
২ টেবিল চামচ গুঁড়া চিনি
স্বাদমতো ব্ল্যাক সল্ট
প্রণালি
সব কটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ঠান্ডা পানিসহযোগে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
বরফকুচি সহযোগে পরিবেশন করুন।
বেলের শরবত
উপকরণ
১. বেল ১টি
২. টক দই ১০০ গ্রাম
৩. তেঁতুল সামান্য
৪. লবণ ও চিনি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে পানি দিয়ে বেল ভালো করে চটকে ছেঁকে নিন। তেঁতুল অল্প পানিতে ভিজিয়ে ক্বাথ বের করে নিন। এরপর বেলের মধ্যে টক দই, লবণ, চিনি ও তেঁতুলের ক্বাথ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
বরফকুচি সহযোগে পরিবেশন করুন। চাইলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
ফালসা শরবত
ফালসা বা ফেলা বাংলাদেশে একটি অপ্রচলিত ফল। এটি প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার ফল।
উপকরণ
ফালসা, চিনি, ব্ল্যাক সল্ট, জিরা, গোলমরিচ। চাইলে অন্য মসলাও যোগ করা যেতে পারে।
চিনিযুক্ত পানি বা সোডা পানিতে দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। বোতল একবার খুললে পরে ফ্রিজে রাখুন।
ফালুদা
১. নুডলস পরিমাণমতো
২. আইসক্রিম ইচ্ছেমতো
৩. বেসিল সিড (তুলসীবীজ) ২ টেবিল চামচ (৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে)
৪. আপেল, আঙুর, নাশপাতি কুচি করে কাটা
৫. ড্রাই ফ্রুটস পরিমাণমতো
৬. জেলাটিন হরেক রঙের
৭. আগার-আগার ২ টেবিল চামচ
৮. দুধ ১ কাপ
৯. চিনি ২ চা-চামচ ও
১০. ভ্যানিলা এসেন্স ২-৩ ফোঁটা।
প্রথমে ফালুদা নুডলস গরম পানিতে ফুড কালার দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। জেলি তৈরি করতে এক কাপ পানিতে আগার-আগার মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। রেডিমেড জেলিও ব্যবহার করতে পারেন।
দুটি ছোট বাটিতে পছন্দমতো ফুড কালার দিয়ে আগার-আগার মেশানো পানি রেখে ঠান্ডা করে নিন। তারপর ফ্রিজে রাখুন আধা ঘণ্টার জন্য। তৈরি হয়ে যাবে জেলি।
এবার এক কাপ দুধে চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স ফুটিয়ে ১/৪ কাপ করে রাবরি বানিয়ে নিন। এবার যে পাত্রে ফালুদা পরিবেশন করবেন, তাতে কিছুটা রুহ আফজা সিরাপ নিয়ে সাজিয়ে নিন।
এরপর একে একে ভেজানো বেসিল সিড, নুডলস, রাবরি, ফল কুচি, জেলি, ড্রাই ফ্রুটস ও আইসক্রিম দিয়ে একটি লেয়ার তৈরি করুন।
এভাবে ২-৩টি লেয়ার করে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ফালুদা। এবার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করেন মজাদার ফালুদা।
কাইরি কা পান্না (আম পান্না)
২টি কাঁচা আম
৩ টেবিল চামচ লাল চিনি
১ টেবিল চামচ জিরাগুঁড়া
২ টেবিল চামচ ব্ল্যাক সল্ট
১ টেবিল চামচ লবণ
২ টেবিল কাপ পানি
১ টেবিল চামচ পুদিনাপাতা
বরফকুচি
প্রণালি
সস প্যানে আমগুলো ও পানি নিয়ে সেদ্ধ করুন। ১০ মিনিট বা সিদ্ধ হয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন।
ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার চামচ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
পাল্পগুলো চটকে নিয়ে প্রয়োজনীয় পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন।
এবার পেস্টগুলোতে লাল চিনি যোগ করে জ্বাল দিন। চিনি সম্পূর্ণ মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন, না হলে লেগে যাবে।
চিনি গলে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে জিরাগুঁড়া, গোলমরিচ এবং লবণ যোগ করে মিক্সড করুন।
পানীয় তৈরির জন্য ১-২ টেবিল চামচ আমের মিশ্রণ একটি গ্লাসে নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
এবার পুদিনাপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে