সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে