ডা. ফারজানা রহমান
প্রশ্ন: সব সময় মনে হয়, আমি একটা বৃত্তের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি। পরিবার আমাকে যা বলছে, তা-ই মেনে নিচ্ছি। কিন্তু একটা সময় পর আমার মনে হচ্ছে, এটা ভুল হচ্ছে। তখন আমি নিজেই সব মেনে নিতে পারছি না। এদিকে তাদের সিদ্ধান্তে আমিও একমত হয়েই পদক্ষেপ নিই।
পরে সে জন্য খারাপ লাগলেও এর বিরোধিতা করার কোনো জায়গা পাই না। মেনেও নিতে পারি না। মনে হয় একটা বিষয় ভাবার জন্য আমাকে খুব কম সময় দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভেবে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
শেষ কয়েক মাসে আমাকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে নিজের জন্য। খুবই দ্রুত। এখন আমি সেখানে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। অফিসে, বাসায়—সবখানে। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে আমার মতবিরোধ হচ্ছে। তাতে অশান্তি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে চাই।
শাহনাজ খান, বগুড়া
উত্তর: আপনি খুব সুন্দর করে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তহীনতা, নিজের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া অথবা সিদ্ধান্ত আপনার ওপর চাপিয়ে দেওয়া ইদানীং ঘটেছে। আপনার দায়িত্বশীল ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মন হয়তো সব ক্ষেত্রে সায় দিচ্ছে না। আমি একটু সময় নিয়ে আপনাকে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে বলব। এমন কোনো বিষয় কি ঘটেছিল, যা আপনাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে অথবা আপনার সঠিক সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অথবা কোনো কারণে আপনার মনোযোগের ফোকাসটি দূরে সরে যাচ্ছে? আপনার ওপর যাঁরা মতামত বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন, অফিস বা পরিবার—দুই ক্ষেত্রেই, তাঁদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কেন প্রথমে একমত হলেও পরে আপনার মতপার্থক্য হয়, বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।
আপনি উল্লেখ করেছেন, একটা সময় আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ছিল। নিজে খুঁজে বের করুন কোন কারণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখন সমস্যা হচ্ছে। আর একটি কথা, যদি আপনার বয়স চল্লিশের বেশি হয়, তাহলে ডায়াবেটিস, প্রেশার ও থাইরয়েডের পরীক্ষা করাতে পারেন। পাশাপাশি একজন মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: দুজন পছন্দ করে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর তার মনে হয়েছে, সে আমাকে বিয়ে করে ভুল করেছে। বিয়ের আগে আমরা একসঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। আমার সঙ্গে পরিচয়ের আগে অন্য এক মেয়েকে সে ভালোবাসত। কিন্তু সেই মেয়েকে তার পরিবার পছন্দ না করায় সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর মধ্যে আমার সঙ্গে সে মানসিকভাবে অ্যাটাচ হয়। আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি, সে আগের সম্পর্কে ফিরে যেতে চায়।
এ কথা শুনে রেগে যাই। আমার রাগের কারণে সে ওই মেয়ের সঙ্গে ঘোরাফেরা শুরু করে। এরপর থেকে অনেক চেষ্টা করি সম্পর্ক ভালো করার, কিন্তু আমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। সে শুধু বলে, আমাদের বিয়েটা ভুল হয়েছে। ওই মেয়েকে বিয়ে করা তার জন্য ভালো ছিল। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুমিল্লা
উত্তর: আপনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। আপনাকে আর্থিকভাবে স্বাধীন বলেই মনে হচ্ছে। আপনার স্বামীর এসব যুক্তিহীন আচরণকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে এত মূল্যহীন করে তুলবেন না। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি স্বামীর এসব কথা সহ্য করে সংসার করতে চান, নাকি একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের মতো মাথা উঁচু করে বাঁচতে চান? আপনার স্বামীকে সরাসরি জানান, তাঁর এসব আচরণে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন, অপমানিত ও অনিশ্চিত বোধ করছেন। তাঁর মতামত শুনুন। তারপর ঠান্ডা মাথায়, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রশ্ন: সব সময় মনে হয়, আমি একটা বৃত্তের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি। পরিবার আমাকে যা বলছে, তা-ই মেনে নিচ্ছি। কিন্তু একটা সময় পর আমার মনে হচ্ছে, এটা ভুল হচ্ছে। তখন আমি নিজেই সব মেনে নিতে পারছি না। এদিকে তাদের সিদ্ধান্তে আমিও একমত হয়েই পদক্ষেপ নিই।
পরে সে জন্য খারাপ লাগলেও এর বিরোধিতা করার কোনো জায়গা পাই না। মেনেও নিতে পারি না। মনে হয় একটা বিষয় ভাবার জন্য আমাকে খুব কম সময় দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভেবে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
শেষ কয়েক মাসে আমাকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে নিজের জন্য। খুবই দ্রুত। এখন আমি সেখানে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। অফিসে, বাসায়—সবখানে। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে আমার মতবিরোধ হচ্ছে। তাতে অশান্তি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে চাই।
শাহনাজ খান, বগুড়া
উত্তর: আপনি খুব সুন্দর করে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তহীনতা, নিজের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া অথবা সিদ্ধান্ত আপনার ওপর চাপিয়ে দেওয়া ইদানীং ঘটেছে। আপনার দায়িত্বশীল ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মন হয়তো সব ক্ষেত্রে সায় দিচ্ছে না। আমি একটু সময় নিয়ে আপনাকে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে বলব। এমন কোনো বিষয় কি ঘটেছিল, যা আপনাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে অথবা আপনার সঠিক সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অথবা কোনো কারণে আপনার মনোযোগের ফোকাসটি দূরে সরে যাচ্ছে? আপনার ওপর যাঁরা মতামত বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন, অফিস বা পরিবার—দুই ক্ষেত্রেই, তাঁদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কেন প্রথমে একমত হলেও পরে আপনার মতপার্থক্য হয়, বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।
আপনি উল্লেখ করেছেন, একটা সময় আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ছিল। নিজে খুঁজে বের করুন কোন কারণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখন সমস্যা হচ্ছে। আর একটি কথা, যদি আপনার বয়স চল্লিশের বেশি হয়, তাহলে ডায়াবেটিস, প্রেশার ও থাইরয়েডের পরীক্ষা করাতে পারেন। পাশাপাশি একজন মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: দুজন পছন্দ করে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর তার মনে হয়েছে, সে আমাকে বিয়ে করে ভুল করেছে। বিয়ের আগে আমরা একসঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। আমার সঙ্গে পরিচয়ের আগে অন্য এক মেয়েকে সে ভালোবাসত। কিন্তু সেই মেয়েকে তার পরিবার পছন্দ না করায় সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর মধ্যে আমার সঙ্গে সে মানসিকভাবে অ্যাটাচ হয়। আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি, সে আগের সম্পর্কে ফিরে যেতে চায়।
এ কথা শুনে রেগে যাই। আমার রাগের কারণে সে ওই মেয়ের সঙ্গে ঘোরাফেরা শুরু করে। এরপর থেকে অনেক চেষ্টা করি সম্পর্ক ভালো করার, কিন্তু আমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। সে শুধু বলে, আমাদের বিয়েটা ভুল হয়েছে। ওই মেয়েকে বিয়ে করা তার জন্য ভালো ছিল। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুমিল্লা
উত্তর: আপনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। আপনাকে আর্থিকভাবে স্বাধীন বলেই মনে হচ্ছে। আপনার স্বামীর এসব যুক্তিহীন আচরণকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে এত মূল্যহীন করে তুলবেন না। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি স্বামীর এসব কথা সহ্য করে সংসার করতে চান, নাকি একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের মতো মাথা উঁচু করে বাঁচতে চান? আপনার স্বামীকে সরাসরি জানান, তাঁর এসব আচরণে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন, অপমানিত ও অনিশ্চিত বোধ করছেন। তাঁর মতামত শুনুন। তারপর ঠান্ডা মাথায়, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে